শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফতুল্লায় কে পাবেন শামীমের আশীর্বাদ?

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২১  

ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিশেষ করে ফতুল্লার সবকটি ইউনিয়নের মধ্যে ফতুল্লা, এনায়েতনগর ও কুতুবপুরে আগামী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগের প্রার্থীতার ব্যাপারে আলোচনা একটু বেশি। কাশীপুরে এবারও সাইফউল্লাহ বাদল ও বক্তাবলীতে এম শওকত আলীর বিপরীতে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীকের জন্য তেমন কেউ মাঠে নামার সম্ভাবনা নেই।

 

তবে এনায়েতনগরে বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানের বিপরীতে মাসুদ ভুঁইয়া, ফতুল্লায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী নৌকার কান্ডারী হতে অনেক আগে থেকেই জোর চেষ্টা তদবীর অনেকেই চালাচ্ছেন। এরই মধ্যে কেন্দ্র পর্যন্ত অনেকে দৌড়ঝাঁপ করছেন অনেকে। তবে শেষ পর্যন্ত সাংসদ শামীম ওসমানের আশীর্বাদের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা।

 

তৃণমূলের চাওয়া পাওয়া ¤øান শামীম ওসমানের চাওয়া পাওয়ার কাছে। জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল,থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন, থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল হক নির্বাচন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন।  তবে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দৌঁড়ে কার মাথার উপর শামীম ওসমানের আশির্বাদের হাত পড়ে তা সময়ই বলে দেবে। ফতুল্লায় যারা মনোনয়ন চাইছেন তাদের মধ্যে মনোনয়ন পাবে একজন। বাকি যারা মনোনয়ন পাবে না,তাদের মধ্যে থেকেই ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের মধ্যে গ্রুপিং শুরু হবে বলে মনে করছে বিশ্লেষকরা। 

 


বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এনায়েতনগরে আসাদুজ্জামান,কাশিপুরে সাইফ উল্লাহ বাদল, বক্তাবলীতে এম সাইফ উল্লাহ বাদল, কুতুবপুরে শিকাদার মোহাম্মদ গোলাম রসুল নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন। মামলা জটিতলতার কারনে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বন্ধ ছিল। ৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনে দেখা যায় এনায়েতনগরে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামানকে কঠিন যুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছে গত নির্বাচনে। কাশিপুরে বাদল ও বক্তাবলীতে শওকত অনেকটা অলস সময়  পাড় করে জয়ী হয়েছেন। তবে সবচেয়ে কঠিনভাবে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় হয়েছিল কুতুবপুরে। কুতুবপুরে বিএনপির প্রভাবশালী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল আলম সেন্টুর কাছে পরাজিত হন গোলাম রসুল।

 

প্রচার রয়েছে, নৌকার প্রাথী গোলাম রসুলের চাইতে সাংসদ শামীম ওসমানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়ভাজন ছিলেন সেন্টু। আর এই প্রিয়ভাজন হওয়ার কারণেই নৌকা কুতুবপুরে সুবিধা করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কুতুবপুরে সাংসদ শামীম ওসমানের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল কুতুবপুরের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ঈদ উল আযহার পরে ফতুল্লার ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন এম শওকত আলী,কাশিপুর থেকে এম সাইফ উল্লাহ বাদল,এনায়েতনগর থেকে আসাদুজ্জামান,মাসুদ ভুইয়া, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন, মীর সোহেল আলী, ফরিদ আহম্মেদ লিটন, আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামীলীগ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে তেমন কোনো সাড়া শব্দ নেই। এরমধ্যে বক্তাবলী ও কাশিপুর ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধীতায় এম শওকত আলী ও সাইফ উল্লাহ বাদল নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ব্যাপারে এবারও শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 


তবে ভিন্ন মত রয়েছে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের প্রার্থীতার ব্যাপারে। দীর্ঘ ২৯ বছর পর মামলা জটিলতার জট খোলার সংবাদে উচ্ছ¡সিত ফতুল্লাবাসী। তবে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট প্রার্থী যদি না দেয়া হয় তাহলে কুতুবপুর ইউনিয়নের মতো ফতুল্লায় আওয়ামীলীগের প্রার্থীর ভরাডুবি হতে পারে বলেও মন্তব্য সংশ্লিষ্ট সূত্রের। সাংসদ শামীম ওসমানের আস্থাভাজন হিসেবে ফতুল্লার মীর সোহেল আলী, ফরিদ আহম্মেদ লিটন ও আবু মোহাম্মদ শরিফুল হকের পরিচিতি রয়েছে। অপরদিকে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর স্বপনও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির পদে রয়েছেন। সেদিক থেকে তিনিও শামীম ওসমানের আস্থাভাজন। সব দিক মিলিয়ে  ফতুল্লায় আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আওয়ামীলীগের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন অনেকে।   

এই বিভাগের আরো খবর