বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নেতাদের স্থবিরতায় নিশ্চুপ তৃণমূল

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৩ ডিসেম্বর ২০২২  

 

# পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণেই কালক্ষেপণ করছে স্থানীয় নেতারা মত বিশ্লেষকদের


ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের কর্মসূচিকে ঘিরে সারাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা সরগম যেটা নারায়ণগঞ্জেও ব্যতিক্রম নয়। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ এই সমাবেশকে ঘিরে যেকোন আপত্তিকর ঘটনা ঠেকাতে প্রস্তুতি নিলেও আওয়ামীলীগের সূতিকাগার ক্ষ্যাত নারায়ণগঞ্জে নেই কোন প্রস্তুতি।

 

 

এতে তৃণমূল আওয়ামীলীগের নেতারা ক্ষুদ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে। এছাড়া সমাবেশে আসতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাধা না দেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগের তরফ থেকে বলা হলেও তবে যেকোন আপত্তিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে তৎপর থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

 

কিন্তু নারায়ণগঞ্জে সে তৎপর না থাকায় নারায়ণগঞ্জের পৃথক কয়েকটি থানায় ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে আর এই ককটেল বিস্ফোরিত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

 

তবে এই মামলাগুলোর ঘটনায় বিএনপি নেতারা মিথ্যা বানোয়াট দাবি করছে এবং সরকার দলীয় লোক এসব ঘটনা সংগঠিত করে বিএনপির উপর চাপিয়ে দিচ্ছে এমন মন্তব্য করছে। কিন্তু এতে নারায়ণগঞ্জ জেলা এবং মহানগর আওয়ামীলীগের নেই কোন প্রতিক্রিয়া উল্টো নিশ্চিুপ ভূমিকা এতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল।

 

 

সূত্রে জানা জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বেশীরভাগ থানায় ইতিমধ্যেই ককটেল বিস্ফোরণসহ নাশকতা ঘটনা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তবে বিএনপির নেতারা অস্বীকৃতি জানিয়ে এই বিস্ফোরণ নাশকতা সরকার দলীয় লোকেদের দ্বারা সংগঠিত করে তাদের মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।

 

 

কিন্তু এতে করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ এবং মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এখনো কোন রকম মন্তব্য করেনি। এছাড়া বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের কর্মসূচি ঘিরে আওয়ামীলীগ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হলেও ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে নেই কোন পদক্ষেপ।

 

 

তবে ইতিমধ্যেই আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপি নেতাদের কর্মকান্ডের উপর নজরদারীতে রাখার নির্দেশনা রয়েছে। তবে নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ বিএনপি নেতাদের নজরদারীতে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছেন। যার ফলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দ্বারা একের পর এক ককটেল বিস্ফোরিত এবং নাশকতার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

 

 

তবে শুধু বিএনপি নয় ইতিমধ্যে বিএনপির সমমনা দল ১৪ দলীয় জোটের কিছু দল ও জোটের বাইরে বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আটঘাট বাঁধা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোও নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

 

 

কিন্তু নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে এসব দলকে নজরদারীতে রাখার তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। তবে নারায়ণগঞ্জের ১৪ দলের সমম্বনয়ক এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে সংক্রিয়তা নেই বললেই চলে।

 

 

কারণ নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের দায়িত্ব হারিয়ে অনেকটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে রাজনীতিতে আনোয়ার হোসেন। যার ফলে ১৪ দলের সমম্বনয়ক হিসেবে ১৪ দলকে নজদারীতে রাখতে নেই কোন তৎপরতা।

 

 

এছাড়া মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহাও বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে কোন প্রস্তুতি এবং এই সমাবেশকে ঘিরে তাদের আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে কোন তৎপরতার চিত্র উঠে আসেনি।

 

 

এছাড়া নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নবাগত কমিটির পক্ষ থেকেও ১০ ডিসেম্বরের বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতি এবং ১০ ডিসেম্বরের আগেই নারায়ণগঞ্জ জেলা ব্যাপী ককটেল বিস্ফোরণ নাশকতা ঘটনা নিয়ে কোনরকম মন্তব্য করেনি জেলা আওয়ামীলীগ।

 

 

তবে জেলা আওয়ামীলীগের ফের নেতৃত্ব পাওয়ার থেকেই জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাইকে  জেলার রাজনীতিতে সংক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায় না। এছাড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদলকে দেখা গেলেও তাকে সংবর্ধনা নেওয়ায় জন্য ব্যস্ততা দেখা দিয়েছে।

 

 

বিগত সময়ে বিএনপি এবং বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে ঘিরে যেকোন আপত্তিকর ঘটনা এড়াতে জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কোন প্রস্তুতি নেয়ার কোন আলোচনা শোনা যাচ্ছে না।

 

 

এতে ক্ষুদ্ধ জেলার তৃণমূলের কর্মীরা তারা দাবী করছে নারায়ণগঞ্জে বিএনপি এত মাথাচাড়া দিয়ে উঠার পরও জেলার আওয়ামীলীগের শীর্ষ পদে থাকা নেতাদের থেকে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

 

 

এতে করে বিএনপি একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে আওয়ামীলীগ মুখ বন্ধ করে চুপ করে আছে। কিন্তু শীঘ্রই কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্দেশনা মোতাবেক বিএনপির দ্বারা সৃষ্ট সকল আপত্তিকর ঘটনা এড়াতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগকে তৎপর হওয়ার দাবী করছে তৃণমূল।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর