
ডেস্ক রিপোর্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : আওয়ামী লীগের সমাবেশে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়া হয়েছে। অপরদিকে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (১০ অক্টোবর) সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার ১নং অস্থায়ী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক আদালত এজলাসে বসেন ১১টা ৪০ মিনিটে। এর পরপরই তিনি রায় পড়া শুরু করেন। বিচারক এজলাসে আসার আগেই ১১টা ২০ মিনিটে আসামিদের কাঠগড়ায় তোলা হয়।
আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরান ঢাকাসহ রাজধানীতে বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। রায় ঘিরে আজ সকাল থেকেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মোট আসামি ছিলেন ৫২ জন। এই মামলার বিচার চলাকালে আসামি জামায়াতে ইসলামী নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় এবং হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ও শরিফ শাহেদুল ইসলাম বিপুলের ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সে হিসেবে বর্তমানে মামলা দুটিতে আসামির সংখ্যা ৪৯ জন।
এই মামলায় মোট ৩১জন আসামি কারাগারে থাকলেও বাকি ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। আসামিদের মধ্যে ৮ জন জামিনে থাকলেও রায়ের দিন নির্ধারণ করার আগে ট্রাইব্যুনাল তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেন।