বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রকাশ্য চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত ট্রাফিক পুলিশ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২  


#  ডিউটি ফাঁকি দিয়ে চাঁদাবাজি ট্রাফিক পুলিশের

# আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি : এডি.এসপি (ট্রাফিক)
 

নারায়ণগঞ্জ শহরে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা ডিউটির বাদ দিয়ে মৌমিতা ও অনাবিল পরিবহণ থেকে চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত, শহরের চাষাড়া মোড়ে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ঘটছে এমন ঘটনা। বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এমন চিত্র দেখা যায়।

 

 

শহরের তীব্র যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে মৌমিতা ও অনাবিল পরিবহণ, চাষাড়া মোড়ে ও শহীদ মিনারে সামনে লাইন ধরে রেখে যাত্রী উঠানোর জন্য শহরে তৈরি বিশাল এক যানজট। ট্রাফিক পুলিশের কাজ হচ্ছে যানজটমুক্ত সড়ক রাখা; কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ নিজেই রাস্তার মাঝখানে গাড়ি থামিয়ে কাগজ চেক করার নামে করছে চাঁদাবাজি।

 

 

চাষাঢ়া মোড়ে যাতে গাড়ি না থামিয়ে রাখে তার জন্য মৌমিতা ও অনাবিল পরিবহণের পক্ষ থেকে ৩/৪ জন লাইন ম্যান রাখা হয়েছে কিন্তু তারাও ট্রাফিক পুলিশের সাথে মিলে চাঁদাবাজি করতে দেখা যায়, যা ছবিতে দৃশ্যমান।

 

 

ট্রাফিক পুলিশের টিআই ইমরান এর সামনে কনস্টবল রাসেল ও বাকি সদস্যরা করছে চাঁদাবাজি। প্রতিটি বাস থেকে ৫০/১০০ টাকা করে গাড়ির হেলপার, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও লাইন ম্যানের হাতে টাকা দিচ্ছে।

 

 

যে গাড়ি টাকা না দেয় তাকে যাত্রী নিতে দিচ্ছে না ট্রাফিক সদস্যরা। ডিসি-এসপিসহ  নারায়ণগঞ্জবাসীর সকলের গলার কাঁটা হিসাবে পরিচিতি মৌমিতা পরিবহণ। 

 

 

মৌমিতা ও অনাবিল পরিবহন রোড পারমিট সাইনবোর্ড পর্যন্ত কিন্তু তারা পুলিশের সাথে সম্পর্ক করে চাষাড়া পর্যন্ত আসে তার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ কঠোরভাবে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশ দেন। এরপর কিছুদিন ট্রাফিক পুলিশের কিছু মামলা দিলেও শহরের আসা বন্ধ হয়নি মৌমিতা পরিবহণের; যার মূলে রয়েছে বড় কর্তাবাবুদের হাত।

 

 

তাদের এরকম চাঁদাবাজির কারণে শহরে তৈরি হয় তীব্র যানজট তাতে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের কিছু যায় আসে না। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, ‘আপনি আমাকে ভিডিও ফুটেজ গুলো দেন, তার পরে আমি দেখছি।’

 

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মো. সোহান সরকারকে ‘যুগের চিন্তা’র’ কাছে থাকা তথ্য প্রমাণসহ ভিডিও ফুটেজ থাকার কথা বললে তিনি বলেন, ‘আপনি আমাদের ভিডিও পাঠান তারপরে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’ এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর