বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ফতুল্লায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী আটক

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১  

ফতুল্লায় গৃহবধু জোসনা বেগম মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ও তার প্রেমিকাকে অভিযুক্ত করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।


শনিবার (১৯ জুন) রাতে নিহতের ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে বোন জামাই ইলিয়াস(৫০) ও তার প্রেমিকা রানি বেগম (৩৫) কে আসমাী করে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।


এর আগে পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে  ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠ এলাকায় নিহতের স্বামীর বাড়ী থেকে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্বার করে এবং তার স্বামী ইলিয়াসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত জোসনা ফতুল্লা মডেল থানার বক্তাবলী এলাকার মৃত হাজী হাফিজ  উদ্দিন হাবিবের মেয়ে।


মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৪ থেকে ২৫ বছর পূর্বে পারিবারিক সম্মতিক্রমে ধর্মগঞ্জ চতলার মাঠস্থ দর্জি বাড়ীর তাইজুদ্দিন দর্জির পুৃত্র ইলিয়াস দর্জির সাথে জোসনা বেগমের বিয়ে হয়ে। তাদের সংসারে বন্যা (২৩) ও হাফসা (৭) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে বন্যার বিয়ের পর ছোট মেয়ে হাফসাকে নিয়ে নিহত জোসনা চতলার মাঠস্থ স্বামীর বাসায় বসবাস করতো। ২/৩ বছর পূর্বে মামলার দ্বিতীয় আসামী রানি বেগম তার বোনের বাসায় ভাড়ায় আসে।

 

এক পর্যায়ে বোন জামাই ইলিয়াস ও ভাড়াটিয়া রানি পরক্রিয়ায় জড়িয়ে পরে। বিষয়টি জানাজানি হলে রানি কে ঐ বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।রানি একই এলাকায় পার্শ্ববর্তী আমিরের ভাড়া বাসায় চলে গেলেও তার বোন জামাই ইলিয়াসের সাথে পরক্রিয়ার সম্পর্কটা থেকেই যায়। এ নিয়ে প্রায় সময় তার বোনের সাথে ঝগড়া হতো স্বামী ইলিয়াসের। জোসনাকে প্রায়ই শারিরীক নির্যাতন করতো তার স্বামী। এ নিয়ে পারিবারিক ও  স্থানীয় ভাবে একাধিক বার শালিস বৈঠক ও হয়েছিলো। কিম্ত তারপরেও পরক্রিয়া সম্পর্ক বজায় রেখেছিলো। 


এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, জোসনা বেগমের ভাইয়ের লিখিত অভিযোগটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।অভিযুক্ত প্রধান আসামী ইলিয়াসকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এই বিভাগের আরো খবর