শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

না.গঞ্জে ডেঙ্গু আক্রান্ত বাড়ছে

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২২  



নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। প্রতি ২৪ ঘন্টায় গড়ে ১০ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে, জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। প্রতিদিন দু’একজন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত নতুন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান।

 

 

তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, ৩০০ শয্যা হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা কমপ্লেক্সে, তবে উপজেলাগুলোতে রোগীর চাপ অনেক কম।


 

নারায়ণগঞ্জে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তথ্য মতে, শুক্রবার (২৮ আগস্ট) সকাল-বিকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ১ জন। এছাড়াও পূর্বের রোগী সহ মোট ভর্তি রোগীর সংখ্যা রয়েছে ১৪ জন। জেনারেল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের সূত্রানুযায়ী, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত নতুন রোগী ১ জন এখনো ভর্তি আছেন ১০ জন।

 

 

এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট হাসপাতালেও আক্রান্ত রোগী ভর্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। ৩০০ শয্যা হাসপাতালের ২১ নং ওয়ার্ডের দায়িত্বরত একজন নার্স বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে এখন পর্যন্ত যেসব ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন, তারা কেউই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতে নেই। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

 

 

কিন্তু বিগত কয়েকদিনের তুলনায় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। আজকেও তিনজন ভর্তি হয়েছে। আমরা নিয়মিত রোগীর সাথে ডেঙ্গু রোগীদের ও চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে অন্যান্য জেলার মতো ডেঙ্গু রোগী অতিরিক্ত বাড়লে এখানেও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হবে।

 

 

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধির প্রসঙ্গে জানান, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গু রোগীর হার তুলনামূলক কম। প্রতিদিন জেলাব্যাপী সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ১০জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। তবে নারায়ণগঞ্জে কোন মৃত্যু নাই। কিন্তু এখন রোগী বৃদ্ধির হার বাড়তে পারে।

 

 

কারণ সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী আমাদের আশেপাশের খালি জায়গায় পানি জমে এডিস মশার উৎপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষায় আমাদের সচেতন হতে হবে। এডিস বাসাবাড়ি বা নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। বাড়ির আশেপাশে যেন পানি জমে না থাকে, সেইদিকে নজর রাখতে হবে।

 

 

প্রশাসনিকভাবে জরুরি ভিত্তিতে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া কোন ব্যক্তির ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে তার প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, দ্রুত ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হতে হবে।’ এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর