শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

দেশে ফিরে সাকিবের কাছে ছুটে গেলেন মাশরাফি

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮  

খেলাধূলা ডেস্ক (যুগেে চিন্তা ২৪) : এশিয়া কাপ মিশন শেষে রাজধানীতে ফিরেছেন শনিবার রাত এগারোটার পরে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা ও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথোপকথন শেষে বাড়ি ফিরতে ফিরতে হয়েছে মধ্যরাত। পরিবারের সঙ্গে খানিক সময় কাটিয়ে বিছানায় যেতে গভীর রাত।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নাশতা সেরেই প্রিয় মোটরবাইকে চেপে সরাসরি চলে গেলেন রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে। উদ্দেশ্য প্রিয় ছোট ভাই ও দলের চালিকাশক্তি সাকিব আল হাসানকে এক নজর দেখা ও তার বর্তমান অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়া।
 
বেলা এগারোটা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান প্রিয় ছোট ভাইয়ের সঙ্গে। এ সময় সাকিবের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ বন্ধু খান নয়ন নিশ্চিত করেছেন মাশরাফি-সাকিবের কথোপকথনের প্রায় পুরোটা জুড়েই ছিল এশিয়া কাপ ফাইনাল। দুজনই আফসোস-অনুশোচনায় পুড়েছেন শিরোপা জিততে না পারায়।

দুজনের আলাপে সাকিবের খেলতে না পারার কথা উঠে এসেছে বারবার। সাকিব থাকলে কখন কী করতেন, কোন সময়ে সাকিবের বোলিংটা বেশি দরকার ছিল, অমন উড়ন্ত সূচনার পরে ওয়ানডাউনে সাকিবকে পেলে ইনিংসের চালচিত্র ভিন্ন হতে পারতো- এমন আফসোস মাখা কথাবার্তাই মাশরাফির মুখে ছিল বেশি।

সাকিবের সেই বন্ধু আরও জানিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজও আজ সকালে সাকিবকে দেখতে এসেছিলেন। মজার ঘটনা হলো আগের রাতে প্রথমবারের মতো পিতা হওয়া ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ এসেছিলেন নিজের টেনশন দূর করতে, প্রিয় বড় ভাইয়ের সঙ্গে খানিক আড্ডা দিতে।

এদিকে মাশরাফি আসার আগে রোববার সাকিবের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনিও প্রায় আধ ঘণ্টা কাটান সাকিবের সঙ্গে। সাকিবের বাঁ-হাতের কণিষ্ঠা আঙুলের সর্বশেষ অবস্থা কি তা নিয়েও কথা বলেন পাপন।

সাকিবের বন্ধু নয়ন জানিয়েছেন আজ সকালে ডাক্তার যখন রাউন্ডে আসেন তখন সাকিব ঘুমাচ্ছিলেন। তাই দুপুরের পরে আবার ডাক্তার আসবেন, দেখে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত দেবেন। আঙুলে জমে যাওয়া পুঁজ নিষ্কাশনের পর ঘা শুকাতে অ্যান্টিবায়োটিক চলছে। চিকিৎসকরা মনে করলে আজই সাকিবকে ছুটি দিয়ে দিতে পারেন।

তারপর বাসায় চিকিৎসা চলবে। আঙুলের ইনফেকশন পুরোপুরি না সারা পর্যন্ত সাকিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য সাকিবের দেশের বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার মানে ইনফেকশন মুক্ত হবার অপেক্ষা আগে। তার পর মূল চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়া।

মাশরাফিসহ বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের হাত ও পায়ের ইনজুরির চিকিৎসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে। সাকিবের চিকিৎসাও অস্ট্রেলিয়ায় হতে পারে।

ওদিকে নিজের কবজির চিকিৎসা করাতে ইংল্যান্ড যাওয়া তামিম মুঠোফোনে সাকিবের সাথে কথা বলেছেন। জানা গেছে তামিম ইংল্যান্ডে চিকিৎসা বিষয়ে সাকিবকে ধারণা দিয়েছেন। শেষপর্যন্ত সাকিব নিজেই ঠিক করবেন তার পরবর্তী চিকিৎসা কোথায় হবে। তবে এজন্য কদিন অপেক্ষায় থাকতেই হচ্ছে সবাইকে।
 

এই বিভাগের আরো খবর