মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ৫ ১৪৩০

বিদ্যুতের পর ডিজেলে চিন্তার ভাঁজ!

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২১  

# দিনে ১১ হাজার টাকার ডিজেল, পাম্প বেড়েছে কমেনি পানি 


লালপুর পৌষার পুকুরপাড়ে পাম্প হাউজের বিদ্যুৎ বিলের পর এবার ডিজেল নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। জানা গেছে, লালপুর পাম্প হাউজে আগে থেকেই তিনটি সেচ পাম্প ছিলো। যা বিদ্যুতের মাধ্যমে চলানো হতো। বিগত ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে ওই তিনটি পাম্প ব্যবহারে বিদ্যুৎ বিল জমে ৬২ লাখ টাকা। বিদ্যুৎ বিলের জন্য ইতিপূর্বে একাধিকবার পাম্প হাউজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় সংশ্লিষ্ট ডিপিডিসি। অতঃপর আলোচনা সাপেক্ষে তা পূনরায় চালু করা হয়। এখনো ওই বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ হয়নি।

 


এদিকে, বিদ্যুতে চালিত ৩টি পাম্প সচল রাখলেও পানি কমছিলো না তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ডিজেল চালিত শক্তিশালি ২টি পাম্প প্রদান করা হয় লালপুরের ওই পাম্প হাউজে। বর্তমানে মোট ৫টি পাম্পই একযোগে চালানো হচ্ছে। টানা দুদিন ধরে ৫টি পাম্প একাধারে চললেও খুব একটা সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সেনাবাহিনী প্রদত্ত দু’টি পাম্পে প্রচুর পরিমানে ডিজেল খরচ হচ্ছে। পাম্প হাউজ সূত্র জানায়, দুদিনে তারা ১৮ হাজার টাকার ডিজেল কিনেছে, যা দুদিনেই ফুড়িয়ে যাবে। ফলে ডিজেল ক্রয়ের অর্থ নিয়ে চিন্তার ভাজ পড়েছে পাম্প হাউজ সংশ্লিষ্টদের।

 


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেনাবাহিনী প্রদত্ত একেকটি পাম্পে প্রতি ঘন্টায় সাড়ে তিন লিটার ডিজেল প্রয়োজন হয়। ঘন্টায় দুটি পাম্পে যথাক্রমে ৭ লিটার ডিজেল খরচ হচ্ছে। এক লিটার ডিজেলের দাম ৬৫ টাকা হলে সাত লিটার ডিজেলের মূল্য আসে ৪৫৫ টাকা। সে হিসেবে একদিন তথা ২৪ ঘন্টায় ১০ হাজার ৯২০ তথা ১১ হাজার টাকার ডিজেল খরচ হচ্ছে। সূত্র বলছে, লালপুরে পাম্প হাউজ স্থাপন করা হলেও কেবল লালপুরই নয়, পার্শ্ববর্তী গাবতলী, টাগারপাড় এলাকার পানিও অপসারণ হচ্ছে ওই পাম্প হাউজ থেকেই।

 

তাই টানা দু’দিন তথা ৪৮ ঘন্টা ধরে পাম্প চললেও লালপুরে জলাবদ্ধতার এখনো তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না। তার উপর বৈরী আবহাওয়া এখনো কাটেনি। ক্যালেন্ডারে আষাঢ় মাস হওয়ায় পুরো মৌসুম জুড়েই এমন বৃষ্টি বর্ষণের সম্ভাবনা বিদ্যমান। এক্ষেত্রে বৃষ্টি যদি আরো হয়েই থাকে, তাহলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পাম্প চালানো প্রয়োজন পড়বে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময় ধরে পাম্প চালালে সেনাবাহিনী প্রদত্ত দুই পাম্পের যেই ডিজেল খরচ পড়বে, সেই চিন্তাই এখন দুঃশ্চিন্তায় রূপ নিয়েছে।

 


লালপুরে অবস্থিত পাম্প হাউজের একটি সূত্র দৈনিক যুগের চিন্তাকে জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে পাম্প হাউজের ফান্ডে যেই অর্থ ছিলো, সেখান থেকে তারা ডিজেল ক্রয় করেছেন। কিন্তু আগামীতে এই ডিজেল খরচ কোত্থেকে আসবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা। এখনো পর্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ডিজেলের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে, পাম্প চালানোর খরচ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মিটিং হবে বলে জানিয়েছেন তারা।  
 

এই বিভাগের আরো খবর