শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দুর্ভোগের শেষ নেই ফতুল্লাবাসীর

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২১  

একদিনের বৃষ্টিতে আবার ডুবেছে গোটা ফতুল্লার ডিএনডি এলাকা। ইসদাইর, গাবতলী, টাগারের পাড় লালপুর সহ গোটা এলাকা পানিতে সয়লাব। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও আবার কোমর পানি। আর লালপুর এলাকায়তো গত দেড় মাস ধরে নৌকা চলছে। ফতুল্লা এবং কুতুবপুর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকাই এখন বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের উদাসিনতার কারণেই গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা এলেই তাদেরকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কারণ ফতুল্লা থানা এলাকার উন্নয়নের দায়িত্ব হলো শামীম ওসমানের হাতে। এদিকে এলাকাবাসী মনে করেন তাদের ভাগ্য এতোটাই মন্দ যে শামীম ওসমানের মতো একজন এমপি তারা পেয়েছেন। শামীম ওসমান সব সময় বড় বড় কথা বলতে পছন্দ করেন। কিন্তু তিনি জনগণের উন্নয়নে কোনো কাজ করেন না। তার কথার সাথে কাজের কোনো মিল নেই।

 

তারা আরো বলেন, গত চৌদ্দ বছরে বর্তমান সরকারের আমলে দেশে যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে তার ছিটাফোঁটাও হয়নি ফতুল্লা এলাকার। শামীম ওসমান কিছু রাস্তাঘাট পাকা করা ছাড়া আর কিছুই করেননি। তাও এখন আবার এই সকল রাস্তাঘাট ডুবে থাকে পানির নিচে। মানুষ চলাচল করতে পারে না। ফলে একেবারে অসহায় হয়ে পরেছে ওই সব এলাকার মানুষ।  এদিকে ফতুল্লায় যারা শামীম ওসমানের লোক হিসাবে পরিচিত তারা সকলেই নিজেদের আখের গুছাতে ব্যাস্ত রয়েছেন। এলাকাবাসী জানান শামীম ওসমান নিজে ফতুল্লার উন্নয়ন দেখেন না। কারন তার চাল-চলন হলো জমিদার গোছের। চলনে-বলনে শামীম ওসমান যেনো কোনো রাজা-বাদশা। তাই সহজে তার নাগাল পায় না এলাকাবাসী।

 

এছাড়া তিনি উন্নয়নের দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন তার কিছু বিশ^স্ত লোকের হাতে। আর এই বিশ^স্ত লোকেরাই তার বারোটা বাজাচ্ছে। ওইসব লোকজন কেবল নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত রয়েছেন। ফলে একদিকে শামীম ওসমান নিজে এলাকার মানুষের দু:খের সময় পাশে নেই। অপরদিকে তার লোকেরাও সাধারন মানুষের পাশে নেই। ফলে একেবারে অভিবাবকহীন হয়ে পরেছেন ফতুল্লার জনগন। এছাড়া নিরুপায় মানুষ বাধ্য হয়ে তাদের এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। কিন্তু চেয়ারম্যান মেম্বাররা কোনো সমাধান দিতে পারছেন না।

 


এদিকে এলাকাবাসী আরো মনে করেন শামীম ওসমান যদি আন্তরিক হতেন তাহলে তিনি ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়ন করতে পারতেন। আসলে তিনি ভালো মতো জানেনও না কোথায় কি সমস্যা আছে। কারন তিনি কখনোই সরেজমিন গিয়ে কোনো সমস্যা দেখেন না। এছাড়া তিনি নারায়ণগঞ্জ আসলে সব সময় চাটুকার পরিবেষ্টিত থাকেন। আর এই চাটুকাররা কখনোই তাকে কোনো সঠিক তথ্য দেন না। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে। উন্নয়ন বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে গোটা ফতুল্লা থানা এলাকা। তাই ফতুল্লাবাসী মনে করেন তারা এক অবিবেচকনেতার খপ্পরে পরেছেন। যেখানথেকে তারা মুক্তির কোনো পধ দেখছেন না। কারণ এমপি শামীম ওসমান কোনো উন্নয়নও করেন না। ফলে ফতুল্লার মানুষ এই জিম্মিদশা তকে কবে মুক্তি পাবে সেটাও জানেন না। 
 

এই বিভাগের আরো খবর