বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নিজ ঘরে মা-ছেলের গলাকাটা লাশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২২  

# স্বামী প্রয়াত হওয়ার একমাত্র ছেলেকেই নিয়ে ছিলো বসবাস
# কোন ক্লু পাচ্ছেনা পুলিশ, মামলার প্রস্তুতি

 

আড়াইহাজারে মা ও ছেলেকে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ খবর পেয়ে রবিবার সকালে মৃতদেহ গুলো উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। সিআইডি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছেন। এর আগে স্থানীয় ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজানগোপিন্দী এলাকায় শনিবার দিবাগত রাতের যেকোন সময় নির্মম হত্যাকান্ডের এই ঘটনা ঘটে।

 

নিহতরা হলেন, রাজিয়া সুলতানা কাকলী (৪২) ও তার ছেলে তালহা (৮)। কাকলী এই এলাকার মৃত আউয়াল মিয়ার স্ত্রী। আউয়াল মিয়া ৪ বছর আগে স্ট্রোক জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তিনি প্রবাসী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর কাকলি বাড়িতে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে একাই বসবাস করতেন। তবে কে বা কারা তাকে ও তার ছেলেকে হত্যা করেছে পুলিশ জানাতে পারেনি। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।

 

স্থানীয় কবির হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, রাজিয়া সুলতানা কাকলি একজন মধ্যবয়সী নারী। তার স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি তার ছেলেকে নিয়ে একাই বসবাস করতেন। তার তেমন কোন শক্র রয়েছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এই নারীকে এলাকাবাসী ভালোই জানতেন। আলমগীর হোসেন নামে এক প্রতিবেশী যুবক বলেন, প্রতিদিন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে কাকলি স্থানীয় একটি স্কুলে যাতায়াত করতেন।

 

এলাকাবাসীর সঙ্গে মিলেমিশেই বসবাস করছিলেন। তাকে এমন নৃশংসভাবে কেউ হত্যা করতে পারে এটা ভাবাই যাচ্ছে না। মৃত কাকলির নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেও ঘটনার কোন কারন খুঁেজ পাওয়া যায়নি। তবে হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানায় এলাকাবাসী। হত্যাকান্ডের এই ঘটনার পর উজান গোপিন্দীর আশেপাশের শতশত নারী-পুরুষকে ঘটনাস্থলে ভিড় করতে দেখা যায়।

 

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে কিভাবে কে বা কারা নৃশংস হত্যাকান্ডের এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তা তদন্তের পর সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব হবে। আপাতত এ ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে।
 

এই বিভাগের আরো খবর