বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

ভাতিজার জমি দখল করতে মরিয়া শ্রমিক লীগ নেতা মতির মাষ্টার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২২  



সিদ্ধিরগঞ্জে বিতর্কিত বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আঁতাত করে ভাতিজার জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল মতিন মাষ্টার। জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ তোলে মতিন মাষ্টারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন ভাতিজা মনিরুল ইসলাম।

 

 

জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জ মৌজার নিমাইকাশারী এলাকায় দুইটি দাগে ৪৮ শতাংশ জমির মধ্যে আব্দুল মতিন মাষ্টার ৩৫ শতাংশ ও তার ভাতিজা মনিরুল ইসলাম ৮ শতাংশ জমি কিনে নিজ নিজ নামে নামজারী করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন।

 

 

সম্প্রতি আব্দুল মতিন মাষ্টার তার ৩৫ শতাংশ জমিতে স্থানীয় বিতর্কিত বিএনপি নেতাদের নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করার উদ্যোগ নেন। নিজের কেনা ৩৫ শতাংশ জমির পাশাপাশি ভাতিজার ৮ ও বাকী ৫ শতাংশসহ সমস্ত জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়।

 

 

খবর পেয়ে মনিরুল ইসলাম টিনের বেড়া ভেঙে তার ৮ শতাংশ দখলমুক্ত করেন। নিজের দূষ আড়াল করতে মতিন মাষ্টার বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মনিরের বিরুদ্ধে উল্টো জমি দখলের অভিযোগ তোলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এতে এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।

 

 


এবিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, আরএস ২০৯ ও ২০০ দাগে পৈতৃকসূত্রে ৪৮ শতাংশ জমির মালিক হয় নূর জাহান বিবি। তার পিতার নাম শুক্কুর আলী ও স্বামীর নাম মোহাম্মদ পেপারী। নূর জাহানের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশদের কাছ থেকে আব্দুল মতিন মাষ্টার ২০০ দাগে ৩৫ শতাংশ জমি কেনেন।

 

 

পরে ২০১৪ সালে আমি ২০৯ দাগে ৪ শতাংশ ৪০ পয়েন্ট সাফ কবলা আর ৩ শতাংশ ৪০ পয়েন্ট পাওয়ার নামা নিয়ে মোট ৮ শতাংশ জমি নিজের নামে নামজারী করে দখল নিয়ে বাউন্ডারি দেয়াল করি।

 

 

গত ২০২১ সালে মতিন মাষ্টার আমার ৮ শতাংশ ও অবিক্রিত ৫ শতাংশ জমি দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। তখন আমি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় তার বিরুদ্ধে জিডি করি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পিছু হটে মতিন মাষ্টার। এর পর থেকেই জমি পরিত্যাক্ত অবস্থায় আমার দখলে রয়েছে।

 

 


মনিরের অভিযোগ, সম্প্রতি নাসিক ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আফজাল হোসেনসহ বিকর্তিত কিছু বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে গোপন আঁতাত করে মতির মাষ্টার তার ৩৫ শতাংশ জমিতে মার্কেট নির্মাণ করছেন। কিন্তু  বিএনপি নেতাদের নিয়ে মতিন মাষ্টার অবিক্রিত ৫ ও আমার ৮ শতাংশসহ সমস্ত জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করে। খবর পেয়ে আমি ভেড়া ভেঙে আমার ৮ শতাংশ দখল মুক্ত করি। আমার জমি দখল করে মতির মাষ্টার নিজের অপরাধ ঢাকতে উল্টো আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ তোলে অপপ্রচার শুরু করেছেন।

 

 


জমির প্রকৃত মালিক নূর জাহানের মেয়ে আমিনা বেগম জানান, ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়ে আমি ৪ শতাংশ ৪০ পয়েন্ট মনিরুল ইসলামের কাছে বিক্রি করি। আমার বোন শারমিন ৩ শতাংশ ৬০ পয়েন্ট মনিরকে পাওয়ার দিয়েছেন। মনিরের বিরুদ্ধে মতিন মাষ্টার জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তোলেছেন। বরং মতিন মাষ্টার আমাদের জমি দখল করার চেষ্টা করছে দীর্ষদিন ধরে।

 

 

মনিরের কাছে জমি বিক্রি করায় মতিন মাষ্টার আমাকে বহু হুমকিও দিয়েছেন। এবিষয়ে জানতে মতির মাষ্টারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরো খবর