বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ভরা মৌসুমেও চাল নিয়ে চালবাজি

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ২৪ জুলাই ২০২২  

 


# ভারত থেকে চালের আমদানি কম : লিটন

 

সিজন কালেও চাউলের দাম বৃদ্ধি। সাধারণত বৈশাখ মাসে আমাদের দেশে নতুন ধান উঠতে শুরু করে। আর ধান উঠার পরেই স্বাভাবিকভাবে আমাদের দেশে চাউলের দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু আমাদের দেশে এখন চাউলের সিজন থাকলেও কমেনি দাম। গতকাল  নিতাইগঞ্জ পাইকারি চাউলের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারগুলোতে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাউলের বস্তা।

 

স্বর্ণা চাউলের বস্তা (৫০ কেজি) ২২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আঠাইশ চাউলের বস্তা (৫০ কেজি) ২৪০০ টাকা, পাইজম চাউলের বস্তা (৫০ কেজি) ২৪০০ টাকা, মিনিকেট চাউলের বস্তা (৫০ কেজি) ভালো মানের ৩২৫০ ও নিম্ন মানের ৩১৫০ টাকা, নাজির চাউলের  বস্তা ( ৫০ কেজি) ৩২৫০ টাকা, বাসমতি চাউলের বস্তা (৫০ কেজি) ৩৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে নিতাইগঞ্জ ধান চাউল আড়ৎদার মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, এখন চালের সিজন, কিন্তু মোকামে চালের অনেক দাম বেশি। কারণ এখন ভারত থেকে চাউলের আমদানি কম। ভারত থেকে চাউল আমদানি না করলে চাউলের দাম কমবে না। কুষ্টিয়া, চাঁপাই নবাবগঞ্জ, নওগা, শেরপুর সহ যে সকল মোকাম থেকে আমরা চাউল পাইকারী আনি সে সব জায়গায় চাউলের দাম অনেক বেশি। সেখান কার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চাউল মজুত করে রেখেছে। তারা চাউলের দাম কমাচ্ছে না। তিনি আরও জানান, তীর, বসুন্ধরা, আকিজ, ফ্রেশ সহ দেশে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি গুলো চাউল মজুত করে রেখেছেন। তাদের কারণে পাইকারী বাজারে চাউল পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের নিতাইগঞ্জের পাইকারী ব্যবসায়ীরা চাউল মজুত করেন না। এখানে প্রতি দোকানে ৬ হাজার এর বেশি চাউল রাখা যায় না। এসব চাউল আমাদের এক সপ্তাহের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন খুচরা মুদি দোকান ঘুরে দেখা যায়,  স্বর্ণা চাউল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। আঠাইশ ও পাইজম চাউল প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাজির চাউল ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা কেজি প্রতি ৩-৪ টাকা লাভ করি। পাইকার থেকে বস্তা আমাদের দোকানে আনতে ৫০ টাকার মতো খরচ হয়। এবিষয়ে আফসানা নামে একজন গার্মেন্টস কর্মী জানান, প্রতিদিন দেড় কেজি চাউল লাগে সংসারে। চাউল কিনতেই ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগে। চাউলের পর বাকী তরিতরকারী আর কিনতে পারি না। অনেক অভাবে সংসার চালাচ্ছি।এমই/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর