শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবার : ৩৯ জন স্ত্রী, মোট সদস্য ১৮১

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : বর্তমান যুগে এক পরিবারে চার-পাঁচ জনের বেশি সদস্য তেমন দেখা যায়না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেরা নিজের বাবা-মাকে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকে। কিন্তু আজ এমন এক ব্যক্তির খোঁজ জানাবো, যিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক।

 

ভারতের মিজোরাম প্রদেশের বাকতওয়াং গ্রামে অবস্থিত এই চারতলা বাড়িটিতে ঘরের সংখ্যা ১০০। সেখানে ১৮১ জন সদস্যের বসবাস। পরিবারের মধ্যে এই ব্যক্তির ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন বউমা এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি রয়েছে। 

 

বিশ্বের বৃহত্তম এই পরিবারের প্রধান হলেন ৭৩ বছর বয়সী জিয়োনা চ্যান। পরিবার নিয়ে চ্যান বলেন, ‘আমি নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তান বলে মনে করি। কারণ তিনি আমাকে এতজনের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান স্বামী মনে করি, আমার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের আমি প্রধান কর্তা।’

 

চ্যান প্রথম বিয়ে করে ১৭ বছর বয়সে। তারপর থেকে বিয়ে করা যেন তার নেশা হয়ে ওঠে! একে একে বিয়ে করে ৩৯টি বিয়ে। চ্যান বলেন, ‘আমি আরো বেশ কয়েকজন নারীর দ্বায়িত্ব নিয়ে চাই। আমার প্রথম স্ত্রীসহ বাকিদের কোনো আপত্তি নেই। বুঝতেই পারছেন আমি এবং আমার পরিবার কতটা সুখী।’


 
নিজের পুত্র, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানেরা একই বাড়ির অন্য ঘরে থাকেন। কিন্তু তারা একই রান্নাঘর ব্যবহার করেন। স্ত্রীরা রয়েছেন রান্নার দায়িত্বে। আর কন্যারা রয়েছেন ঘর পরিষ্কারের দায়িত্বে। পুরুষেরা চাষবাস করেন কিংবা পশুপালনে ব্যস্ত থাকেন। নিজেদের আয় ছাড়াও অনুগতরাও অনেক সময় দান করে থাকেন। পরিবারের সব সদস্যের জন্য প্রতিদিন ১০০ কেজি চাল এবং ৭০ কেজিরও বেশি আলুর প্রয়োজন হয়।

 

চ্যান বড় ডাবল বেডে একা শুতেই পছন্দ করতেন। কিন্তু যখন তিনি বিছানায় থাকেন তখন তার সব স্ত্রী একসঙ্গে বহু শয্যাবিশিষ্ট একটি শয়ন কক্ষে রাত্রি যাপন করেন। তবে সবচেয়ে ছোট স্ত্রীকে তিনি সব সময় তার ব্যক্তিগত কক্ষের একটি কাছের কক্ষেই রাখেন। আর একটু বেশি বয়স্ক অন্য স্ত্রীরা অনেকটা দূরে অবস্থান করেন। তবে পালাক্রমে তাদের সবাই একবার করে তাদের মহান এ স্বামীর সাক্ষাতের সুযোগ পান। 

 

চানার ৩৫ বছর বয়সী স্ত্রী রিঙ্কমিনি বলেন, বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হওয়ার কারণে আমরা সব সময় তার আশপাশেই থাকার চেষ্টা করি। চানা এ গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা ভালই আছি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসার দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ আমাদের পরিবার।