বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দেশের ক্রান্তি লগ্নে শহীদ জিয়া হাল ধরেছেন : মামুন মাহমুদ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২৩  

 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, ৪২ বছর আগে ঘাতকের নির্মম বুলেটে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছে। তাকে ষড়যন্ত্র করে শেষ করা হয়। জিয়াউর রহমান সবসময়ই জাতির দুঃসময়ে কান্ডারি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর কালে যখন এই জাতি দিশেহারা অবস্থায় ছিল তখন তিনি নেতৃত্বে দিয়েছেন।

 

কেননা তখন জাতি জানতো না কার নেতৃত্বে এই দেশের স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেয়া হবে। তখনি আমরা দেখেছি চট্টগ্রামের কালুর ঘাট, বেতার কেন্দ্র তিনি দখল করে সেখানকার সকল সিকিউরিটি তিনি নিজের আয়ত্তে নিয়ে সেই বেতার কেন্দ্র থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা দিয়ে সমস্ত বাঙালির উদেশ্য মুক্তিযুদ্ধের সূচনার ডাক দিয়েছেন। এজন্যই বলা হয় জিয়াউর রহমানের ঘোষনাই হলো মুক্তিযুদ্ধের ঘোষনা।

 

৩০ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৯ নম্বর ওয়ার্ড মাদবর বাড়ির মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আলোচনা সভায় তিনি এই কথা বলেন। পরে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ সিদ্ধিরগঞ্জের ২০ টির মত জায়গায় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় অংশ গ্রহন করেন।

 

বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান যেমন রনাঙ্গনে যুদ্ধের ময়দানে নিজে যুদ্ধ করেছিলেন তেমনি  নিজের জীবন বাজী রেখে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছেন। তারপর ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে এই দেশ স্বাধীন হলো। যুদ্ধের পর দেশের সেনা প্রধান হওয়ার কথা ছিল জিয়াউর রহমানের কিন্তু তখন তাকে করা হয় নাই। কেননা তিনি তখন সেনাবাহিনীতে সবার থেকে সিনিয়র ছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানকে না দিয়ে সেনা প্রধান মেজর শফিউল্লাহ কে প্রধান করা হলো।

 

এই যে  আওয়ামী লীগ অনিয়মের যাত্রা শুরু করলো সে অনিয়ম থেকে আজকে পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতিয়তা বাদী দলের দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানও রক্ষা পায় নাই। আপনারা দেখেন আপনাদের এলাকায় এতো গার্মেন্টাস প্রতিষ্ঠান হয়েছে। এই গামের্ন্টস শিল্প জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে শুরু হয়েছিল। তার সময় বাংলা দেশে প্রথম গামের্ন্টস প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং বাংলাদেশ থেকে কাপড় রপ্তানি হয়।

 

জিয়াউর রহমান আদর্শের রাজনীতি উপহার দিয়ে দেশটাকে একটি স্বনির্ভর যায়গায় তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরবর্তীতে তার হত্যা কান্ডের পরে যারা ঘাতক ছিল তারা চেয়েছিল এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নষ্ট করে দিতে। কিন্তু আমরা দেখলাম একজন গৃহবধু হিসেবে জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়া এসে দেশের হাল ধরলেন। তার নেতৃত্বে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেল।

 

যখনই এই জাতি বিপদে পরেন, জাতি বিপদগ্রস্থ হয়, দিক হারিয়ে ফেলে ঠিক সেই সময় জিয়া পরিবার দেশের হাল ধরেন। তাদের হাতে নেতৃত্বে থাকলে এই জাতিকে কেউ বিভ্রান্ত করতে পারবে না। তারেক রহমানের নির্দেশে বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যাবে। আজকে যারা রাতে ভোট করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যেমে ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তারা আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানো হবে। তারেক রহমানের নির্দেশে সেই আন্দোলনে সকলকে অংশ গ্রহন করার আহ্বান জানান তিনি।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খোকন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবুল প্রধান, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভুঁইয়া, নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি টি এইচ তোফা, মোশারফ হোসেন সহ বিএনপি নেতা দিদার হোসেন।এস.এ/জেসি

 

এই বিভাগের আরো খবর