শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বিয়ে বাড়িতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা থানায় মামলা

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২১  

বন্দরে বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে ইফটিজিং এর প্রতিবাদ করার জের ধরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় বাবুর্চিসহ ১০জন গুরুতর জখমের ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গত ২৪মে সোমবার রাতে আহত নাদিম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২০(০৫)২১ইং।

 

মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলো বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার দিপু ওরফে কাজল মিয়ার ছেলে মিলন (২০), একই এলাকার বিএনপি কর্মী রনি মিয়ার ছেলে রায়হান (১৯), কাজল মিয়ার ছেলে সানি(২২), দক্ষিন কলাবাগ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সোলায়মান(২১), একই এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে সাইদুর (১৯), বন্দর রেলাইন এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে মৃদুল (২০), একই এলাকার রাকিব মিয়ার ছেলে আরমান (২০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জন।

 

মামলা ও বাদী সূত্রে জানা গেছে, বন্দর ইউনিয়নের কলাবাগ এলাকায় বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার দিপু মিয়ার সন্ত্রাসী ছেলে মিলন, একই এলাকার বিএনপি কর্মী রনির উশৃঙ্খল ছেলে রায়হান, দক্ষিন কলাবাগ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সোলায়মান, কাজল মিয়ার ছেলে সানি, সবুজ মিয়ার ছেলে সাইদুর, বন্দর রেলাইন এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে মৃদুল, রাকিব মিয়ার ছেলে আরমানসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৪/৫জন কিশোর প্রতিদিনই কলাবাগ এলাকায় কিশোরী মেয়েদের উত্যক্ত করে আসছিল।

 

এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার কলাবাগ এলাকার এক বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালে স্থানীয় কিশোর নাদিমের বোনকে প্রকাশ্যে কিশোর গ্যং খ্যাত মিলন-রায়হান গংয়ের লোকজন উত্যক্ত করে। পরে ওই কিশোরী তার ভাই নাদিমকে জানালে তারা এসে ওই ইভটিজারদের সাথে এসে তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে কিশোর গ্যাংয়ের হোতা কলাবাগ এলাকায় বন্দর হাফেজীবাগ এলাকার দিপু মিয়ার ছেলে মিলন, একই এলাকার বিএনপি কর্মী রনির ছেলে রায়হান, দক্ষিন কলাবাগ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে সোলায়মান, কাজল মিয়ার ছেলে সানি, সবুজ মিয়ার ছেলে সাইদুর, বন্দর রেলাইন এলাকার শাহআলম মিয়ার ছেলে মৃদুল ও রাকিব মিয়ার ছেলে আরমান মিলে নাদিমকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দসহ কিল ঘুষি মারতে থাকে।

 

এ সময় এলাকার প্রতিবেশী বাবুর্চি নূর হোসেন, আজহার, শুভ, হাসান, রাব্বিসহ আরো দুইজন মহিলা এগিয়ে আসলে তাদেরসহ মোট ১০ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে অপরাধীরা। আহতদের মধ্যে বাবুর্চি নূর হোসেনসহ এক যুবকের অবস্থা গুরুতর। স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। 

এই বিভাগের আরো খবর