শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

নির্বাচন দেরীতে, প্রার্থীরা প্রস্তুত

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২১  

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র বন্দরের মদনপুর এলাকায় ব্যানার ফেস্টুনে সয়লাব হয়ে গেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে কাজ করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদে প্রাথী হতে ইচ্ছুক নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী হিসেবে শুধু আওয়ামী লীগ থেকেই চারজন মনোনয়ন পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ সালাম, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন ও যুবলীগ নেতা অহিদ হোসেন।

 

তার প্রত্যেকেই দল থেকে সমর্থন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে মাঠে কাজ করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান এই আসনটিতে বরাবরই আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিজয়ী হন। আর এ জন্যই এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনেকটা নির্ভার হয়ে কাজ করতে পারেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে ইচ্ছুক যুবলীগ নেতা অহিদ হোসেন জানান, আমি বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সাথে কথা বলেছি তারা আমাকে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। আমি আশাকরি এবারের মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দলের সমর্থন নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব এবং অবশ্যই জয়ী হতে পারব।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা কমিটিও আমাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করবে। আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক শেখ রুহুল আমিন জানান, এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমি অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো। আমি নির্বাচিত হলে দেশ ও জনগণের হয়ে কাজ করবো। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরণের প্রতিশ্রুতি দেন কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর তা ভুলে যান। তারা মাদক নির্মূলের কথা বলে মাদক দাতাদের শেল্টার হয়ে যাওয়াসহ নিজেরাই বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। আমি নির্বাচিত হলে এসব প্রথা ভাঙবো।

 

তিনিও দাবি করে বলেন, বন্দর আওয়ামী লীগ আমাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে, আমি অবশ্যই দলের মনোনয়ন পাবো। আমি এখান থেকে জয়ী হওয়ার বিষয়ে একশত ভাগ আশাবাদী। এ সময় তিনি এলাকার জনগণের পক্ষ হতে মদনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে প্রার্থী হওয়ার সমর্থন জানিয়েছে  বলে তিনি উল্লেখ করেন। মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, আল্লাহ যদি তৌফিক দান করেন তবে আমি অবশ্যই নির্বাচন করবো। তার সমর্থনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার জন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দসহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ আমাকে আমার কাজকে সমর্থন করবে।

 

তিনি বলেন, এখানে যখন বৈরী পরিবেশ ছিল তখনও আমি আওয়ামী লীগের বাইরে থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছি। গতবার আমাকে দলের পক্ষ হতে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, আমার দলের নিজস্ব লোকও আমার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে কিন্তু আমি নির্বাচিত হয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু আমার প্রতি দল ও জনগণের ভালবাসা আছে বলে। এবারও আমি দলের পক্ষ হতে মনোনয়ন পাওয়ার আশা করি এবং জয়ী হওয়ার বিষয়ে একশতভাগ আশাবাদী। তার মতে, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল, এখানে সুযোগ সন্ধানী অনেক হাইব্রীড নেতা থাকে, তারা দলের স্বার্থ না দেখে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। তাদের সমর্থন পাওয়াটা বড় বিষয় নয়, দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে জনগণের সমর্থনই আমার কাছে বড় বিষয়।

 

তিনি আরো বলেন, শুধু মদনপুর ইউনিয়ন নয়, বন্দরের যে পাঁচটা ইউনিয়ন আছে এর প্রত্যেকটিতে যদি সঠিক প্রার্থী দেয়া হয় তাহলে পত্যেকটি ইউনিয়ন থেকেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচিত হবে। তবে প্রার্থী নির্ধারণে দলের নীতিনির্ধারকদের ভুল করলেই পদটি হাত ছাড়া হয়ে যাবে। তবে এর মধ্যে কিছু কিছু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের জনগণের সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের পক্ষে নির্বাচিত হওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রত্যেকটি প্রার্থীকে জনগণের সাথে সম্পর্ক ও সংযোগ থাকতে হবে।

 

তিনি জানান, অনেকেই আছেন দলের বিপক্ষে হয়ে কাজ করেন, নেত্রী (আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা) এই বিষয়টিকে খুব সতর্ক করে দিয়েছেন। যারা এধরণের প্রার্থী আছেন তাদের দল থেকে কখনো মনোনয়ন দেয়া হবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া জানান, যদিও আমি এখনো কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো কি না, তবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না এমন সিদ্ধান্ত ও নেইনি। তবে দলের সাথে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নিবো। 


 

এই বিভাগের আরো খবর