পোষ্টার লাগানোর সময় বৈধ, পরে অবৈধ!
প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮
আমরা ভাবি কম; আর করে ভাবি বেশি। সর্বনাশ হয়ে যাবার পরে ভাবি। টাকা কড়ি জলে যাবার পরে ভাবি। দেয়ালে কোটি কোটি টাকার যখন পোষ্টার লাগানো হলো সবাই তখন চুপ। একদম মুখে কুলুপ আঁটা। লাগানোর পরে বলে তুলে ফেল ব্যাটা। প্রতিবারই এটা করে নির্বাচন কমিশন। এবারও করেছে। ক্যান করে বুঝি না। নির্বাচন কিংবা কোন পালা-পার্বণে আমাদের বিল্ডিংয়ের দেয়াল গুলো পোষ্টারে আঁটা থকে।
নির্বাচন এলে কে কত পোষ্টার লাগাতে পারবে রিতিমত তার প্রতিযোগিতা চলে। তাতে কোটি কোটি টাকার অপচয় ঘটে। কেউ তা নিয়ে ভাবে না। পোষ্টার লাগিয়ে রাখা গেলে না হয় পোষ্টার লাগাক। যেহেতু লাগিয়ে আবার তুলে ফেলতে হয় তাহলে অর্থের অপচয় আর দেয়ালের সুন্দর্যহানী ঘাটিয়ে ফায়দাটা কি তাতে? লাগানোর সময় বাঁধা দেয় না নির্বাচন কমিশন; তোলতে সময় বেঁধে দেয়া ঠিকই। বিষয়টা কি এমন লাগানোর সময় তা বৈধ, আর লাগানোর পর অবৈধ হয় লাগানো পোষ্টার গুলো। প্রশ্ন হলো-‘খুনসুটিই বা করছ কেন,কাইন্দইবা মরছ কেন?’
পোষ্টার, ব্যানারে সোন্দর্য্য দেখে কি কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়? পোস্টার-ফেস্টুনে ভোট হয় না। এ কথা দু’দিন আগে সড়ক মন্ত্রী নেতা কর্মীদের এ কথা বলেছেন। আজকাল সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ আর মাদক ব্যবসায়ী, খুনীরা মন্ত্রী এমপির ছবি সহ পোষ্টার তৈরি করে নিজেকে জনদরদী আর সাচ্ছা লোক প্রমানের কষড়ৎ করে থাকেন। মানুষ এসব পোষ্টার দেখে বিভ্রান্ত হয়।
জনগন ভালো মন্দ বিচার করতে পারে না। কাঁচা টাকার মালিক, অবৈধ সম্পদের মালিকরাই বেশি বড় বড় পোষ্টার, ব্যানার ছাপিয়ে নিজেকে বড় নেতা বানাতে চান। দলে এদের কি খুব প্রয়োজন? মন্ত্রী এমপির সাথে ছবি থাকলে সে দলের ভাবমুর্তি আর থাকে না। পোষ্টার ব্যানারে লেখা থাকে ওমক মন্ত্রীর, ওমক নেতার আস্থাভাজন। কখনো কখনো লেখা থাকে প্রিয় মানুষ, জনদরদী আবার লেখে সাদামনের, সৎ চরিত্রের মানুষ ইত্যাদি ইত্যাদি।
অথচ এসব কথিত মানুষগুলোর বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণ, খুন কিংবা অন্য কোন দু’ চারটা মামলা ঝুলে আছে। মাদক ব্যবসায়ী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী, খুনি, ধর্ষক যদি পোষ্টার ব্যানারের এসব লিখে পাড়া মহল্লা ভরে ফেলে অবশিষ্ট কি আর থাকে?তাছাড়া যারা সাধারন ভোটার তাঁরা এসব বাক্যে প্রয়োগে বিভ্রান্ত হন। তাদের কথায় পটে যান। এসব চরিত্রের মানুষ গুলো মিষ্টি মিষ্টি সব বিভ্রান্তমূলক কথা লিখে অযাথা দলকে কুলষিত করছে।
এদের রোধে আমাদের রাজনৈতিক দল গুলো কি করছে? দলের লোকজন দরকার, টাকাওয়ায়ালাদের দরকার তা যে যেভাবেই কামাই করে টাকাওয়ালা হয়েছে তাতে কিছু এসে যায়না। ওদের কি এতই দরকার দলগুলোর? গণতন্তের কমতি থাকলে, দলের নেতাগণ অসৎ হলে,সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ আর মাদক ব্যবসায়ী, খুনীরাতো চটকদার পোষ্টার এ্যাঁটে মস্ত নেতা বনে যাবেনই বটে!
যাই হউক পোষ্টার লাগানোর সুযোগ দিচ্ছি, আবার তুলে ফেলার কথাও বলছি আমরা। অর্থ ব্যায় করে পোষ্টার লাগানো হলো। আবার তুলে ফেলার দিন ধার্য্য করারর পর তা তুলে ফেলতে সবাই ব্যস্ত। প্রধমত পোষ্টারে খরচ যা দেশের সম্পদ নষ্টের পর্যায়ে থাকে। কাগজ, কালি, ছাপা মেশিন এর সবই ডলারে কিনতে হয়। দ্বিতীয়ত আমরা বাড়ি ঘর আর অফিস আদালতের সৌন্দর্য র্বর্ধনে দেয়ালগুলোর রং করে পরিবাটি করে রাখি। সেই সুন্দর রং করা দেয়ালে আটা ময়দার আঠা লেপটে পোষ্টার লাগানো হয়। পোষ্টারের উপর পোষ্টার লাগানোর প্রতিযোগিতাও চলে।
এখানে শুধু বিল্ডিং গুলোর সৌন্দর্যই নষ্ট হয় না। পরের রং করতে টাকাকড়িরও অবচয় হয়। দেয়ালগুলোর স্থায়িত্বও নষ্ট হয়। তৃতীয়ত্ব- লাগানো পোষ্টার তুলতে জনবলের অবচয় হয়। এখানে কোথাও লাভ দেখিনা। বিষয় গুলেঅ নিয়ে আমাদের নির্বাচন কমিশন আর যারা দেশ পরিচালনা করেন তাঁরা কি ভাবেন?
এমন ভাবনা আমাদের দেশে খুব কম হয়। সরকারী অর্থ অপচয় করে রাষ্টের অনেকেই বাহিরে সফরে যান। দেশের জন্য তারা কি নিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকে কিছু শিখেও আসেন না, শিখার জন্য কোন উপদেশও দেন না। সর্বশেষ যখন মালয়েশিয়াতে গেলাম তখন সেখানকার জাতীয় নির্বাচন চলছে। তখন পোষ্টার মিছিল আর মানুষের জটলা চোখে পড়েনি আমার। তারাতো দেয়ালে পোষ্টার না এ্যাঁটেই দিব্বি নির্বাচন করছে। সেখানকার বাংলাদেশের হাই কমিশনের এক পদস্থ্য কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে জিঙ্গেস করতে বলেন, “ওরা এসব ভাবে না।
কোথাও নির্বাচন হলে বোঝাও যায় না সেখানে নির্বাচন হচ্ছে কি না। নির্বাচনের দিন যে যার মতো কাজ করছে আবার সময় মতো ভোটও দিয়ে আসছে।” তাঁর কথার সত্যতা পেলাম ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে। তিনি বলছিলেন আমাদের হোটেলে নামি দিয়ে তিনি ভোট দিতে যাবেন। ড্রাইভার বাংলাদেশী দিনাজপুরে বাড়ি। আরও বললেন আমাদের মতো জনগনের মধ্যে এখানে এতো হৈ চৈ নেই নির্বাচন নিয়ে। ভোট দেবার সময় হলে শুধু ভোট দিতে যায মানুষ।
তবে সঠিক লোককে ভোট দিতে মোটেও ভুল করে না তাঁরা। পোষ্টা, ব্যানার দেখে, চটকদার কথায় আঁটকে, বিভ্রান্ত হয়ে কাইকে তারা ভোট দেয় না। ড্রাইভার ভাই আরও বললেন “গোটা রাস্তায় খেয়াল করুন, পোষ্টার নেই”। তবে যতদুর জেনেছি নিদৃষ্ট জায়গায় তারা পোষ্টার ব্যানার লাগায়। প্রশ্ন হলো মালয়েশিয়া ভাবে আমরা কেন ভাবি না বিষয়টি নিয়ে। আমাদের নির্বাচন কমিশন বিষয়টি ভাবনায় আনুক।
কাগজের অপচয়ের কথা আমাদের মাথায় রাখকে হবে।আমাদের কাগজ শিল্পের খুব একটা সুদিন যাচ্ছে না। আমরা যেসব পোষ্টার দেয়ালে লাগাই তার বেশিভাগই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। মিথ্যা ঘোষণায় ও বিনা শুল্কে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবাধে আমদানি হচ্ছে এসব কাগজ। এর পর সেসব কাগজ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে। বিপণি বিতান হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশের মুদ্রণ শিল্প ও শিক্ষার্থীদের হাতে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে কাগজ আর ফরমালিন- দুটোই আমদানি হয় মিথ্যা ঘোষণায়।
কাগজশিল্প সোনালী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ ভাইয়ের অফিসে কথা প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, দেশে কাগজের মোট বাজারের পরিমাণ বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে কাগজশিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ খাত হিসেবে আত্দপ্রকাশ করেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭১টি কাগজ ও কাগজ জাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কারখানাগুলোর বছরে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১২ লাখ টন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের কাগজকলগুলো প্রায় ৩০টি দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এর পরও বাজার ছেয়ে গেছে বিদেশী কাগজে।
দেশের কাগজশিল্পের এমন স্বয়ংসম্পূর্ণতার সময়েও বিদেশি কাগজের অবাধ আমদানি কমছে না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এর বড় অংশই আসছে মিথ্যা ঘোষণায়, অন্য পণ্যের নামে। আর মিথ্যা ঘোষণায় দেশে যে পরিমাণ কাগজ আসছে, তার চেয়ে বহু কম আসছে বৈধপথে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশ থেকে বৈধভাবেই কাগজ আমদানি হয়েছে ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কাগজ আমদানিতে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কাগজ আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণটি উদ্বেগজনক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে চিঠি পাঠায়, তাতে দেশীয় শিল্প রক্ষার পাশাপাশি নিম্নমানের কাগজ কিনে ভোক্তারা যাতে প্রতারিত না হয়, সে জন্য মিথ্যা ঘোষণায় আনা কোনো কাগজ যাতে শুল্ক বিভাগ খালাস না করে সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তার পরিপ্র্রেক্ষিতে রাজস্ব বোর্ডও শুল্ক স্টেশনগুলোতে নির্দেশ পাঠিয়েছে। তবুও জাল-জালিয়াতি করে কাগজ আসা কমছে না। ঢাকার কাগজের পাইকারি বাজারগুলোতে প্রকাশ্যেই এসব কাগজ বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে টিসিবির মাধ্যমে আমদানির পর সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার উদ্যোগ নিলেই অবৈধ আমদানি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি।
আমার প্রিয় মানুষ সাবেক জজ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ইকতেদার আহমেদ বলেছিলেন- “যেকোনো নগর বা শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব নগর বা পৌর কর্তৃপক্ষের। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে দেয়ালে কোনো রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির বক্তব্য-সংবলিত লেখা বা কোনো রূপ পোস্টার লাগানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং উভয় কাজই অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
উন্নত দেশের নাগরিকরা তাদের নগর ও শহরকে পরিচ্ছন্ন বা সুন্দর রাখা নিজেদের কর্তব্য বিবেচনা করায় তারা আইনের বিধানের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে নিজেরাই এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকে। আমাদের দেশে নাগরিকদের সৌন্দর্যবোধের অভাব ও অসচেতনতার কারণে লেখা ও পোস্টারবিহীন দেয়াল কদাচিত্ দেখা যায়। আর এ ধরনের দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানোর কারণে নগর ও শহরের দেয়ালগুলোর একদিকে সৌন্দর্যহানি ঘটে, অন্যদিকে পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন হয়। আমাদের দেশে দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো ব্যাপকতা লাভ করে যখন জাতীয় বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন অত্যাসন্ন হয়।
আমাদের বিভিন্ন সরকারি অফিস ও ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ির দেয়ালে প্রায়ই রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক বক্তব্য-সংবলিত লিখন প্রত্যক্ষ করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন পণ্যের ও ব্যক্তির প্রচারণামূলক পোস্টার দ্বারা বছরের অধিকাংশ সময় দেয়ালগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশ আবৃত থাকতে দেখা যায়।”
আমরা কি এ বিষয়ে আইন করতে পারি না? আইন করলে সৌন্দর্য রক্ষা হবে, অর্থের অপচয় রোধ, জনগন বিভ্যান্তির হাত থেকে রেহাই পাবে। তা হলে পোষ্টার ব্যানার বিষয়ক কেন আইন করা হচ্ছে না? দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো আইন সম্ভবত আছে, থাকলেও তা বাস্তবায়ন নেই।
যেকোনো ধরনের দেয়াল লিখন মোচন ও দেয়াল থেকে পোস্টার অপসারণ সরকারি সংস্থা বা বাড়ির মালিকের জন্য বাড়তি ব্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। উন্নত বিশ্বে দেয়াল লিখনের প্রচলন নেই। তবে উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পোস্টার লাগানোর জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে এবং যেকোনো রাজনৈতিক দল, প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে নির্ধারিত জায়গায় পোস্টার লাগাতে পারে। এ ব্যবস্থাটি নগর বা শহর কর্তৃপক্ষ করে থাকে এবং এর মাধ্যমে নগর বা শহর কর্তৃপক্ষের বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
কাগজের অপচয়ের কথা আমাদের মাথায় রাখকে হবে। আমাদের কাগজ শিল্পের খুব একটা সুদিন যাচ্ছে না। আমরা যেসব পোষ্টার দেয়ালে লাগাই তার বেশিভাগই বিদেশ থেকে আমদানিকৃত। মিথ্যা ঘোষণায় ও বিনা শুল্কে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অবাধে আমদানি হচ্ছে এসব কাগজ। এর পর সেসব কাগজ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন পাইকারি মার্কেটে। বিপণি বিতান হয়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশের মুদ্রণ শিল্প ও শিক্ষার্থীদের হাতে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বিদেশ থেকে কাগজ আর ফরমালিন- দুটোই আমদানি হয় মিথ্যা ঘোষণায়। কাগজশিল্প সোনালী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুছ ভাইয়ের অফিসে কথা প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, দেশে কাগজের মোট বাজারের পরিমাণ বছরে ছয় হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশে কাগজশিল্প স্বয়ংসম্পূর্ণ খাত হিসেবে আত্দপ্রকাশ করেছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৭১টি কাগজ ও কাগজ জাতীয় পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কারখানাগুলোর বছরে মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১২ লাখ টন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশের কাগজকলগুলো প্রায় ৩০টি দেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এর পরও বাজার ছেয়ে গেছে বিদেশী কাগজে। দেশের কাগজশিল্পের এমন স্বয়ংসম্পূর্ণতার সময়েও বিদেশি কাগজের অবাধ আমদানি কমছে না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। এর বড় অংশই আসছে মিথ্যা ঘোষণায়, অন্য পণ্যের নামে। আর মিথ্যা ঘোষণায় দেশে যে পরিমাণ কাগজ আসছে, তার চেয়ে বহু কম আসছে বৈধপথে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে বিদেশ থেকে বৈধভাবেই কাগজ আমদানি হয়েছে ৯ কোটি ২৬ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে কাগজ আমদানিতে ব্যয় হয় ১১ কোটি ৬০ লাখ ডলার। মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কাগজ আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণটি উদ্বেগজনক।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-কে চিঠি পাঠায়, তাতে দেশীয় শিল্প রক্ষার পাশাপাশি নিম্নমানের কাগজ কিনে ভোক্তারা যাতে প্রতারিত না হয়, সে জন্য মিথ্যা ঘোষণায় আনা কোনো কাগজ যাতে শুল্ক বিভাগ খালাস না করে সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তার পরিপ্র্রেক্ষিতে রাজস্ব বোর্ডও শুল্ক স্টেশনগুলোতে নির্দেশ পাঠিয়েছে।
তবুও জাল-জালিয়াতি করে কাগজ আসা কমছে না। ঢাকার কাগজের পাইকারি বাজারগুলোতে প্রকাশ্যেই এসব কাগজ বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে টিসিবির মাধ্যমে আমদানির পর সংশ্লিষ্টদের চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার উদ্যোগ নিলেই অবৈধ আমদানি ঠেকানো সম্ভব হবে বলে আমরা মনে করছি।
(লেখক- মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক, কলামিষ্ট, গবেষক।
- বড় রাজুর শেল্টারে সাল্লু-হীরা
- হিরণে ধ্বংসের পথে বন্দর উপজেলা বিএনপি
- ‘সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচন হলে আমি অবশ্যই বিজয়ী হবো’
- মাকসুদের টাকা উড়ছে
- কাজিমউদ্দিনের মৃত্যুর পরে বেকায়দায় চাঁদাবাজ সবুজ সিকদার
- প্রকাশ্যে মানুষ খুন করার হুমকি দিচ্ছে ফেরদৌস-আউয়াল!
- খানপুর হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- ইউনাইটেড নীটওয়্যারের শ্রমিকদের মানববন্ধন
- দাওয়াত পাননি মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক
- আবহাওয়ার বিপজ্জনক দেশান্তরি
- কালাম-বাবুতে জমজমাট লড়াই
- ‘এই গরমে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে কিছু টিপস’
- মাওলানা আউয়ালের মতলববাজি
- বন্দর ইউএনও’র বাসভবনের আনসার সদস্যের ‘আত্মহত্যা’
- মাকসুদকে জয়ী করতে বিএনপি নেতাদের উপর হিরণের চাপ
- তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ কাশিপুরবাসী
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট বন্দর
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত
- তাপপ্রবাহ কমাতে নাসিকের জল কামান
- গরমে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান-ছাতা-হাতপাখার, দামও চড়া
- অভাব দারিদ্রের কষাঘাতে সাধারণ মানুষ
- প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমান শামীম ওসমান
- রূপগঞ্জে দেদারসে চলছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা” অবাধে পুড়ছে কাঠ
- তীব্র রোদে কাজ করতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- কালাম-বাবুর খোঁচাখুঁচি
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে মরিয়া সাল্লু ও হীরা বাহিনী
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- এমপির সন্তান হুইপের আত্মীয়রাই ফ্যাক্টর
- সুফিয়ানকে চাপে ফেলার কৌশল
- পরিত্যক্ত গুদামে যুবকের লাশ
- বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সানুর চ্যালা আজমেরীর ঘাড়ে
- চতুর্মুখী গ্যাড়াকলে রশীদ
- আইভীকে হুমকি দেয়ায় ক্ষুব্ধ আ.লীগ
- শামীম ওসমানের কাছে হকার সমস্যার সমাধান
- অনলাইনে কালামের মনোনয়নপত্র জমা
- সদরের ভাগ্য নির্ধারণ আজ
- ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব বুঝে নিলেন চেয়ারম্যান ফাইজুল ইসলাম
- সোনারগাঁ-রূপগঞ্জ নির্বাচনে আ.লীগের প্রতিপক্ষ আ.লীগ
- সুফিয়ান আউট চাপে মাকসুদ-মুকুল
- রূপগঞ্জে পাপ্পা-সেলিম দ্বৈরথ
- কেউ কাউকে ছাড় নয়
- প্রফুল্ল আজাদ-নাজিম
- শুনানি হলেও সিদ্ধান্ত আসেনি
- বিএনপিতে হিমশীতল হতাশা
- বন্দরে অবশেষে উত্তপ্ত হলো নির্বাচনী ময়দান
- একজন নুরুজ্জামান খাঁনের অপেক্ষায় রূপগঞ্জবাসী
- আতাউর রহমান মুকুলকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা
- H2o নিয়ে আমরা হাসি, দিন শেষে আমাদের নিয়ে হাসে তারা!
- একজন তরুন কবির চোখে বঙ্গবন্ধু
- আশীর্বাদ না অভিশাপ কিং মেকার!
- আজ গৌর পূর্ণিমা, শ্রী চৈতন্য দেবের আবির্ভাব তিথি
- একজন বাঙালী মা ও মুক্তিযুদ্ধ
- দীপাবলী শ্যামাপূজা ও বাঙালি নারী
- পরিবেশ সুরক্ষা ও নান্দনিক পরিবেশ বাস্তবায়িততেই -সামাজিকের অগ্রগতি
- সাইফুল্লাহ বাদল বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক
- নারী দিবসের তাৎপর্য নেই
- মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুলালকে দাদা’র প্রার্থী ঘোষণা
- শেখ হাসিনার একটি বাড়ি একটি খামার বিষয়ক আশ্রয়ণ প্রকল্প
- বায়ুদূষণ রোধে করণীয়
- বসন্তে বাসন্তী পূজার ইতিবৃত্ত
- রাজার দোষে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়
- পোষ্টার লাগানোর সময় বৈধ, পরে অবৈধ!