‘বাগানের কথা শুনলে কেউ ঘর ভাড়াও দিতে চায় না’
মামুনুর রহমান
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২১
# উত্তর ও দক্ষিণ কুমুদিনী বাগানে বসবারত বিহারি ও বাঙালি ৬০০ শ্রমিকের পরিবার বাগান ছাড়ছে
একদিকে বৃষ্টি অন্য দিকে সরাতে হবে ঘর দুয়ারসহ মালামাল। কারণ বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা। এই সময়ের আগেই সরাতে হবে মালামাল তাই বৃষ্টি মধ্যে ভিজেও মালামাল সরাচ্ছে শহরের কুমুদিনী বাগানের হেলেনা বেগম। হেলেনা বেগম বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে আমাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে বলেছে । সেই সাথে সরাতে বলেছে নিজেদের মালামাল। এখানে নাকি হাসপাতাল বানাবে তারা। তার জন্য আমাদেরকে মালামাল নিয়ে চলে যাইতে বলা হয়েছে।
তাই আগেভাগেই যাই গাঁ না হলে শুনছি বুল ড্রেজার দিয়ে ভাইঙ্গা দিবো। এইসব কথা গুলো যেন খুব আবেগ আপ্লুতভাবে বললেন শহরের উত্তর কুমুদিনী বাগানে দীর্ঘ তিন যুগ ধর বসবাসকৃত এই নারী। তিনি বলেন, হঠাৎ করে কুমুদিনী কোম্পানী বলেন তারা নাকি এখানে হাসপাতাল বানাবে । তাই সবাইকে এই বাগান ছেড়ে দিতে হবে। আমরা তিন পুরুষ ধরে এখানে বসবাস করে আসছি। যখন কুমুদিনী পাটের মিলস ছিলো তখন আমাদের দাদা এখানে আসে। বাঙ্গালিরা তো পাটের কাজ তখন জানতেও না। তখন পাকিস্তান ও ইন্ডিয়া থেকে শ্রমিক এনে কাজ করাতো। সেই সময় আমাদের বসবানের জন্য কুমুদিনী কোম্পানী জায়গা দেয়। আমরা পাকিস্তানী। আমাদের তো যাওয়ার কোনো জায়গা নাই। এখন আমরা কোথায় যাবো। কোথায় ঘর ভাড়া পাই না। আর বাগানের কথা শুনলে কেউ ঘর ভাড়াও দিতে চায় না।
তিনি আরও বলেন, কুমুদিনী কোম্পানীর তো আর টাকা - পয়সা ও জায়গা সম্পত্তির অভাই নাই । তারা চাইলে আমাদের এ সকল গরীব অসহায় পরিবার গুলোকে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে। আমাদের তিন পুরুষ তো এই কুমুদিনী কাজ করেছিলো। এখন আমাদের শেষ ভরসা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । তিনি যদি আমাদের জন্য কিছু করে তা নাহলে পরিবার নিয়ে গাছ তলায় থাকতে হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহরের দক্ষিণ ও উত্তর কুমুদিনী বাগানের বসবাসকৃত শ্রমিকেরা তাদের ঘর- দুয়ার মালামাল খুলে অন্যত্থায় সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কেউ বা ভ্যান আবার কেউ মিনি ট্রাক ভাড়া করে ভাড়া বাসার গন্তব্যে ছুটছে। আবার অনেকই বাগানের পাশে মালামাল খুলে বসে আছে।
দীর্ঘ যুগের পর যুগ ধরে বসবাসের যে মায়া তা যেনো ছেড়ে যেতে পারছে না মন। যাওয়ার সময় যেনো বার বার ফিরে দেখে বসবারের শেষ ঠিকানাকে। দীর্ঘ দিন ধরে তিলে তিলে গড়ে তুলা ঘর-বাড়ি আসবারপত্র কিছু যেনো রেখে যাচ্ছে না তারা। ঘরের টিনসহ বাঁেশের পাল্লা এমনকি ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাইতাছে। বসবাসকৃত ছেড়ে যাওয়া শ্রমিকদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আমরা কোনো দিন কল্পনাও করতে পারেনি যে আমাদেরকে এই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। আমাদের তিন পুরুষ ধরে আমরা এখানে বসবান করে আসছি। এইটা কোন মানবতা হলো না। হাসপাতাল হবে সেইটা আমরাও চাই, এই জায়গা ছেড়ে দিব। হাসপাতাল হলে সকলের উপকার হবে। কিন্তু আমরা যারা দীর্ঘ যুগের পর যুগ ধরে আছি আমাদের জন্য তো পূর্নবাসনের ব্যবস্থা তা তো করবে।
আমাদেরকে পুর্নবাসনের জন্য দাবিও জানাইছি। কুমুদিনী কোম্পানী গরীবের জন্য সব সময় পাশে থাকে, আমরা জানি। আমাদেরকেও দয়া করেই এই জায়গা দেওয়া হয়ে ছিলো। আজকে এই সকল অসহায় মানুষ গুলো কোথায় যাবে। তারা চাইলে আমাদেরকে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন। কিন্তু করছে না। এইটা কোনো মানবতা হলো না। আমরা প্রধানমন্ত্রীর বরাবার আবেদন করেছি আমাদের যেনো পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হয়। লাখ লাখ রোহিঙ্গারা যদি এদেশে আশ্রয় পায় এবং তাদেরকে পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে আমাদেরকে কেনা করা হবে না।
দক্ষিণ কুমুদিনী বাগানের ইলিয়াস বলেন, আমাদের পূর্বপুষরা ব্রিটিশ শাসন আমল থেকেই কুমুদিনীর পাট কারখানায় কাজ করেছেন। তখন বাঙ্গলিরা পাটের কাজ জানতো না, তখন পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান থেকে বিহারীদের এনে এই পাটের কাজ করেন। তখন শ্রমিকদের থাকার জন্য এই বাগানে ঘর করে দেয়। এই ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ঘরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কুমুদিনী বাগানেই থাকি। আমি নিজেও কুমুদিনীর শ্রমিক ছিলেন।
ঔইদিন আমাদের হঠাৎ করে জানান বাগান ছেড়ে দিতে হবে। আমরা দুই বাগানে মিলে প্রায় সাড়ে তিশত পরিবার আছি পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান মিলে। আর বাকী প্রায় আর তিনশত পরিবার আছে তারা বাইরের। তিনি আরও বলেন, যারা বাইরের লোক ও ভাড়াটিয়া আছে তারা চলে যাইতাছে। আমরা কোথায় যাবো। আমাদের যাওয়ার তো কোনো জায়গা নাই । আমরা যারা পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান বিহারী আছি আমরা পূর্নবাসন চাই। আমরা পূর্নবাসন ছাড়া কোথায় যাবো। আমরা ইতিমধ্যে আমাদের আইনজীবীর মাধ্যমে পূর্নবাসনের জন্য আবেদন করেছি।
প্রসঙ্গত, কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বেঙ্গল বিডি লিমিটেড পাট কারখানার পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান তিনশ’ বিহারি শ্রমিক পরিবার বাস করেন উত্তর ও দক্ষিণ কুমুদিনী বাগানে। আরও তিনশ মতো বাঙালি পরিবারও থাকে এই বাগানে। নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ (কেআইআইএমএস কেয়ার) স্থাপন করা হবে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এইপ্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের আওতাধীন ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের জন্য ঈশা খাঁ সড়কের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের পাশের উত্তর কুমুদিনী বাগানের জায়গা নেওয়া হবে।
এজন্য এই বাগানে বসবাসরত শ্রমিকদের ঘর ছাড়তে হবে। তবে শ্রমিকদের দাবি ছিল, দীর্ঘদিন জুট প্রেসে (পাট কারখানা) কাজ করা শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধের। অন্যথায় পুনর্বাসন দাবি করেছিলেন তারা। শ্রমিকদের দাবি থাকলেও মালিকপক্ষ তা দিতে নারাজ। গত ৮ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ঘর ছেড়ে দিলে মালামাল আনা-নেওয়া বাবদ ৩ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই শর্তে ঘর ছেড়ে দিতে হবে। এরপর গত ১২ জুন ‘ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের পায়তারা করছেন‘ এমন অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশ নেয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী।
- ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
- ৩শ’ শয্যা হাসপাতাল থেকে মেডি এইডে রোগী টানে
- মাদকের ডিলার সবুজ-শহিদ বাহিনী বেপরোয়া
- সেক্রেটারির হাড্ডিগুড্ডি ভেঙে দেয়ার অর্ডার দিলেন সভাপতি
- তিন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টিসিবির কার্যালয় থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ
- শামীম-আইভীর মধুর সম্পর্ক কতদিনের
- পূর্ব ইসদাইর শাহী মসজিদে ইফতার মাহফিল
- মহাসড়কের বিভাজককে মই দিয়ে যাত্রী পারাপার, মইসহ আটক রবিউল
- বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা আওয়ামীলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন
- এখন অনেকেই অনেকভাবে ইতিহাস রচনা করার চেষ্টা করি : মেয়র আইভী
- সলিমুল্লাহ সড়ক এখন ওয়ান ওয়ে, ভোগান্তি চরমে
- জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মেয়র আইভী
- ফতুল্লায় মিশুক চালক রাজু হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার-১
- সলিমুল্লাহ সড়কে চাঁনরাত পর্যন্ত টানা বসতে দেয়ার দাবি
- সাজনুকে-শাহ নিজামের খোঁচা
- বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ
- কাউন্সিলর মুন্না ও ডিলার পলাশ মিলে টিসিবির পণ্যে নয়-ছয়
- শামীম ওসমানের বাবা-দাদাকে গালাগালি প্রসঙ্গে খোকনসাহার মুক্তকলাম
- বঙ্গবন্ধু একটি নাম : একটি ইতিহাস
- বিএনপির নামে ভোট চাইলে প্রত্যাখ্যান করবেন : সাখাওয়াত
- না.গঞ্জে অতিরিক্ত দামে মাংস ও তরমুজ বিক্রি করায় জরিমানা
- পাইকারী ও খুচরা বাজারে ২৯ পণ্যের সরকারী মূল্য মানছে না কেউ
- ক্রোনী এপারেলস কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- এবার বাড়ল চালের দাম
- বিএনপির ইফতার রাজনীতি শুরু
- সবুজ-শহিদে অতিষ্ঠ কাশীপুরবাসী
- নতুন ভাড়াটিয়াদের আতঙ্ক সন্ত্রাসী রাজু প্রধান
- ঐক্যে সাফল্য মিলল কতখানি
- ফতুল্লায় ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে অবৈধ পলিথিন ফ্যাক্টরী
- মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা হতে পারে না : জেলা প্রশাসক
- ঐক্যে সাফল্য মিলল কতখানি
- হকারদের নিয়ে শামীম ওসমানের এতো দরদ কেন
- সাজনুকে-শাহ নিজামের খোঁচা
- শামীম ওসমানের বাবা-দাদাকে গালাগালি প্রসঙ্গে খোকনসাহার মুক্তকলাম
- বাজারে ইফতার সামগ্রির দাম চড়া, ক্ষুব্ধ ক্রেতা
- এই লড়াইয়ে জিতবে কারা
- বেজায় খুশি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা
- শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে পুলিশকে সেলিম ওসমানের ৪৫ লাখ টাকা অনুদান
- বামদের উস্কানিতে ফের বেপরোয়া হকাররা
- গ্রামীণ রেস্তোঁরার ৩য় তলায় জমজমাট জুয়ার আসর
- শহর ফুটপাতমুক্ত রাখতে শামীম ওসমানের প্রতি আরজু ভূঁইয়ার আহ্বান
- নিহত শাওনের ভাইকে লাঞ্ছিত করলেন যুবদল নেতা সাদেক
- রূপগঞ্জে জলাশয় ভরাটে বাড়ছে অগ্নিঝুঁকি
- ইবাদতের মাস রমজান বাড়ছে টুপি-জায়নামাজ ও আতরের চাহিদা
- অবৈধ হয়েও চলছে মেডিএইড ডায়াগনস্টিক
- মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আর কথা বলবেন না চেয়ারম্যান সেন্টু
- ফতুল্লা ইউপির উপ-নির্বাচনে কোন এলাকায় কত ভোট পেলেন ফাইজুল
- বাজারে ছদ্মবেশে যাবো, যা ইচ্ছে তা করলেই মামলা: ডিসি
- হাফিজের আশকারায় বেপরোয়া হকাররা
- রমজানে ভালো কিছু খাওয়া নিম্ন মধ্যবিত্তদের সাধ্যের বাহিরে
- দাপট কমেনি মৌমিতার
- লিংক রোডে লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তির নেপথ্যে এবিসি স্কুল
- পপুলারে পজেটিভ খানপুরে নেগেটিভ
- শিবুমার্কেট-হাজীগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা
- নারায়ণগঞ্জ টু পোস্তগোলা সড়কটির বেহাল দশা
- মশা আছে, মশা কামড়াবেই
- নাক চেপে চলতে হয় শামসুজ্জোহা সড়কে (ভিডিওসহ)
- সড়ক দখলে বাস মালিকদের নৈরাজ্য, দূর্ভোগ নগরবাসীর
- একযুগেও সংস্কার হয়নি দক্ষিণ সস্তাপুরের সড়কটি, জনদূর্ভোগ চরমে
- অব্যবস্থাপনায় ফেরিই গলার কাঁটা (ভিডিও)
- নবীগঞ্জ ফেরিঘাটে চরম স্বেচ্ছাচারিতা
- নগরীর পাবলিক টয়লেটগুলোর বেহাল দশা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি
- নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জ সড়কের বেহাল অবস্থা, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
- কেওঢালা-অলিপুরা রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
- ময়লার স্তূপের দুর্গন্ধ, বিপাকে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী