শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

না.গঞ্জ-৪ আসনে কেমন হবে নির্বাচন?

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২২  

কেমন হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন? আসন্ন এই নির্বাচনে কি বিএনপি অংশগ্রহণ করবে? সব দলের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে কারা পাবেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনয়ন? এসব নিয়ে এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম বিশ্লেষণ চলছে। এরই মাঝে গত শনিবার নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত একটি সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের অনুসারী নেতাকর্মীরা পরিস্কার জানিয়েছেন

 

আগামী নির্বাচনে এই আসনে গিয়াস উদ্দিন বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন। তার মনোনয়ন ঠেকাতেই তার ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। এই সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যের একটি জায়গায় বলা হয়েছে, “একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে গিয়াস উদ্দিনকে বঞ্চিত করা হয়েছিলো। শুরুর দিকে নমিনেশনটা পেয়েছিলেন শাহআলম সাহেব।

 

কিন্তু তিনি শামীম ওসমান সাহেবের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। তাই নমিনেশনটা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীতে সেই নমিনেশন দেয়া হলো মনির কাশেমী সাহেবকে। অথচ নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে তিনি পালিয়ে যান। আপনাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন, মনির কাশেমীর স্থলে যদি শামীম ওসমান সাহেবের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন সাহেব হতেন, তাহলে নির্বাচনটা কেমন হতো?

 

ভোটের মাঠ ছেড়ে কি গিয়াস উদ্দিন সাহেব পালিয়ে যেতেন? ফলে এই সংবাদ সম্মেলনের পর পরিস্কার হয়েছে এবার আগে থেকেই সাবেক এমপি আলহাজ¦ মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আটঘাট বেধে মাঠে নেমে পরেছেন। যদিও তার নিজ দল বিএনপির ভেতরেই একটি গ্রুপ তাকে ঠেকাতে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। তবে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহল মনে করেন আগামী নির্বাচনে বিএনপি যদি জনমত জরিপ চালিয়ে এবং ভালো মতো খোঁজ খবর নিয়ে

 

নমিনেশন দেয় তাহলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে গিয়াস উদ্দিনই পাবেন বিএনপির মনোনয়ন। আর সেই ক্ষেত্রে যদি শামীম ওসমান আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তাহলে দু’জনার মাঝে তীব্র লড়াই জমে উঠবে। কারণ নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন বিএনপির রাজনীতিতে সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনকে নানা ভাবে কোনঠাসা করে রাখা হলেও তিনি বেশ দৃঢ় মানসিকতার একজন ঝানু রাজনীতিবিদ।

 

হাজারো জুলুম নির্যাতনের পরেও তিনি মাঠ ছাড়েননি। তার পেছনে বিএনপির একটি বড় অংশের নেতা কর্মীরা সক্রিয় রয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন এলাকায় তার ব্যাপক জনসমর্থনও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তার বিপরিতে সরকার দলীয় এমপি একেএম শামীম ওসমানও একেবারে দূর্বল নন। এই আসনের রাজনীতিতে তার একটি পৃথক অবস্থান রয়েছে।

 

তবে তার জনপ্রিয়তা আগের মতো নেই বলেই ধারনা করা হচ্ছে। কোনোনা তার নির্বাচনী এলাকার সবচেয়ে বড় অংশ হলো ফতুল্লা থানা এলাকা। আর অত্র এলাকায় শামীম ওসমান পরিকল্পিত কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। ফতুল্লার চারটি ইউনিয়নে বর্ষাকালে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই ফতুল্লার মানুষ আগামী নির্বাচনে শামীম ওসমানকে কতোটা গ্রহন করবেন সেই প্রশ্ন রয়েছে।

 

এই আসনে এবার ভোটের রাজনীতিতে শামীম ওসমানের তুলনায় গিয়াস উদ্দিনই এগিয়ে থাকবেন বলে অনেকের ধারনা। তারপরেও এবার যদি দুই দলের এই দুই নেতার মাঝে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় তাহলে জমে উঠবে লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয় কিনা তার উপরে নির্ভর করছে অনেক কিছু।

এই বিভাগের আরো খবর