বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পার্কগুলোতে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ

এস এম সুলতান

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০২২  


# স্কুল ও কলেজ চলাকালীন কাউকে পাওয়া গেলে পার্ক মালিককেও জেল দেওয়া হবে :  ডিসি
 

নারায়ণগঞ্জে বিনোদন কেন্দ্র ও পার্কগুলোতে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। মাদক ব্যবসা ও সেবনের মতো কাজ এ যেনো দেখার কেউ নেই। বাংলাদেশের অন্যতম জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ। এই জেলার ঐতিহাসিক তাৎপর্যসহ শিল্প ও শিক্ষা খাতে রয়েছে বিশেষ এক ভূমিকা। সারাদেশে মানুষ একসাথে মিলে মিশে বাস করে এই শহরে, তাই অন্যতম জনবহুল একটি জেলা হলো নারায়ণগঞ্জ।

 

 

তেমনি নারায়ণগঞ্জ জেলার মানুষ খুব ভ্রমণ রসিক তাই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র যার থেকে নগরবাসী সুফল পাওয়ার কথা থাকলেও এখন গলার কাটা হয়ে পরেছে পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র গুলো। শহরের খানপুরে চৌরঙ্গী ইকোপার্ক, ফতুল্লা পঞ্চবটি অ্যাডভেঞ্চার লেনপার্ক, দেওভোগ শেখ রাসেল পার্ক ও মদনপুরের সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট, রূপগঞ্জের জিন্দাপার্ক ও শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়।

 

 

এসব স্পটে প্রতিদিন জড়ো হয় হাজার হাজার তরুণ-তরুণী। এখানে বিনোদনের নামে প্রকাশ্যে চলছে অশ্লীলতা। বিনোদনের জন্য তৈরি হলেও এখানে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক বিক্রি ও সেবনের মত ঘটনা। ৫০ বা ১০০ টাকার বিনিময় পার্কে প্রবেশ করে পাচ্ছে অফুরন্ত সময় ও কঠিন নিরাপত্তার ব্যবস্থা।

 

 

পরিবার আত্মীয় স্বজন ও প্রশাসন চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব কর্মকাণ্ড করে বেরাচ্ছেন হাজার হাজার যুবক-যুবতী। এসবের দিকে ঝুঁকে পড়ছে নারায়ণগঞ্জের স্কুল ও কলেজ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিন অগণিত কিশোর কিশোরী ও তরুণ-তরুণী সহ নানা বয়সের প্রেমিক-প্রেমিকা নামধারীরা এ পার্কে গিয়ে যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে।

 

 

ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে ঝোপঝাড়ের ভিতরে যুবক-যুবতী ও কিশোর কিশোরীরা আপত্তিকর অবস্থায়। কলেজ ও স্কুলের পোশাক পড়ে পার্কগুলোতে প্রবেশ নিষেধ থাকলেও কে মানে কার কথা! পার্ক মালিকরা কিছু টাকা লাভের আশায় মানছে না সরকারি কোন নিয়ম কানুন।

 

 

পার্কে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা রফিক নামে একজন বলেন, পার্ক হলো একটি বিনোদন কেন্দ্র এখানে সবাই আসে ঘুরতে ও বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য যাতে তারা একটু মন খুলে ঘুরে আনন্দ করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে পার্কে আসলে মনে হয় একটা একটি বিনোদন কেন্দ্র না এটা একটি রোমাঞ্চ করার স্থান। যেখানে তরুণ-তরুনীদের আপত্তিকর অবস্থান, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।

 

 

পার্ক এর পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতে ভয় পায় কারণ সাথে ছোট বাচ্চারা থাকে; তারা তো এগুলা দেখে খারাপ কিছু শিখছে। টাকা খরচ করে পরিবার নিয়ে তো কেউ এসব দেখতে আসবে না।

 

 

এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘স্কুল ও কলেজ চলাকালে যদি আমরা কোনো পার্কে এধরণের কার্যক্রম দেখি তাহলে ঐ পার্ক মালিকসহ জেল ও জরিমানা করা হবে। আমরা গত কালকেও একটি পার্কে অভিযান করে ৫ জনকে আটক করেছি এবং তাদের পরিবার থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদের মুক্তি দিয়েছি; আমাদের অভিযান সব সময় চলবে।

 

 

তারা স্কুল ব্যাগে মাদক সহ নানা ধরনের জিনিস নিয়ে ঘুরে। আমি সকল স্কুলে এবং কলেজে সবাইকে সতর্ক করে বলেছি, আপনারা মিটিং করে ছেলে ও মেয়েদের সর্তক করেন; যাতে তারা স্কুল ব্যাগে আজে বাজে জিনিস না রাখে। সকল অভিভাবকরা আপনাদের সন্তানের খেয়াল রাখবেন যাতে তারা বিপথগামী না হয়। 

এই বিভাগের আরো খবর