শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দখলে মৃত মীরজুমলা সড়ক

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২২  

নারায়ণগঞ্জের দিগু বাবুর বাজার সংলগ্ন মীর জুমলা সড়ক পুরোটা অস্থায়ী দোকানদারদের দখলে। রোডটি দিয়ে সাধারণ মানুষদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়। অস্থায়ী দোকনদাররা এই রোডে তাদের দোকান বসিয়ে মানুষের চলাচলের বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। তারা মীর জুমলা সড়কটি মায়লার ভাগাড়ে পরিণত করছে। 

 

দীর্ঘদিন এই সড়ক বন্ধ থাকায় একদিকে যেমন যানজট নিরসনে কোন কাজেই আসছেনা এই সড়ক। অপরদিকে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে। এসপি হারুন থাকাকালীন উচ্ছেদ হলেও এরপরে আর কোন উচ্ছেদ অভিযান চালায়নি প্রশাসন। ফলে দখলদাররা হয়ে উঠেছে একরোখা ও প্রভাবশালী।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এই মীর জুমলা সড়কটির বেহাল দশা। সড়কে বিভিন্ন প্রকারের দোকান রয়েছে যেমন মাছ, মুরগী, মাংস,আলু, পেয়াজ, শাক-সবজি ও মুদি দোকানদাররা বিভিন্ন প্রকারের ময়লা ফেলে রাস্তাটির বেহাল দশা করে রেখেছে। সাধারণ মানুষ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মুখে রুমাল বা টিসু ধরে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এই রোড দিয়ে এই অস্থায়ী দোকানগুলোর কারণে মানুষ অস্বস্তি বোধ করছে।

 

অবৈধ দখলের কারণে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে রয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন ও প্রবেশ করতে পারছে না। এই মীর জুমলা রোডের প্রধান প্রবেশ মুখ যেটা বঙ্গবন্ধু সড়কের সাথে ওইটা বন্ধ করে রেখেছে অস্থায়ী ভ্যানগাড়ী দিয়ে দোকান বসিয়ে। আর সিরাজদৌল্লা রোডের সাথে যে প্রবেশ মুখ রয়েছে ওইটা দখল করে বন্ধ করে রেখেছে হকাররা।

 

এ বিষয়ে এক পথচারী হাসান জানান, আমরা প্রায় প্রায় এই রোডের দিগুবাবুর বাজারে বাজার করতে আসি। এই রোড দিয়ে আমাদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়। আমরা এই রোড দিয়ে চলাচল করতে পারি না। অনেক নোংরা হয়ে থাকে এই রোড কারন এই রোডে অস্থায়ী যে দোকান বসিয়ে রেখেছে। এটার কারণে বৃষ্টি হলেতো আমরা এই সড়কে ঢুকতে পারি না। পুরো সড়ক নোংরা করে রাখে এই দোকানদারেরা।

 

এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের আরো কঠোর হতে হবে। তাহলে আমরা এই রোড দিয়ে চলাচল করে স্বস্তি বোধ করবো। এই রোড দিয়ে আমরা যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে পারি না। সারাদিন কাজ করে এসে আবার এই বাজারের বোঝা নিয়ে আমাদের রিক্সার খোজ করতে হয়। আর এই বাজারে ময়লার কারণে আমাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তো রয়েছেই।

 

এ বিষয়ে আরেকজন পথচারী মাহবুব জানান, এই অস্থায়ী দোকানদাররা আমাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে। আমরা এই রোড দিয়ে চলাচল করতে পারি না। বৃষ্টি এলে এই রোডের বেহাল দশা হয়ে থাকে। এই মাছের দোকানগুলোর কারণে আরো বেশি নষ্ট হয় এই রোড। আর অস্থায়ী দোকানদারের পাশাপাশি অনেক স্থায়ী দোকানদারেরা ও রাস্তার পাশে অনেক কিছু রেখে রাস্তাকে পুরো নষ্ট বানিয়ে ফেলেছে। 

 

রাস্তার প্রবেশ এর দুই মুখ বন্ধ করে রেখেছে। অস্থায়ী ভ্যানগাড়ি দোকান ও হকার। বাধ্য হয়ে আমাদের এই সড়কে আসতে হয়। এই রোড যদি অস্থায়ী দোকান মুক্ত না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরো ভোগান্তিতে পড়তে হবে এই রোডে চলাচল করা লোকদের। এছাড়া এই সড়ক উন্মুক্ত হলে যানজট নিরসনেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই সড়ক।

 

এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিনের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই বিষয়ে অবগত নই। মেয়রের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর