শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সর্বাধিক উন্নয়ন বরাদ্দ আনার চেষ্টা করবো

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২২  

# দৈনিক যুগের চিন্তাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে নব-নির্বাচিত মেয়র আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৃতীয়বার নির্বাচিত মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে এবারও আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সর্বাধিক উন্নয়ন বরাদ্দ আনার চেষ্ঠা করবো।

 

নগরীর অসমাপ্ত মেঘা প্রকল্পের কাজগুলি দ্রুত সমাপ্ত করবো এবং আরো মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করবো। কদম রসুল সেতুর কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্ঠা করবো। নির্বাচনের আগে যে ইশতেহার দিয়েছি সেটি দ্রুত বাস্তবায়ন করার চেষ্ঠা করবো। যতো পরিশ্রম করতে হয় করবো, তবুও আমি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকাকে একটি সবুজ শ্যামল নিরাপদ নগরী হিসাবে গড়ে তুলবো।

 

গতকাল তিনি দৈনিক যুগের চিন্তাকে দেয়া  একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জে আমি কি উন্নয়ন করেছি সেগুলো গভীর পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি আমার উপর পূর্ণ আস্থা স্থাপন করেছেন। তাই আমি তার এই আস্থার মর্যাদা রক্ষা করে নগরীর আরো ব্যাপক উন্নয়ন করার চেষ্টা করবো। আশা করি আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ বরাদ্দ আনতে সক্ষম হবো। তাই আগামী দিনগুলিতে নগরীতে আরো ব্যাপক উন্নয়ন হবে ইনশাআল্লাহ।


অপর এক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রিয় মেয়র আইভী বলেন, নির্বাচনের আগে আমি যে ইশতেহারটি দিয়েছি সেটি আপনারা দেখেছেন। তাই আমি মনে করি সেই ইশতেহারটি বাস্তাবয়ন করলেই আরো পাল্টে যাবে গোটা নগরীর চেহারা। আমি ইশতেহার বাস্তাবয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো। আমি বলেছিলাম শিশু বান্ধব নগরী গড়ে তুলবো। এসব বিষয়ে আগে থেকেই কাজ চলামান রয়েছে। এই পাঁচ বছরে আমি শিশুরা যাতে খেলাধুলা করতে পারে এবং অবাধে বিচরন করতে পারে এমন গণপরিসরের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ।


শীতলক্ষ্যা নদী পরিকল্পনা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই নদীটি হতে পারে নারায়ণগঞ্জের সকল মানুষের প্রাণের স্পন্দন। শীতলক্ষ্যা নদীকে দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি এই নদীর সাথে সংযুক্ত বুড়িগঙ্গা, ধলেশ^রী, বালু, তুরাগ, ব্রক্ষপূত্র ও মেঘনা নদী নিয়ে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় নদীগুলোকে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি। এছাড়া শীতলক্ষ্যা নদীর দুইপাড়ে বিউটিফিকেশন করার পরিকল্পনা রয়েছে আমার। এই নদীকে ঘিরে অনেক কাজ হবে ইনশাআল্লাহ।


নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকাকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য এরই মঝে জালকুড়িতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। প্রতিদিন ছয়শ টন বর্জ্য থেকে ৬ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। এবার আমি যতো দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবো ইনশাআল্লাহ। আর এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নারায়ণগঞ্জ শহরে এবং সিদ্ধিরগঞ্জে কোনো বর্জ্য থাকবে না। উপরন্তু বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এছাড়া কদম রসুল এলাকায়ও ৭০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে বন্দরের বর্জ্য ব্যাবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য।


সাক্ষাৎকারে মেয়র আইভী আরো বলেন নগরীর বিদ্যমান খাল, পুকুর, খেলার মাঠ, পার্ক ও উম্মুক্ত স্থানের উন্নয়ন, বৃক্ষরোপণও বনায়ন কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে। এসব উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এই বিভাগের আরো খবর