ভূয়া পাসপোর্ট তৈরীর সময় রোহিঙ্গা নারীসহ গ্রেফতার ২

ফতুল্লায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে থেকে মিথ্যা পরিচয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্ট তৈরীর চেষ্টার সময় রোহিঙ্গা নারীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব ১১। গ্রেফতাররা হলেন, মোহাম্মদ সুমন ও নুর তাজ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১টি ভূয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ১টি ভূয়া জন্ম নিবন্ধন, ১টি পাসপোর্টের আবেদন ফরম ও ১টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। আসামী সুমনের বাড়ি বরিশাল জেলার গৌরনদী থানাধীন বাসুদিপাড়া এলাকায় ও অন্য আসামী রোহিঙ্গা নারী নুর তাজ দীর্ঘদিন ধরে নিজ পরিচয় গোপন করে ঢাকার সবুজবাগ এলাকার বসবাস করছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠানো র‌্যাব ১১’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি জানানো হয়।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা নারী নুর তাজকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও অনুসন্ধানে জানা যায়, সে কক্সবাজার টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে তার সহযোগী পাসপোর্টের দালাল সুমন এর সহায়তায় নারায়ণগঞ্জের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বিদেশে যেতে পাসপোর্ট তৈরী করার জন্য আবেদন করে।

এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে আরো জানা যায়, গ্রেফতার রোহিঙ্গা নারী নূর তাজের কোন পিতা-মাতা নাই। তাই সে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তার পালিত মা আমেনার কাছে থাকে। তবে নুর তাজের কাছ থেকে জব্দকৃত আলামত পর্যালোচনা ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, তার বাবার নাম সাদিক যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছে। নুর তাজ তার মা শারমিন এবং দুই ভাই আনোয়ার হোসেন ও পরেশ সাদিক’দের সাথে ঢাকার মুগদা এলাকায় ৪ বছর যাবৎ একটি ভাড়া বাসায় থাকে। তারও পূর্বে বেশ কয়েকবার তারা নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ি এলাকায় বসবাসরত ছিল। সে রোহিঙ্গা হয়েও বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে তার মায়ের নামে জাতীয় পরিচয়পত্র, তার ভাই আনোয়ার হোসেনের নামে পাসপোর্ট তৈরী করতে আসছিল।

এছাড়া, আরেক আসামী সুমন ঢাকার মতিঝিল এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সীতে চাকুরীর আড়ালে পাসপোর্ট, জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীতে সহায়তা করে তাদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়।