শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বন্দরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ গাইড বই

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২২  

সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন বই বিতানগুলোতে চলছে নিষিদ্ধ গাইড বইয়ে রমরমা ব্যবসা। এমন অভিযোগ করেছে সচেতন মহল। অভিভাবকদের অভিযোগ বন্দর উপজেলা প্রশাসনের নজরধারী ও মনিটরিং এর ব্যবস্থা না  থাকায় বন্দরে অসাধু ব্যবসায়ীরা সবাইকে ঘুমে রেখে নিসিদ্ধ গাইড বই বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। 

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি বই বিরতণের পর থেকে বন্দর উপজেলার আলীনগর, ফরাজিকান্দা, কল্যান্দী, সোনাকান্দা, বন্দর বাজার, শাহীমসজিদ, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ী, নবীগঞ্জ কদম রসুল, নবীগঞ্জ বাজার, বক্তারকান্দী, লক্ষনখোলা, মদনপুর, ফুলহর, ধামগড়, বিবিজোড়া, মীরকুন্ডী, গকুলদাশেরবাগসহ বেশ কিছু এলাকায় নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ ব্যবসার  সাথে বন্দর উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

 

এ ব্যাপারে এক অভিভাবক প্রতিনিধি জানিয়েছে, বন্দরে উল্লেখ্যিত বই বিতানগুলোতে ২য় শ্রেণীর অনুপম, লেকচার গাইড বই বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত। ৩য় শ্রেণী অনুপম ও লেকচার গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা হইতে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। ৫ম শ্রেণীর লেকচার, অনুপম ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অনুপম, লেকচার ও পাঞ্জারী গাইড বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। ৭ম শ্রেণী ও ৮ম শ্রেণীর লেকাচার, অনুপম ও পাঞ্জারী বই বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বন্দরে অবাধে নিষিদ্ধ গাইডবই বিক্রির কারণে কোমল মতি শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী অভিভাবক বন্দরে বিভিন্ন বইবিতান গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছেন।  

এই বিভাগের আরো খবর