শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সংকট

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৩  

 

# নষ্ট হওয়ার বিষয়টি আগেই ঘোষণা দেয়া হয়েছে : সিভিল সার্জন

 

 

নারায়ণগঞ্জের সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স থেকেও যেন না থাকার মতো অবস্থায় অচল হয়ে পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্স থাকা সত্ত্বেও সেবা পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। জরুরি ভিক্তিতে বাধ্য হয়ে বেশি টাকা দিয়ে ব্যবহার করতে হচ্ছে বেসরকারি আম্বুলেন্স। হাসপালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে তিনটি যদিও অনেক দিন যাবত দুটি অ্যাম্বুলেন্স বিকল অবস্থায় ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে পরে আছে।

 

আর অপরটি দিয়ে যারা বিদেশে যাবে তারা করোনার নমুনা এবং অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে চাহিদা অনুযায়ী সেবা পাচ্ছে না সাধারণ রোগীরা। আবার অনেকের অভিযোগ রয়েছে এই অ্যাম্বুলেন্স গুলো পরিচালনা করে হাসপাতালের কিছু প্রভাবশালী চক্র এবং এর পাশাপাশি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স গুলো যাতে বাধ্য হয়েই রোগীরা ব্যবহার করে এই কারনে নষ্টগুলো মেরামত করার জন্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা।    

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের প্রবেশ পথে দেখা যায় গ্রিল বন্দি হয়ে পরে আছে তিনটি আম্বুলেন্স। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সের উপর ধুলো জমে নাজেহাল অবস্থায় রয়েছ। বরাদ্দকৃত তিনটি আম্বুলেন্সের মধ্যে কয়েক বছর যাবৎ দুটি আম্বুলেন্স যান্ত্রিক ভাবে নষ্ট হয়ে থাকলেও জানা যায় ১টি দিয়ে চলে সিভিল সার্জনের ঔষধ নেওয়া আসার কাজ।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, কয়েক বছর যাবৎ এ অ্যাম্বুলেন্স গুলো অকেজো অবস্থা পরে আছে। এগুলো ঠিক করাও যাবে না শুনেছি কিন্তু তারাও তো আমাদের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে নতুন কোনো অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ও করছে না। জরুরি রোগী নিয়ে আসলে তারা বলে এক্ষুণি ঢাকা নিয়ে যান, ঢাকা তো নিয়ে যাওয়া যায় কিন্তু সরকারি অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় আমাদের এক ধরনের বাধ্য হয়েই তাড়াহুড়োতে বেশি টাকা দিয়েই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হচ্ছে। এতে তাদের তো কিছু না আমরা গরীবদেরই অভাবে মরতে হয়।

 

এ ব্যাপারে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের মালিক মনির যুগের চিন্তাকে বলেন, হাসপাতালে আমার অ্যাম্বুলেন্স তিনটা। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট অবস্থায় পরে আছে অনেক দিন ধরে। এছাড়া হাসপাতালের মাত্র একটা অ্যাম্বুলেন্স আছে যেটা আমিই চালাই। এর আগে আমার সাথে যে ড্রাইভার ছিলো সে করোনাতে মারা গেছে তার পর থেকে আমি একাই। আর আমার অ্যাম্বুলেন্স বেসরকারি হলে কী হবে যারা গরীব, অসহায় তাদের থেকে আমি কম ভাড়া নেই। এছাড়া ঢাকা যেতে সে ১৫০০ টাকা করে নেয় বলে জানায়।      

 

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মশিউর রহমান জানান, আমাদের হাসপাতালে তিনটা অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে দুইটা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে আছে এটার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আর একটা দিয়ে করোনার স্যাম্পল নিয়ে আসে। এছাড়া ড্রাইভারের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে এটা হলেই ড্রাইভার নিয়ে আরেকটি অ্যাম্বুলেন্স আনবো। যে অ্যাম্বুলেন্সটি ভালো জানা যায় তা দিয়ে আপনার বিভিন্ন জায়গায় ঔষধ নেওয়া আসার কাজ চলে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা ভুল আমার কাজে ব্যবহার হবে কেনো? যারা বিদেশে যাবে তাদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয় এটা দিয়ে।    

এস.এ/জেসি

 

এই বিভাগের আরো খবর