শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নতুন বছরে নতুন বই পাওয়া সবসময়ই আনন্দের

লতিফ রানা

প্রকাশিত: ৮ জানুয়ারি ২০২১  

নতুন বছরে নতুন বই পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময়ই আনন্দের। আর তাদের আনন্দ দেখতে পাওয়া একজন শিক্ষকের জন্যও অনেক বেশি আনন্দের। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ শিক্ষার্থীদের বইয়ের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করে। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ক্যামব্রিয়ান স্কুলের শিক্ষিকা উম্মে সালমা স্বর্ণার সঞ্চালনায় যুগের চিন্তার সাপ্তাহিক আয়োজন ফেসবুক লাইভ টকশো ‘শিক্ষাঙ্গন’ অনুষ্ঠানে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রাশেদুল মতিন এ কথাগুলো বলেন।

 

তিনি বলেন,  আমরা যখন শিক্ষার্থী ছিলাম তখন আমাদের সম্পূর্ণ বই পেতে মার্চ মাস চলে যেতো। এসব কারণে আমরা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত ক্লাস করতে পারাতাম না। যার কারণে লেখা পড়াটা ছিলো নিম্নমান সম্পূর্ণ। বর্তমান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই, তারা চিন্তা করলেন কিভাবে জানুয়ারি প্রথম দিনে কিভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে ক্লাস শুরু করতে পারে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান শুধু বৃদ্ধি পায় নাই শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। এই সরকার পঞ্চম শ্রেনী ও অষ্টম শ্রেনীর পরীক্ষা ব্যবস্থা যুগান্তকারী সৃষ্টি পরীক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তন করে। এই বিষয়টা যদি অভিভাবকগণ মাথা খাটায় তাহলে তারা বুঝতে পারবে। কোভিড-১৯ কারণে বিশ্বের সবকিছু স্থবির হয়ে যাবার পরও বর্তমান সরকার যথেষ্ট পরিমাণ বই পাঠিয়েছেন। তবে এবার গতানুগতিকভাবে বই উৎসব করা হয় নাই । এবার শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলে না আসার জন্য বিমুখ করে অভিভাবকদের কাছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কাছে বই তুলে দেয়া হয়েছে।

 

তিনি বলেন, নতুন বই পাবার একটা অন্যরকম অনুভুতি হয়, এক অন্যরকম আনন্দ হয়। কোন কোন শিক্ষার্থীদের বই পাবার পর সাথে সাথে বইয়ের গন্ধ নিতে দেখেছি। কিছু কিছু শিক্ষার্থীরা দুই তিনদিন পর আসার পর যখন বই পায় নাই তারা অভিভাবকরাও পাগল প্রাণ করে ফেলেছে বই পাবার জন্য। নতুন বই পাওয়ার এটাই আনন্দ।

 

তিনি বলেন, এই বছর আমাদের সাহসিক সিদ্ধান্ত নেয়ার দরকার স্কুল প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যেতে পারে। এই ব্যপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তিনি ভালো জানেন তার বিভিন্ন উৎস রয়েছে।  কোভিড -১৯ আমাদেরকে কিছু পজেটিভ শিক্ষা দিয়েছে। যেখানে আমাদের সন্তানদেরকে মুঠোফোন দিতে ভয় পেতাম, তাদের নিষেধ করতাম। লেখাপড়ার জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছ থেকে শিক্ষা দেয়ার যে প্রক্রিয়া ছিলো তা পরির্বতন হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মন তৈরি হয়েছে দূর থেকে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ নেয়া যায়।

 

 প্রধান শিক্ষক রাশেদুল মতিন বলেন, একটা সময় শিক্ষার্থীদের ধারণ ছিলো স্কুলে না যাবার ব্যপারে অনিহা ছিলো। তবে স্কুলে যেয়ে কি পড়াশোনা হবে ? তবে বর্তমানে কোভিড-১৯ স্কুল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হবার পর তারা এখন তাদের ভুলটা ভাঙছে তারা বুঝতেছে। ছাত্র শিক্ষকের মাঝে নিভির সর্ম্পক না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা পড়া টেবিলে বসতে চাচ্ছিল না। এই ব্যপারে তারা এখন দুঃখ প্রকাশ করে তারা জানাচ্ছেন তার সন্তানরা পড়ার টেবিলে বসতে চাচ্ছিলো না। শিক্ষার্থী-শিক্ষকের সরাসরি অবস্থান হতে হবে।

 

তিনি বলেন, প্রাইমারি- জেএসসি পরিক্ষা এক বছর না হওয়াতে একটি ক্ষতি হয়েছে। যাদের অষ্টম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে প্রমোশন দিয়েছি ।তাদের অধিকাংশ সাইন্স নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহ হচ্ছে যাদের সাইন্স পড়ার অনুপোযোগী । তাদের বলছি, না, তুমি অন্য কোন বিষয় পড়ো। এই কোভিডের-১৯  কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল থেকে সরে গেলে, পড়ার জগত থেকে যদিও আমরা অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছি, তাতেও যথেষ্ট না। শিক্ষার্থীদেরকে পড়া দিতে হবে, নিতে হবে, তাকে পড়ার চাপ দিতে হবে। কিছু ভালো শিক্ষার্থী আছে স্কুল বন্ধ থাকলেও তারা পড়াশুনা করবে। সব ক্লাস যদি না খোলা যায় তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্তত নবম-দশম শ্রেণি খুলে দেয়া দরকার বলে মনে করি। 

এই বিভাগের আরো খবর