বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

নেতার আশকারায় চাঁদাবাজিতে দখল সাইনবোর্ড

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩  


# চাদাঁবাজিতে বাধা প্রদান করলেই তার ওপর চলে হামলা
# প্রশাসনের তৎপরতা না থাকাতেই চলছে হরদম চাঁদাবাজি

নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড সাইনবোর্ড এলাকায় দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ কাইল্লা মাসুদের নেতৃত্বে সিএনজি ও ফুটপাতের ব্যাপক ভাবে একক রাজত্বে চাঁদাবাজি হলেও এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে। খবর নিয়ে জানা যায় মাসুদ চাঁদাবাজিতে সরে আসলেও এখনো বন্ধ হয়নি সেইখানে চাঁদা উঠানো।

 

 

 আর এর মূল কারণ হচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াসিনের অনুসারীরা এখন পুরো সাইনবোর্ড এলাকার চাঁদাবাজি করে আসছে । এ সকল চাঁদাবাজদের মধ্যে অন্যতম কামরুল যিনি শ্রমিক লীগের পরিচয়ে চাঁদাবাজদের গডফাদার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

 

 

তিনি শুধু একাই নয় তার সাথে চাঁদাবাজির সহযোগী হিসেবে রয়েছে আরও বেশ কয়েকজন তারা হলেন, আসলাম, রোকন, সেলিম, সরল, মনির, সোহাগ, রাসেল, সাকিল, জিল্লু, সামসুল হক ও র‌্যাবের সোর্স কবির সহ আরও বেশ কয়েকজন। এ সকল চাঁদাবাজরা শুধু  সিএনজিতেই চাঁদাবাজি সীমাবদ্ধ থাকেনি।

 


জানা যায়, ঢাকা-চট্্রগ্রাম-সিলেট হাইওয়ে ও নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা লিংক রোড সাইনবোর্ড এলাকা এখন চাঁদাবাজদের হাতে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে এই ব্যস্ততম এলাকাটি। আর এই সাইনবোর্ড এলাকা থেকে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ । আর এই সাইনবোর্ড এলাকায় থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি গাড়ি চলাচল করে।

 

 

তবে এই এলাকায় বৈধ গাড়ির সাথে সাথে অবৈধ গাড়িরও অভাব নেই। আর সেই সকল অবৈধ  গাড়ির কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে একদল চিহ্নিত চাঁদাবাজরা। আর ইে সকল চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি পুরো সাইনবোর্ড এলাকার পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

 


এরা বর্তমানে সিএনজি আর রাস্তার দুই পাশের ফুটপাতে সিমাবদ্ধ থাকেনি সাইনবোর্ডে মহাসড়কের ফুটওভার ব্রিজ উপরেই বসিয়েছে বেশ কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট দোকান। আর এই সকল হকারদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৮০ টাকা করে নেয়। তবে এই ফুটওভার ব্রিজে হকারদের কারনে পথচারীরা বেশ সমস্যার মধ্যে পড়ছে।

 

 

আর যারাই তাদের এই চাঁদা তুলতে বাধা প্রদান করে তাদের ওপরই হয় অত্যাচার। বেশ কয়েকদিন  আগে এই চাঁদাবাজিতে বাধা প্রদান করায় রহিম বাদশা নামে এক যুবক সেখানকার কুখ্যাত চাঁদাবাজ সরল ও তার বাহীনির  হামলারও শিকার হন।

 


জানা যায়, এই সাইনবোর্ড এলাকায় প্রতিনিয়তই তিনশত সিএনজি থেকে ৬০ টাকা করে ১৮ হাজার, অটো থেকে ২১ হাজার , সাহেবপাড়া থেকে প্রতিটি বাস কাউন্টার থেকে ২৭০ টাকা করে ২৫ টি কাউন্টার থেকে উঠে ৬ হাজার ৭৫০ টাকা , মিতালী মার্কেটের সামনে ফুটপাতের দোকান থেকে উঠে ১০ হাজার , শুধু তাই নয় প্রো-এ্যাকটিভ হাসপাতালের ২০ টি এ্যাম্বুলেন্স থেকে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে ৪ হাজার টাকা তোলা হয়। প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা না থাকার কারনে প্রতিনিয়তই চাঁদাবাজি করেই যাচ্ছে।

 


অন্যদিকে সাইনবোর্ড এলাকায় র‌্যাবের সোর্স পরিচয়ে করিব অনেকটাই দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে সাইনবোর্ড এলাকা। কেউ তার এই চাঁদাবাজিতে বাধা দিলে তাকে প্রশাসন দিয়ে ধরিয়ে দেওয়ারও আসে অনেক হুমকি। তাই তাদের এই অপকর্মে কেউ বাধা দিতেও সাহস পাচ্ছেনা।

 


তবে এ বিষয়ে সাইনবোর্ড এলাকার চাঁদাবাজদের সর্দার ২ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুলের সাথে যোগায়োগ করা হয়ে তিনি এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং তিনি বলেন আমি ব্যবসা করি কোন ধরনের চাঁদাবাজিতে জরিত নই। আমরা সব সময় শ্রমিকদের কল্যাণে কাজ করি। আপনারা সরেজমিনে এসে তথ্য নিয়ে দেখেন, আমি চাঁদাবাজিতে জড়িত আছি কিনা।এন.হুসেইন রনী /জেসি

এই বিভাগের আরো খবর