শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ফতুল্লায় অবৈধভাবে দখল হচ্ছে সরকারি খাল,জলাবদ্ধতায় নাকাল এলাকাবাসী

সাদ্দাম হোসেন শুভ

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২২  

প্রধানমন্ত্রীর নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কুতুবপুরে থেমে নেই খাল ও জলাশয় দখল। কিছু প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় সাধারণ মানুষ খাল দখল করে বিভিন্ন স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছে। এমন দখলের কবলে পড়েছে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের পিলকুনী পিয়ারা বাগানসহ বিভিন্ন খাল। খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে কেউ নির্মাণ করছে চলাচলের রাস্তা, কেউ কেউ কাঁচা-পাকা ভবন করে দখলে নিচ্ছে।

 

এতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানি প্রবাহ। বৃদ্ধি পাচ্ছে এইসব এলাকার জলাবদ্ধতা। নিরব ভুমিকায় প্রশাসন। যেন দেখার কেউ নেই। এছাড়াও দেশীয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে বাধাগ্রস্থ। এতে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পিলকুনী থেকে তক্কার মাঠ দিয়ে যাওয়া খালটি বালু ফেলে ভরাট করে দখলে নিচ্ছে খালের পারে বসবাসরত একটি সিন্ডিকেট।

 

এছাড়াও দেখা যায়, পিলকুনী জামায়ের দোকান এলাকায় অবৈধভাবে সরকারি খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে সিডান পানি ফেক্টরী, মেসার্স এমবি আয়রন ইন্ডাস্ট্রি, শাওনের ভাঙ্গারী দোকান, তারের মিল, এবং খোকন মাষ্টার নামে ব্যক্তিরা। অনেকেই বসতবাড়ি নির্মাণের পাঁয়তারা করছে। ফলে খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

 

একসময় এ খাল দিয়ে যুগ যুগ ধরে ক্ষড়স্রোত বয়ে যেতো এবং পালতোলা নৌকা চলাচল করত। মানুষ মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করত। এখন সবই বন্ধ হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর দাবি, শিগগিরই খাল পুনরুদ্ধার করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হোক। তা-না হলে আসছে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ডুবে যাবে গুটা কুতুবপুরে ইউনিয়ন। অবৈধভাবে খাল দখল কারা অভিযুক্ত একাধিক দখলদাররা বলেন, এসব আমাদের ক্রয় করা জমি। আমরা খাল দখল করিনি। যদি সরকারি খালের জমি হয় তবে আমাদের স্থাপনা সরিয়ে নেবো।

 

এ বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শেখ মোঃ ইমান আলী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়কে কাজ বন্ধ রাখা নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিফাত ফেরদৌস জানান, খাল দখলদারের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

এই বিভাগের আরো খবর