বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

‘ভাই’ লীগের পদচ্যুতরা পদের জন্য ওত পেতে আছে

পরিচয় প্রকাশ গুপ্ত

প্রকাশিত: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২  


# সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সম্মেলন



বাড়িতে গৃহকর্ত্রী যখন ইলিশ ভাজেন, তখন তার আদরের বিড়ালটি যেমন লোলুপ দৃষ্টিতে অধীর প্রতীক্ষায় কাল গুনে কখন ভাজা শেষ হবে এবং তার ভাগ্যে শিকা ছিড়বে। নারায়ণগঞ্জে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের আসন্ন সম্মেলন নিয়ে তেমনি অধীর প্রতীক্ষার কাল গুনছে এখন শামীম ও আইভী বলয়ের তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।

 

 

 

 

 

 

 

কবে সম্মেলন হবে এবং তাদের ভাগ্যের শিকে ছিড়বে, তারা পদায়িত হবে? অবসান ঘটবে তাদের পদহীনতার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্দ্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মির্জা আজম উপস্থিত থাকবেন।

 

 

 

 

 

 

 

সেখানেই দিনক্ষণ ঠিক হবে, কবে কোথায় জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলন হবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, ২২ অক্টোবর এ সম্মেলন হতে পারে। শামীম-আইভী উভয় বলয় ঠিক রেখেই নতুন কমিটি গঠিত হবে। নানা ব্যার্থতার পরও জেলা কমিটির সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

 

বর্তমান কমিটির সভাপতি আবদুল হাই, আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য ও সাবেক নারায়ণগঞ্জ বার সভাপতি আনিসুর রহমান দীপু, জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, মিজানুর রহমান বাচ্চু প্রমুখ। সাধারন সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং পদ বাণিজ্য, কমিটি বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগে অভিযুক্ত বর্তমান সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল।

 

 

 

 

 

 

 


জেলা আওয়ামী লীগ সম্মেলনের পরই অনুষ্ঠিত হবে মহানগর আওয়ামী লীগ সম্মেলন। এ কমিটিতে সভাপতি পদে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সভাপতি আনোয়ার হোসেন, এড. খোকন সাহা, বাবু চন্দন শীল। সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবীব, শাহ নিজাম ও জিএম আরমান।

 

 

 

 

 

 

 


১৬ বছর ধরে যুবলীগে কমিটি হচ্ছে না। গত ১৬ সেপ্টেম্বর জেলা যুবলীগের বর্দ্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাবু সুব্রত পাল এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে. এক মাসের মধ্যে সদর, বন্দর, ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ এ চারটি থানায় সম্মেলন এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন শেষ করে নভেম্বরের মধ্যেই জেলা ও থানা কমিটি গঠন করতে হবে। তারপর গঠন করা হবে মহানগর কমিটি।

 

 

 

 

 

 

 


এদিকে, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি গঠনেরও তোড়জোর শুরু হয়েছে। বিগত জানুয়ারীতে জেলা ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। সে সময় মহানগর ছাত্রলীগ এবং মহানগর শ্রমিক লীগ কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়েছিল। এ তিনটি কমিটি বিলুপ্ত করায় সার্বিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শামীম বলয়। কারণ, এতে যারা পদচ্যুত হয়েছেন তারা সবাই শামীম বলয়ের নেতা ছিলেন।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. সেলিনা হোসেন আইভীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করায় সে সময়ে এ তিনটি কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছিল। অভিয়োগ রয়েছে, সে সময় যাদের পদচ্যুত করা হয়েছিল তারা ছিলেন স্বঘোষিত ভাই লীগের নেতা। তাদের কাছে দল এবং দলীয় প্রধানের চেয়ে বড় ছিল ভাইয়ের নির্দেশ।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন সম্মেলন নিয়ে শামীম-আইভী দুটি বলয়ই পদ দখলের জন্য অধীর অপেক্ষায় আছে। এসব সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ পদ এবং অধিক সংখ্যক পদ দখলে দু’বলয়ে এবার চরম প্রতিযোগিতা হবে। তবে দল অন্তপ্রাণ এবং বিরোধী কোন কলঙ্কের তিলক গায়ে লাগেনি,অর্থাৎ পরিচ্ছন্ন ইমেজের কর্মী সংখ্যা আইভী বলয়েই বেশী রয়েছে। সে হিসেবে আইভী বলয়েরই পদায়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার কথা।   এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর