শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুর্গোৎসব উপলক্ষে জমে উঠেছে শহরের মার্কেটগুলো

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২  


সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ১ অক্টোবর শনিবার ষষ্ঠী পূজা মধ্যে দিয়ে শুরু এবারের দুর্গোৎসব। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রতিমা সাজানোর পাশাপাশি এ উৎসবকে কেন্দ্র করে নগরীর মার্কেটগুলোতে জমে উঠেছে কেনাকাটা।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর চাষাঢা, কালীবাজার, উকিলপাড়া, ডি.আই.টি সহ বিভিন্ন এলাকার ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলো সেজেছে পূজোর পোশাকে। উৎসবের রঙ লাল- সাদাকে  প্রধান্য দিয়ে বাহারি ডিজাইনের পোশাক কিনতে মার্কেটগুলোতে ভিড় করছেন সব বয়সী মানুষ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

অনেকে নিজের পছন্দের পোশাক কেনার পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা চিন্তা করে কেনাকাটা করছেন। এদিকে পূজা উপলক্ষে কাপড়ের মার্কেট ও শোরুম গুলোতে মেয়েদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কালারের থ্রী-পিস , জামদানি শাড়ি, কাতান শাড়ি, তাঁত শাড়ি, বেনারশি শাড়ি, লেহেঙ্গা ও উড়না।

 

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও ছেলেদের জন্যে রয়েছে বাহারি সব ডিজাইনের ধুতি, শর্ট পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট ও লুঙ্গি। আবার জুতার দোকানগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের জুতা। এ দিকে বিক্রেতারা জানান, এবার পূজা উপলক্ষে ফ্যাশন হাউজ ও মার্কেটগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি উঠেছে। এবার পূজায় শাড়ি, থ্রী পিচ ও কাটা থ্রী-পিচ বিক্রি ভালই যাচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জামদানি ও কাতান শাড়ির চাহিদা বেশি। কাতান শাড়ি ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০০ ও ২০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। জামদানি শাড়ি ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০ ও ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, তাঁত শাড়ি ৪০০ থেকে ১২০০ ও ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বেনারশি ৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি ও লেহেঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে শুরু করে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পূজোতে লুঙ্গি বিক্রি একটু বেশি হয়। প্রতি লুঙ্গি ২৫০ থেকে শুরু করে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এছাড়াও মার্কেট গুলোতে শিশুদের পোশাকের বিক্রিও বেশি। পূজায় কেনাকাটা করতে আসা প্রিয়ন্তী দে নামে একজন ক্রেতা জানান, পূজার শাড়ি মানেই লাল পাড়ে সাদা শাড়ি দশমীর জন্য। অষ্টমীর দিন আমি মূলত শাড়ি পড়ি। আবার রাতে পূজা দেখতে বের হই গর্জিয়াস কোনো পোশাকে। গত দু’বছর করোনার মহামারীর কারণে তেমন একটা আনন্দ করতে পারি নাই। কিন্তু এবার পূজোই অনেক আনন্দ করব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

তিনি আরও বলেন, স্বামীকে নিয়ে পূজার কেনাকাটা করতে বের হয়েছি। বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে পছন্দের মতো জামা-কাপর কেনাকেটা করব। শাশুড়ি ও বাসার ছোট সবার জন্যই কেনাকাটা করেছি আর আমার ছোট মামুনি ষষ্ঠী থেকে দশমী পূজা পর্যন্ত প্রতিদিন কোন পোশাকে সাজবে তার জন্যও বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক কেনাকাটা করছি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

এদিকে পংকজ সাহা নামে আরও একজন ক্রেতা জানান, বাসা থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে মার্কেটে এসেছি পূজোর কেনাকাটা করতে। বিভিন্ন মার্কেটেই ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করছি। ছেলে-মেয়ের জন্য কেনাকাটা শেষ এখন স্ত্রী ও মা-বাবার জন্য কেনাকাটা করব ও নিজের জন্য  পাঞ্জাবি, শার্ট, টি- শার্ট ও প্যান্ট কিনব।   এন.এইচ/জেসি