শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দেখভালের অভাবে অনিরাপদ চাষাঢ়া শহীদ মিনার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২২  

 

# ছাত্রদের কিছু বললে বড় বড় নেতারা ফোন দিয়ে বলে বাধা দেয় :  সিদ্দিক
 

চাষাড়া শহীদ মিনার হয়ে উঠেছে এক অনিরাপদ স্থান এখানে প্রতিদিন দুই গ্রুপের মারামারিসহ ঘটছে নানা রকমের ঘটনা যা দেখার কেউ নেই। শহীদ মিনারে শহরের আশেপাশের এলাকা ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর শিক্ষার্থীরা এসে জড়ো হয়।

 

 

তাদের মাঝে বেশির ভাগ সময় মারামারি হয় মেয়ে ঘটিত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে উল্লেখ্য হলো নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় এর ছেলে ও মেয়েরাই বেশি মারামারিতে জরিয়ে পরে মিনারে এসে।

 

 

নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ এবং ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পথচারনায় ভরে ওঠে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ সেই সাথে আড্ডা গানে জমজমাট করে তুলেছে পুরো শহীদ মিনার।  

 

 

দেখা মেলে শিক্ষার্থীদের গান বাজনা ও আড্ডা দিতে অন্যদিকে দেখা যায় স্কুল- কলেজে পড়ুয়া কিশোরগ্যাংয়ের ধুমপানের অভয়ারণ্য এবং মেয়ে গঠিত বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের তুমুল মারামারির ঘটনা ঘটে ও স্কুল কলেজ এর পোষাক পরে ছেলে ও মেয়েদের ধুমপানের চিত্র দেখা যায়।  

 

 

সকাল থেকেই শহীদ মিনারে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারন মানুষের সমাগম হতে থাকে এখানে ভোরে শরীরর্চচা থেকে শুরু করে অফিসগামী কর্মজীবীদের কিছু সময়ের ক্লান্তি দূর করার স্থান হলো শহীদ মিনার তবে ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কিছু অশালীন কার্যকলাপ, মাদকসেবন এবং ধুমপানের কারণে অনেকটা দুরবিসহ হয়ে উঠেছে মিনার ও তার চারপাশ।

 

 

কিছুদিন পর পরই ভাইরাল হচ্ছে শহীদ মিনারের বেদিতে বসে অসামাজিক কার্যকলাপ শিক্ষার্থীদের। কখনো বা ধুমপান আবার প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মারামারি এবং কলেজ ও স্কুল পোষাক করেই জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে বসে থাকে।  

 

 

মিনারে আগত বেশ কিছু শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজ, সরকারি মহিলা কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ কলেজ এবং ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় এর কাছাকাছি হলো চাষাড়া শহীদ মিনার ও শেখ রাসেল পার্ক ছাড়া অন্য কোন জায়গা নেই তাই কলেজ শেষ করেই সবাই মিনারে চলে আসি এবং সকলে মিলে আড্ডা দেই সময় কাটাই।

 

 

রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সিদ্দিক বলেন, আমি কিছু ভিডিও এবং ছবি পেয়েছি যা দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। স্কুলের ছেলেরা মিছিল মিটিং যায় তাদের যদি কিছু বলি তাহলে বড় বড় নেতারা ফোন দিয়ে বলে আপনি তাদের বাধা দিচ্ছেন কেনো।

 

 

তাই সহজে কিছু বলতেও পাড়ি না তবে আমি চিটাগাং আছি সেখান থেকে এসেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো। আপনাদের সকলের সহযোগিতা চাই তাহলে ওদের সঠিক বিচার করা হবে। এ বিষয়ে, সরকারি তোলারাম কলেজ এর ভিপি রিয়াদ ও জেলা প্রশাসককে কয়েকবার ফোন দিলেও তারা ফোনটি রিসিভ করেনি।
 

এই বিভাগের আরো খবর