বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

প্রতিযোগিতা পুরনো কৌশল নতুন

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২৩  


# উত্তর-দক্ষিণ মেরুর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

# বর্তমান-সাবেক সাংসদের কথার লড়াই

 

আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি উত্তপ্ত হচ্ছে। এই মার্চ মাসে এক দিকে ত্বকী হত্যার বিচার দাবীতে ওসমান পরিবারের প্রতি চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। অপরদিকে আগামী নির্বাচন ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের উত্তর দক্ষিনের পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে রাজনীতির মাঠে জমে উঠেছে।

 

 

শহরের রাজনীতিতে শামীম ওসমান বলয়ের কর্মী সমর্থকদের উত্তর বলয়ের হিসেবে জানান রাজনৈতিক মহল। তার বিপরীতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অনুসারীদের দক্ষিণ বলয় হিসেবে চিনে। তার মাঝে বিএনপি একের পর এক সমাবেশ করে সরকার পতনের হুঙ্কার দিচ্ছে।

 

 

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের উত্তর-দক্ষিণ মেরুর দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ পেয়েছে। অপর দিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান একই আসনের সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন একে অপরকে রাতে ভোটে এমপি হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

 

 

অপরদিকে গিয়াসউদ্দিন শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বর্তমান সাংসদের পরিমণ্ডল ছোট হয়ে এসেছে। কোথাও বলার সুযোগ না পেয়ে এখন বাচ্চা আর তাদের অভিভাবকদের বক্তব্য শোনানোর জন্য বেঁছে নিয়েছেন। 

 

 

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের বাকযুদ্ধে সরগরম গোটা নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি। এই দুই নেতার মাঝে উত্তর দক্ষিণে আওয়ামীলীগের দুই জনপ্রতিনিধির পুরনো সূত্রতা জেগে উঠেছে। একই সাথে শির্ষের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন গুরু।

 

 

তার মাঝে আওয়ামী লীগ বিএনপির রাজপথে বিক্ষোভ সভা করে কর্মীদের সক্রিয় রেখেছে। বিএনপি সরকার পতনের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ তাদের দমনে শান্তি সমাবেশ করছে।

 

 

একই দিনে দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এখন অস্থিরতা চলছে। সেই সাথে আগামী নির্বাচন ঘিরে কী ঘটতে যাচ্ছে তা নিয়ে সকলের মাঝে আলোচনা চলছে। 

 

 

একদিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দুই জনপ্রতিনিধির দ্বন্দ্ব। অপর দিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমান ও একই আসনের সাবেক সাংসদ বিএনপির গিয়াস উদ্দিন এই দুই প্রভাবশালী নেতার পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে গোটা নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার গতিও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

 

 

গত দুইদিন যাবৎ শামীম ওসমান বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গিয়াসউদ্দিনের কাছে হারের বিষয়টি টেনে এনেছেন। আরেক দিকে ত্বকী হত্যার বিচারের দাবীতে শহর গরম হয়ে উঠেছে। সব কিছু মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এখন অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা দিনের পর দিন কমার থেকে আরও বাড়ছে। 

 

 

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে ২০১১ সালের নাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তখন মেয়র হওয়ার জন্য উত্তর দক্ষিন মেরুর ক্ষমতাসীন দলের বতমানের দুই জনপ্রতিনিধির বিরোধ প্রকাশ্যে এবং চরম আকার ধারণ করে।

 

 

যা ২০২২ সালের সিটি নির্বাচন পর্যন্ত প্রকাশ্যে চলতে থাকে। তবে সেই নির্বাচনের পর বেশ কিছুদিন এই বিরোধ কিছুটা স্তিমিত থাকলেও আবারও তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে সেই পুরনো বিরোধ।

 

 

বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে যা ঝড়ের রূপে দেখা যাচ্ছে। আজকে মেয়র কোন বক্তব্য দিচ্ছেন তো কাল সাংসদ দিচ্ছেন। উভয়েই উভয়কে ঘায়েলের চেষ্টার কমতি রাখছেন না।

 

 

অনেকেরই ধারণা শহরের উত্তর ও দক্ষিণ মেরুকে একটেবিলে বসাতে পারলে যেমন রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব দূর হবে, তেমনি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের সকল বাধাও দূর হয়ে যাবে। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণ আদৌ হবে কী না তা নিয়ে সন্দিহান নগরবাসী।  

 

 

সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ছয় দফা দাবি আদায়ের আন্দোলনকে ঘিরে শুরু হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের দুই জনপ্রতিনিধি আইভী শামীম বক্তব্য রেখেছে। 

 

 

নগর ভবনের সামনে ময়লা ফেলার কারণ ও সাহস নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মেয়র এবং পরিচ্ছন্নকর্মীদের তিরষ্কার করেন। তবে মেয়রের তিরস্কারমূলক আচরণের জবাব দিতে ছাড়েননি এমপি শামীম ওসমান। এমনকি মেয়রের আচরণের জন্য সাংসদ শামীম ওসমান সকলের কাছে ক্ষমা চান। 

 

 

১৫ মার্চ ফতুল্লার বক্তাবলী এলাকায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইভীকে উদ্দেশ্য করে এমপি শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে নৌকা মার্কা নিয়ে নির্বাচিত এক জনপ্রতিনিধির কাছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা তাদের কষ্টের কথা বলতে গিয়েছিল।

 

 

ওরা আমাকে প্রশ্ন করলেন যে, ভোটের আগেতো আপনারা সবাই আমাদেরকে আপনি বলে ডাকেন, ভোটের পরে এই গরীব মানুষদেরকে ( সেখানে যাওয়ার পর) তুই তোকারি করলেন কেন।

 

 

এ সময় তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি মেয়রের ব্যাপক সমালোচনা করেন। শামীম ওসমান বলেন, (মেয়রের) তুই তোকারির এমন কথায় আমি লজ্জা পেয়েছি। আমাদেরকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও কিন্ত মানুষ।

 

 

আমি ওই পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাই। জনপ্রতিনিধির এমন কথা শুনে লজ্জা হয়। আপনাদের ট্যাক্সের ফাইলে টাকা না থাকলে এতো বড় বড় বাড়ি-ঘরে কিভাবে থাকেন। তবে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্যের কথার জবাব দিতে দেরি করেননি মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীও। 

 

 

১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভায় নাসিক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে বলেন, শেষ পর্যন্ত আর কিছু না পেয়ে আমার সুইপারদের নিয়ে রাজনীতি করতে হলো।

 

 

আমি নোংড়া রাজনীতি করতে না পারলেও সাহসিকতার সাথে নোংড়ামীর জবাব দিতে পারবো। একই দিনে নারায়ণগঞ্জ আলী আহমেদ চুনকা পৌর পাঠাগারে এক অনুষ্ঠানে সরকারের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ত্বকী হত্যাসহ সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার করেন।

 

 

আমরা এই সাম্রাজ্যবাদের হাত থেকে মুক্তি চাই। কতিপয় লোকজন সরকারের সকল অর্জন শেষ করে দিচ্ছে। এই আস্কারা এই সাহস তারা কোত্থেকে পায়? নির্বিচারে মানুষ হত্যার লাইসেন্স তাদের কে দেয়? তারা ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভীত করে রাখতে চায়।

 

 

আমার মনে হয় না নারায়ণগঞ্জের মানুষ এখন আর তাদের ভয় পায়। যারা অসৎ ও অন্যায় কাজ করে, হত্যা করে, জুজুর ভয় দেখাতে চায় তারা দুর্বল, কারণ শাসক সবসময় দূর্বল থাকে। জনগণের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি। অনেকে আবার বড় বড় কথা বলে।

 

 

শহরে নাকি বের হতে দেবে না। কত বড় দুঃসাহস হলে খুনিরা খুন করে একটি বাচ্চাকে মেরে ফেলেছে তারপরে ওই বাচ্চার পিতা যখন প্রতিবাদ করে তাকে আবার নানাভাবে উত্যক্ত করে। 

 

 

মেয়র শামীম ওসমানের জবাবে আর বলেন, আপনার চ্যালা চামচাদের বলে দেবেন, যখন যা কিছু মন চায় তখন যেন তা না বলে। কারণ মানুষেরও ধৈর্য্য আছে। ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই চারটা নির্বাচন করেছি।

 

 

তারপরেও এই শহরে মানুষ ভোট দিয়েছে। একটা বিজয় মিছিলও করিনি। কোন ধরনের অপকর্ম এই শহরে হয়নি এর মানে এই নয় যে আপনাদের কিছু করতে বা বলতে পারবো না। 

 

 

অন্যদিকে ১৭ মার্চ গোদনাইল এলাকায় একটি বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্ম বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে এখন যারা অনেক বড় বড় কথা বলেন।

 

 

মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা আগরতলা থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। লুট করে অনেকে সম্পদ কামিয়ে ছিলেন, চোরের মার বড় গলা। এরা অনেক বড় বড় কথা বলে, আমি তাদের উত্তর দেই না। আমাদের বাড়ি, হীরা মহল নিলামে বিক্রি করা হয়েছিলো। নিলাম কি তখন বুঝতামও না।

 

 

কত বড় বড় লোক, কত কোটি পতি নারায়ণগঞ্জে, কত লুটেরা, কত বঙ্গবন্ধুর নাম বেঁচে পয়সা কামানো মানুষ, কথায় কথায় যারা রূপ বদলায়। কখনো কাক, কখনো কোকিল। সেই সমস্ত মানুষ যারা আছিলেন তখন, তারা কেউ এগিয়ে আসেন নাই।

 

 

অনেকে অনেক কথা বলে। কি কি জানি গালাগালি করে আমাদের। আমি আবার এগুলি শুনি না, কারণ আমার মায়া লাগে ওদের জন্য। 

 

 

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি জমে উঠেছে। বিশেষ কক্ষমতাসীন দলের উত্তর-দক্ষিণের দুই জনপ্রতিনিধির বক্তব্যের সুযোগ নিচ্ছে বিএনপি নেতারা।

 

 

এই সুযোগে তারাও একে অপরকে খোচাঁ মেরে কথা বলতে বাকি রাখেন নাই। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন এবং বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমানের বক্তব্য নিয়ে পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হচ্ছে।

 

 

সাংসদ শামীম ওসমান বলছে গিয়াস উদ্দিন তার কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু রাতে ফলাফল পাল্টে দিয়ে মোহাম্মদ আলী ভাই তাকে জয়ী করে দেয়। অপরদিকে একই অভিযোগ তুলে সাবেক সাংসদ গিয়াস উদ্দিন শামীম ওসমানকে  ইঙ্গিত করে বলেন, আপনারা দিনের ভোট রাতে করেন। দিনের বেলায় নির্বাচন দিতে তাদের ভয় হয়।

 

 

কেননা এই সরকারের এমপিরা দিনের বেলা ভোট হলে তাদেরকে মানুষ ভোট দিবে না। আগামী নির্বাচন ঘিরে তাদের পাল্টা পাল্টি বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি জমে উঠেছে। সেই সাথে নির্বাচনের সময় যত গনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠ ততোই গরম হচ্ছে।

 

 

যদিও বিএনপি বলছে এই সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নিবে না। তবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের মাঝে। অপর দিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগও তাদের অধীনে নির্বাচন হবে বলে জানান ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলে জানাযাবে সবর্শেষ কী হবে। 

 

 

ফতুল্লার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান গিয়াস উদ্দিনকে ইঙ্গিত করে বলেন, এর আগে এখানকার এমপি ছিলেন গিয়াসউদ্দিন ভাই, তিনি নাকি ফতুল্লার এই এলাকায় নজর দেয়নি।

 

 

গিয়াস ভাই এমপি হয়নি। তাকে মোহাম্মদ আলী ভাই এমপি বানিয়েছিল। তিনি বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিল। আমাকে ৩৬ হাজার ভোটের ব্যাবধানে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। ভোটকেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট ছিল না বিভিন্ন জায়গায়।

 

 

রাতে ফলাফল পাল্টে দিয়ে তাকে জয়ী করা হয়। সেই সময় আমি বলেছিলাম মোহাম্মদ আলী ভাই সবার আগে আপনাকেই কামড় দিবে গিয়াস উদ্দিন ভাই। হয়েছেও তাই। তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। কিন্তু দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাদের থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।  

 

 

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আপনারা বলেন বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় না।

 

 

আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, নির্বাচনের মাধ্যমেই আমরা সরকারের পরিবর্তন চাই। আপনাদের মত ভেট ডাকাতি করে আমরা ক্ষমতায় আসতে চাই না। সাবধান হয়ে যান। অতীতে যা করেছেন তার ফল পেয়েছেন।

 

 

কাজেই এগুলো বাদ দিয়ে দিন। নারায়ণগঞ্জ কারও ব্যক্তিগত সম্পদ না। মুক্তিযুদ্ধ করে এই দেশ স্বাধীন করেছি। কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। 

 

 

তাদের এই টালমাটাল গোলমালের মাঝে তাল মিলিয়ে  এক সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ওসমান পরিবারের কাছে নগরবাসি জিম্মি হয়ে আছে।

 

 

এই শহরে যারা ত্বকীকে হত্যা করেছে তাদের বিচারের দাবী জানান তিনি। ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা বিভিন্ন সভায় সাংসদ শামীম ওসমানের রাজনীতির গুরু বলে নিজেকে পরিচয় দেন। এখন আবার তাদের বিরুদ্বে বক্তব্য রাখছেন।

 

 

অথচ এই আনোয়ারকে নগরভবনের চেয়ারে মেয়র হিসেবে বসানোর জন্য ২০১৬ সনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নৌকার মনোনয়নের জন্য সর্বাত্বক দৌড়ঝাঁপ করেন।

 

 

এই সবকিছু মিলিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে এখন অস্থিরতা চলছে। এই অস্থিরতা কোন দিকে যে মোড় নিবে তাও কেউ বুঝে উঠতে পারছে না।

 

 

এই অস্থিরতা তৈরী হয়েছে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে। কেননা নির্বাচন কমিশনের সূত্রমতে এই বছরের শেষে ডিসেম্বর মাসে কিংবা জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে।  এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর