শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নেতৃত্ব সংকটে শ্রমিকলীগ

রাকিবুল ইসলাম

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২  


# মহানগরে কমিটি নেই আট মাস

# ৪৫ দিনের মাঝে শ্রমিক লীগের কমিটির করার নির্দেশ: কাদির
 

ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকেও নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী হতে পারে নাই। জেলার সহযোগি সংগঠন গুলোও হযবরল অবস্থায় আছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শেষ হয়েছে প্রায় আট মাস।

 

 

 

 

কিন্তু নাসিক নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের দলীয় কার্যক্রম হযবরল অবস্থা হয়ে আছে। বিশেষ করে কয়েকটি সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় সেই সংগঠনের দলীয় নেতৃত্ব সংকটে পড়তে বসেছে। নাসিক নির্বাচানকে কেন্দ্র করে জেলার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন  মহানগর মহানগর শ্রমিকলীগ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

 

 

 

 

অভিযোগ রয়েছে সিটি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এছাড়া জেলা শ্রমিক লীগেরও পুর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হয়ে আছে এই সংগঠনটি। নামকাওয়াস্তে কোন রকম ভাবে দলীয় কর্মসূচি চলছে।

 

 

 


এদিকে আর দীর্ঘ আট মাস যাবৎ জেলা মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি না হওয়ায় সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। সেই সাথে নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায় দলও সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী না হয়ে এই সংগঠন আরও দূর্বল হয়ে আছে।

 

 

 

 

এছাড়া তৃনমূল নেতা র্কমীদের থেকে অভিযোগ উঠেছে মহানগর কমিটি নেই, তার মাঝে জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি দাবী করলেও এখাকে শ্রমিক লীগ বিভক্ত হয়ে আছে। আর এতে করে রাজনৈতিক বোদ্ধ মহলে আলোচনা হচ্ছে শ্রমিক লীগে নেতৃত্বে সংকট হয়ে আছে। এমন অবস্থায় পদ প্রত্যাশীদের দাবী জেলা মহানগরে দ্রুত কমিটি দিলে দলকে শক্তিশালী ভাবে সাজানো সম্ভব।

 

 

 


অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগ দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও তাদের অন্যতম প্রধান সহযোগী অঙ্গসংগঠন জেলা ও মহানগর শ্রমিক লীগ তেমন একটা শক্তিশালী হতে পারছে না। সেই সাথে পিছিয়ে রয়েছে শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের কার্যক্রম।

 

 

 

শক্তিশালী না হওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন কমিটি না থাকা। আর এতে করে ঝিমিয়ে পরছে দলীয় নেতারা। সেই সাথে নেতৃত্ব সংকটে পড়ে আছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী অঙ্গ সংগঠন গুলো।

 

 

 

 

অথচ একটা দলের প্রধান মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে সহযোগী সংগঠন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগে তা নেই। কিন্তু কমিটি না থাকলেও নতুন কমিটিতে যারা পদে আসতে চাচ্ছেন তারা তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে দলীয় নেতা-কর্মীদের সক্রিয় রাখছেন।

 

 

 


দলীয় সূত্রে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে পরের দিন মহানগর শ্রমিক লীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এই বছরের ১৬ জানুয়ারি নাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তখন অভিযোগ ছিল শ্রমিক লীগের নেতা কর্মীরা নৌকার পক্ষে কাজ না করায় এই কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

 

 

 

 

মহানগর শ্রমিক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন নাসিক ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল মুন্না। তার আগে মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপদি পদ থেকে সভাপতি কাজিম উদ্দিন পদ ত্যাগ করেন।  

 

 

 


জেলা শ্রমিক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আব্দুল কাদির জানান, ‘কেন্দ্র থেকে যখন আমাকে জেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করে দায়িত্ব দেয়া হয় তখন থেকে আমি সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি।

 

 

 

 

ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অনেক নেতা কর্মী শ্রমিক লীগে কাজ করতে আগ্রহী হয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। আমরাও তাদের নিয়ে দলকে শক্তিতে রুপান্তরিত করছি। আমরা জেলার সম্মেলন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। তারা আমাদেরকে চিঠি দিয়ে আগামী ৪৫ দিনের মাঝে কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছি।’

 

 

 

 

আমরাও সাংসদ শামীম ওসমানের সাথে আলোচনা করে জেলা শ্রমিক  লীগের কমিটি গঠনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। শীঘ্রই কমিটি হয়ে যাবে। তবে কমিটি না হলে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়ে। মহানগর শ্রমিক লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর কামরুল হাসান মুন্নার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর