শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্বাচনী দ্বন্দ্বে কবীর-মুন্না

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১  


# চোখ তুলে ফেলার হুমকি কবিরের
#প্রতিহত করার ঘোষণা মুন্নার


সিটি নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এরআগেই আবারো ১৮নং ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর কবির হোসেইন ও সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্নার মধ্যে পুরোনো দ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই এলাকায় এই দুই সম্ভাব্য প্রার্থীর কঠোর হুশিয়ারি ও পাল্টা হুশিয়ারিতে সরগরম হয়ে উঠেছে।এরআগেও মসজিদ কমিটি নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা। 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি এক সভায় কাউন্সিলর কবির হোসেইন সাবেক কাউন্সিলর কামরুল ইসলাম মুন্নার চোখ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই বক্তব্য নিয়ে পুরো ১৮নং ওয়ার্ড হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। আর এর পাল্টা জবাবও দিয়েছেন কামরুল ইসলাম মুন্না। তিনিও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, মূলত কবির হোসেইন ও তার পরিবারের লোকজনের নানা অনৈতিক বিষয় তিনি নিজ চোখে দেখেছেন এবং এলাকাবাসীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সেই কারণেই কবির হোসেইন এই হুমকি দিয়েছেন। এলাকায় তার জনপ্রিয়তা নেই, মানুষ কবির হোসেইন ও তার পরিবারকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে আর সেটি মানতে না পেরে কবির এই হুমকি দিয়েছেন বলে দাবি কামরুল ইসলাম মুন্নার। তবে কবিরের এই হুমকি-ধমকিকে তিনি ভয় পাননা জানিয়ে যুগের চিন্তাকে মুন্না বলেন, কবির ও তার পরিবার কী ছিল আর কী হয়েছে তা এলাকাবাসী জানে। মানুষ তাদের অপকর্মগুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছে এবং চোখে দেখেছে। আর আমি সেটি বুঝতে পারাতেই আমাকে চোখ তুলে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমিও এলাকার মানুষজনকে নিয়েই এসব মোকাবিলা করবো। নিজের অপকর্ম ঢাকতেই কবিরের মাথা ঠিক নেই। সে আবোল-তাবোল বলে মানুষের সমর্থন নিতে চাচ্ছে। মানুষ তার ও তার পরিবারের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

এদিকে কাউন্সিলর কবির হোসেইন যুগের চিন্তাকে বলেন, এই বক্তব্যটি পুরনো। নতুন করে সামনে টেনে নিয়ে এসে ইস্যু বানানোর চেষ্টা করছে মুন্না। তার কারণ এলাকায় তার কোন অস্তিত্ব নাই। গতবার নির্বাচনে যেই ভোট পেয়েছিল এবারের নির্বাচনে সে আর একভাগও পাবেনা। এলাকার মানুষ তাকে বিতর্কিত লোক হিসেবে জানে। কবির দাবি করে বলেন, একটি এলাকার শ্রমিক ও মহাজনদের নিজের বলয়ে টানতে মুন্না নানা হুমকি ধমকি দিচ্ছে, মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। ভালো মানুষ এগুলো করেনা। আমি কাউন্সিলর হিসেবে আমার কাজ এলাকার মানুষের ভালো-মন্দ দেখা। কাউকে ভয় দেখিয়ে কেউ দলে টানার চেষ্টা করলে আমারও কাজ এলাকার মুরুব্বিদের নিয়ে তাকে প্রতিহত করা। মুন্না আমাকে ছালাচোর এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে নানা রিউম্যার ছড়াচ্ছে। আমি তাকে সাবধান করছি। মানুষ আমার সাথে আছে। মুন্নাকে এলাকায় কেউ পছন্দ করেনা, ভোট পাওয়া তো দূরের কথা।

এদিকে ১৮নং ওয়ার্ডের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলর ও তার সমর্থকদের মধ্যে কথা নিয়ে কাঁদাছোঁড়াছুড়ি হচ্ছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে এটি আরো বাড়ছে। কেউ কেউ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবারও আশঙ্কা করছেন। কবির হোসেইন ও কামরুল ইসলাম মুন্না ছাড়াও এই ওয়ার্ডে আরো বেশ কয়েকজন প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। তবে মুন্না ও কবির হোসেইন ও তাদের সমর্থকদের মধ্যে যে কোন মুহুর্ত্বে বড় ধরণের ঘটনা ঘটে যাওয়ারও আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে কবির হোসেইন মুন্নার চোখ তুলে ফেলার হুমকি দেওয়া এবং মুন্নার পাল্টা উত্তরে নির্বাচনের বেশ আগেই ১৮নং ওয়ার্ড সরগরম হয়ে উঠেছে।  

এই বিভাগের আরো খবর