শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দীর্ঘদিন বাঁচতে জাপানি ডাক্তারের ৬ পরামর্শ

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : ডা. শিগেহাকি হিনোহারা একজন জাপানি চিকিৎসক ছিলে। তিনি ২৫ জুলাই, ২০১৭ তােিখ ১০৫ বছর বয়সে মারা যান। দীর্ঘায়ু পাওয়ার কারণে তাকে একজন বিশেষজ্ঞ মনে হয়। গড় দিকথেকে জাপান বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। আর এটা হয়েছে তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী। দীর্ঘায়ু পাওয়রি ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ এখন বিশ্বব্যাপি সমাদৃত।


 বেশিদিন বেঁচে থাকার জন্য ডা.শিগেহাকি হিনোহারা দিয়েছেন ৬ টি পরামর্শ। চলুন তাহলে জেনে  নেয়া যাক তার পরামর্শগুলো : 


১. যত দেরিতে সম্ভব কর্মজীবন থেকে অবসর নিবেন। জাপানি এই চিকিৎসক নিজে মুত্যুর মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও কর্মজীবনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁর এই পরামর্শ খুবই কার্যকর। সাধারণত চাকুরিজীবীদের ক্ষেত্রে দেখে যায়, অবসর নেওয়ার পর যেন তাঁদের বার্ধক্য হু হু করে বেড়ে যায়। শরীরে বাসা বাধে নানা অসুখ বিসুখ। আর কাজ মানুষকে বার্ধক্য ও দীর্ঘায়ু করতে সক্ষম।


২. শরীরের ওজনের প্রতি নজর রাখা। দিনে একবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ডিনারে মাছ ও সবজির ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। মাংস অবশ্যই খেতে হবে। তবে সপ্তাহে দু‘বারের বেশি নয়। অলিভ অয়েল খাওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। শরীরের ত্বক ও শিরা-ধমনি ভালো রাখার জন্য অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই।


৩. আনন্দে সময় কাটাতে হবে। অতিরিক্ত নিয়মকানুনের চাপে শরীরে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শৈশবে খাবারদাবারে অনিয়ম সত্বেও আমাদের শরীর আসুস্থ হয়নি। কেন?  কারণ, মানসিক চাপ থাকে না। মূলত ঘুমিয়ে বা কিছু না করেই শরীর ক্লান্ত না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।


৪. যা জানো, তা অন্যকে জানাও। তিনি বিশ্বাস করতেন, আমরা পৃথিবীতে এসেছিই এই সভ্যতায় কিছু না কিছু অবদান রাখার জন্য, মানুষকে সাহায্যে করার জন্য। আজ, আগামীকাল, এমনকি পাঁচ বছর পরের পরিকল্পনা করতেন তিনি


৫. জাগতিক সম্পদ নিয়ে চিন্তা না করা। ভালো থাকার পেছনে অর্থবহ কাজ করাটাই জরুরি। বস্তুগত চিন্তার তুলানায় আধ্যাত্মিক চিন্তায় শরীর ও মন ভালো থাকে বলে তিনি বিশ্বাষ করতেন। অর্থবিত্ত মানুষকে আরও বেশি মানসিক চাপের মধ্যে ফেলে। অল্পতেই সন্তুষ্ট হওয়া জরুরি। তিনি এ কথাটি সব মনে রাখতে বলেছেন, শেষ ঠিকানায় এসব কিছুই সাথে যাবে না।


৬. সিঁড়ি ব্যবহার করা নিয়ে হিনোহারা একাটি বিশেষ পরামর্শ আছে। তিনি নিজে একবারে দু‘টি সিঁড়ির ধাপ পার করতেন, যাতে তাঁর পেশি ঠিক থাকে। শরীরের ব্যায়ামের জন্য দৈনন্দিন কাজকর্মে যান্ত্রিকতা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কায়িক শ্রম পছন্দ করতেন তিনি। ডাক্তারদের পরামর্শকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছেন। ডাক্তার জীবন দিতে পারেন না। তাই অযথা সার্জারির বিপক্ষে তিনি।


তাহলে আর দেরি কেন। সুস্থ্য ও সাবলিলভাবে বেশিদিন বেঁচে থাকতে চাইলে আজ থেকেই নিয়ম মেনে জীবন চলা শুরু করুন।

এই বিভাগের আরো খবর