বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

নৌ-থানার সামনে মাসে লাখ টাকা চাঁদাবাজি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২  


# আমি উচ্ছেদ এর ব্যবস্থা নেবো : এসপি
# মানবিক দৃষ্টিতে দেখে উচ্ছেদ করি না : নৌ ওসি    

বন্দর ১নং সেন্টার খেয়া ঘাটের দু’পাড়ে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকান। এ অবৈধ দোকানগুলো থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা চাঁদাবাজি করছে একটি নামধারী চাঁদাবাজ চক্র।

 

 

এ খেয়া ঘাটটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় এক লক্ষ লোক পারাপার হয়। ঘাটটির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানা। সদর নৌ- থানার মেইন ফটকের সামনে  রয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকান।

 

 

এসব অবৈধ দোকানীদের দখলের কারনে ঘাটের সামনে প্রতিদিনই সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ঘাটটির সামনে যানজট সৃষ্টি হওয়ার কারনে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।

 

 

গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দর ১নং খেয়া ঘাটের পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৬০টির বেশি অবৈধ দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি রয়েছে ভাসমান অবৈধ দোকান। আর বাকি ৪০টি রয়েছে সড়কের পাশে ছাউনি দিয়ে বানানো দোকান। এসব অবৈধ দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে ফলের দোকান, চায়ের দোকান ও জুতার দোকান।

 

 

জানা যায়, এ সকল অবৈধ দোকানগুলো থেকে নৌ-পুলিশের নামে  প্রতিদিন একশত টাকা করে চাঁদা তুলেন রফিক। রফিক প্রতিদিন খেয়াঘাটের সামনে থেকে প্রায় ছয় হাজার টাকা চাঁদা তুলেন। খেয়া ঘাটের সামনে রয়েছে তার দু’টি অবৈধ ফলের দোকান।

 

 

তিনি নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের একজন বড় জনপ্রতিনিধির নাম বিক্রি করে সেখানে চাঁদাবাজি করেন। তিনি সেখানকার দোকানদারদের বুঝান তিনি একজন বড় রাজনৈতিকবীদ এর লোক।

 

 

সেই জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নাম বিক্রি করে তিনি মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদাবাজি করে আসছেন। এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবৈধ দোকানদার জানান, রফিক আমাদের থেকে ১০০ টাকা করে প্রতিদিন নিয়ে যায়।

 

 

এ টাকা নাকি সে পুলিশ ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদের দেয়। এখানে রফিকের ও দু’টি দোকান রয়েছে। তাকে চাঁদা না দিয়ে তিনি দোকান উঠিয়ে দেয় এবং মারধর করনে।

 

 

এবিষয়ে রফিক জানান, আমি কোনো টাকা নেই না। প্রতি দোকান থেকে ৫০-৬০ টাকা করে দেয় পরিচ্ছন্ন কর্মী ও সিকরিটি গার্ডকে। আমার এই খানে একটি দোকান রয়েছে ও আরেকটি দোকানে আমি পার্টনার রয়েছি।

 

 

এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জানান, আমি এর উচ্ছেদ এর ব্যবস্থা নেবো। এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, চাঁদা কারা তুলে, কে নেয়, আমার কাছে এমন কোনো অভিযোগ আসে নাই।

 

 

থানার সামনে অবৈধ দোকান এর বিষয়ে তিনি জানান, মানবিক দৃষ্টিতে দেখে উচ্ছেদ করি না। অনেক সময় করি আবার করি না।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর