শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নাসিক নির্বাচনী পোষ্টমর্টেম-১

পপি কেন হেরে গেলেন

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২২  

চার দিন আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সম্পন্ন হলেও এ নির্বাাচনের রেষ এখনো সম্পুর্ণ মিলিয়ে যায়নি। নির্বাচন নিয়ে এখনো নানা ব্যখ্যা ও বিচার বিশ্লেষণ চলছে। পরাজিত প্রার্থীরা এখনো খুঁজে বেড়াচ্ছেন, তারা কি কি ভুল করেছেন এবং সময় মতো কি করলে তারাই বিজয়ী হতেন। এ সব বিশ্লেষণে বেশ মজার মজার তথ্য উঠে আসছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৩৭ জন ও সংরক্ষিত ৯টি মহিলা কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন নারীসহ সর্বমোট ১৮৩ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৩৭ জন বিজয়ী হতে পেরেছেন, বাকী ১৪৬ জনই পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচনের পর এসব পরাজিত প্রার্থীরা খুঁজে বেড়াচ্ছেন, কেন এবং কি কি কারণে তারা হেরে গেলেন? সময় মতো কি করলে তারাই হতেন বিজয়ী।

শহরে একটি স্থায়ী ঠিকানা না থাকা ও সংখ্যালঘু হওয়ার কারনে হেরেছেন পপি রাণী সরকার। নাসিক ১৩, ১৪ ও ১৫নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আসনে তিনজন প্রার্থী হয়েছিলেন। এরা হলেন পপি রাণী সরকার, দিলারা মাসুদ ময়না ও শারমিন হাবিব বিন্নি। এদের মধ্যে খেলাপি হওয়ার কারণে ময়নার মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হয়। বিন্নি ও পপির মধ্যে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিন্নি ২০৪১২ ভোট এবং পপি ১৮৮৫০ ভোট পেয়ে ১৫৬২ ভোটে বিন্নির কাছে পরাজিত হন। নির্বাচন পরবর্তি বিচার বিশ্লেষণে নির্নিত হয়েছে, শহরে পপির কোন স্থায়ী ঠিকানা না থাকা এবং সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে পপি পরাজিত হয়েছেন। পপি হিন্দু হওয়ার কারণে অনেক কট্টর মুসলমান পরিবার তাকে ভোট দেয়নি। আবার পপি শহরে ভাড়াটে হওয়ার কারণে অনেককে বলতে শোনা গেছে, পপি পাশ করলে তাকে কোথায় খুঁজতে যাবো। তারচেয়ে যাকে সব সময় পাওয়া যাবে তাকেই ভোট দেই। এদিকে, ময়নার প্রার্থীতা বাতিলও বিন্নির পক্ষে গেছে বলে নির্বাচন পরবর্তি বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

এই বিভাগের আরো খবর