বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

দেশে মানুষ কেন বিএনপি-জামাত করে এটা আমাদের ব্যর্থতা: খোকন সাহা

এম সুলতান

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  



# সিনিয়র নেতাদের সামনে অনেকে পায়ের উপরে পা তুলে বসে থাকেন : আনোয়ার হোসেন
 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেন,  আমি বারে বারে এই তৃণমূল আমাদের ওয়ারিশ। সামনে নির্বাচন এখন থেকেই আমাদের প্রস্ততি নিতে হবে। আমাদের প্রচার করতে হবে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন। আমরা সৎ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বাছাই করবো।

 

 

কারো চোখ রাঙানিতে আমি আর আনোয়ার ভাই ভীত না। আমার অবাক লাগে যে, এই দেশে মানুষ কেন বিএনপি-জামাত করে, এটা আমাদের ব্যার্থতা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যর পর, জিয়াউর রহমান দালালদের প্রতিষ্ঠিত করলো। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী বানালো। তিনি অনেক প্রতিষ্ঠিত রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন।

 

 

পরবর্তীতে এরশাদ সাহেব ক্ষমতায় এসে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন। ম্যাডাম খালদা জিয়া ক্ষমতায় এসে, একশত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। ওই একশ দিনে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হলো। সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন শুরু করলো।

 

 

শেখ হাসিনা বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করেছেন। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের ২৭ টি ওয়ার্ড সম্মেলন এর অংশ হিসেবে গতকাল ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি।  তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজয় করেছে।

 

 

তার নেতৃত্বে আদালতে কেস করে আমরা ৪০ হাজার বর্গমাইল সমুদ্র জয় করেছি। বাংলাদেশের মানচিত্রের প্রায় আরেকটা অংশ আমরা সমুদ্র পেয়েছি। দেশ এতো উন্নয়ন হয়েছে যে বলে শেষ করা যাবে না। ভাতায় ছেয়ে গেছে বাংলাদেশ। উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ গুলোতে বিদ্যুতের দাম প্রায় তিনশত গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

আর সেখানে আমাদের বিদ্যুতের দাম সামান্য বৃদ্ধি করেছে। আর এতেই বিএনপির বন্ধুরা লম্ফ-ঝম্ফ শুরু করেছে। বিএনপি ভাইয়েরা আপনারা নির্বাচনের জন্য মাঠে নামেন। বিএনপি হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের হেফাজতকারী দল । তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত। সম্মেলনে ১৬ নং ওয়ার্ডে সভাপতি হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে  ছিলেন চার জন।

 

 

তারা হলেন, বর্তমান সভাপতি মো. মনোয়ার হোসেন মনা, মো. ওমর খালেক এপন মো: আলী হোসেন, আরিফুজ্জামান আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিরেন তিনজন । তারা হলেন, মো. সাব্বির আহাম্মেদ সাগর , মো. সাইদুল ইসলাম সাকিল ও মো: চঞ্চল আহামেদ।

 

 

শনিবার বিকেলে দেওভোগ শেখ রাসেল পার্কে ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার কথা ছিলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন এর মেয়র ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর। কিন্তু সম্মেলনে আসেননি।  

 

 

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, নারায়য়ণগঞ্জ এর অনেক এমপি আমাকে রাজনৈতিক গুরু বলেন, আবার নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান আমাকে তার গুরু বলেন পরিচয় দিতে চায়। আমি স্বপ্ন দেখি ও মানুষকে স্বপ্ন দেখাই, স্বপ্ন না দেখলে মানুষ বড় হবে পারে না।

 

 

শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশে আসে তখন শেখ হাসিনা আনোয়ার হোসেন এক নামে চিনতেন। আজকে যারা সভাপতি ও সম্পাদক হতে চান তারা দলের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। আপনারা দলের মিটিং চলাকালীন সময় সিনিয়ার নেতাদের সামনে পায়ের উপরে পা তুলে বসে থাকেন।

 



সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন বলেন, মিছিলে কর্মীরা পায়ে হেঁটে যান আর আপনারা দামি গাড়িতে করে যান তাহলে আপনারা ত্যাগী নেতা হবেন। দলের আইন মেনে চলেন তাহলে নেতা হতে পারবেন। এলাকায় একটি ভালো নেতা হলে সেটা আমার লাভ কারণ এলাকা থেকে যদি মিছিল গিয়ে রাজপথ কাঁপাতে পারে তাহলে আমার নাম হবে।

 

   

কিন্তু আমরা দেখি বর্তমানে ১৬ নং ওয়ার্ড থেকে তেমন কোন মিছিল আসে না। প্রধানমন্ত্রী আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে তাতে তো আমাদের স্মার্ট নেতাকর্মী বানাতে হবে সবার আগে। আমি জেলা পরিষদে গিয়ে প্রমাণ করেছি যে, জেলা পরিষদে কাজ হয়। এর আগে যারা ছিলেন তারা কি কাজ করছে সেটা আপনারই জানেন।

 

 

নারায়ণগঞ্জ এর মানুষ আমাকে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা হিসাবেই চিনে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান আমার কর্মী ছিলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে ভাবলাম কিছু একটা করার দরকার তারপরে নামাজ পড়ে মিছিল শুরু করলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (বহিষ্কৃত) রবিউল হোসেন। 

 

 

হান্নান আহমেদ দুলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান, জি.এম আরাফাত, সাংঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল আলম সজল। 

 

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন প্রমুখ। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর