শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

বিসিকে বেপরোয়া অটোরিকশায় ভোগান্তি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০২২  


ফতুল্লার পঞ্চবটি-মুন্সিগঞ্জ সড়কে অটোরিকশা চালকদের বেপরোয়া আচরণের যাঁতাকলে পিষ্ট বিসিক শিল্পাঞ্চলের কারখানায় নিয়োজিত কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। তিন চাকার এ যানের কারণে সৃষ্ট যানজট নতুন কোন ঘটনা নয়। সকাল সন্ধ্যা এই সড়কে সৃষ্ট যানজটের কারণে ভোগান্তিতে অত্র এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ এবং পথচারী।

 

 

সবথেকে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় বিসিকে নিয়োজিত গার্মেন্টস কর্মীদের। কারণ বিসিক শিল্পাঞ্চলের কারখানা গুলোতে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক নিয়োজিত। প্রতিদিন সকালে কারখানায় নিয়োজিত কর্মীরা ফুটপাত ধরে কারখানায় যায় এবং ছুটি হলে বাসায় ফিরে। এই সময় এই সড়কে অটোরিকশা চালকদের বেপরোয়া আচরণের কারণে বেশিরভাগ সময়ই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে।

 

 

অতিরিক্ত গতির কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন গার্মেন্টস কর্মীরা। আবার এসময় তীব্র যানজট সৃষ্টির কারণ হিসেবে তিন চাকার এই যানকেই দাবি করেছেন তারা। কোন রকম নিয়ম নীতির বলয় না থাকায় ইচ্ছামত বিচরণ করছে তিন চাকার এই যানবাহনগুলো। যার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা, সেই সাথে যানজটতো লেগেই থাকে।

 

 

ফলস্বরূপ জনদুর্ভোগের ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠছে এই সড়কে। আবার এই ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সায় ব্যবহৃত এলইডি লাইটের প্রভাবে সন্ধ্যার পর রাস্তা ঝাপসা দেখা যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। এদিকে সরকারী অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং রাজস্ব প্রদানের সঠিক নিয়ম না থাকায় একশ্রেনীর অসাধু অর্থলোভী ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা এবং ইজিবাইক তৈরী করে রাস্তায় নামিয়ে দিয়েছে।

 

 

আর এসব অটো রিক্সা ও ইজিবাইকগুলো সড়কে অবাধে চলাচল করছে।এসব যানবাহনগুলো সড়ক ও মহাসড়কে চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে যাত্রী সাধারনকে। যার ফলে মহাসড়কে সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। সড়কগুলোতে এই বাহন গুলো চলাচল করলেও ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যাক্তিরা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তারা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

 

 

আর এসব যানবাহন গুলো থেকে একশ্রেনীর রাজনৈতিক দলের পরিচয়ধারী চাঁদাবাজ চক্র প্রতিদিন মোটা অংকের চাঁদাবাজী করে নিয়ন্ত্রন সংস্থাসহ সকলকে ম্যানেজ করায় সড়ক ও মহাসড়কে ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা এবং ইজিবাইক চালকরা আরো বেশী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পথচারী মানিক মিয়া বলেন, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা সাধারন মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে।

 

 

এসব যানের কারণে চলাচলের জন্য সড়কে তিল পরিমান জায়গা ফাঁকা নেই। রাস্তার দু’পাশ দিয়ে ফুটপাতের জায়গা দিয়ে পথচারীদের হাটার পথ থাকলেও সেখানেও নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা। ফলে পথচারীদের পথচলা ও পারপার হওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

 

 

সচেতন মহলের দাবী কর্তৃপক্ষকে ভোটের ভাবনা ছাড়তে হবে। জনস্বার্থে এই সকল অবৈধ ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সার বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে শহরের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া যানজটের দায়ভার এককভাবে ট্রাফিক পুলিশের কাঁধে না ঠেলে নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে সচেতন হতে হবে। যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের কাজে সহায়তা করতে হবে। তা না হলে এই ব্যস্ত সড়ককে যানজট মুক্ত করা একা প্রশাসনের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠবে না।

এই বিভাগের আরো খবর