বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ভ্রাম্যমাণ বাজারেও হতাশ ক্রেতারা

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১  

নারায়ণগঞ্জে জেলা মৎস ও প্রানীসম্পদ অফিসের উদ্যোগে স্বল্প মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংশ বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত এই স্থানে পণ্য ক্রয় করতে এসে হতাশ হয়েছেন ক্রেতারা। তাদের মতে, যেই দামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা বাজারের সাথে প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ন। ফলে দূর থেকে এসে প্রায় একই দামে পন্য ক্রয় করে ক্রেতাদের তেমন লাভ হচ্ছে না।

 


প্রতিবছর রমজান এলে বাড়তে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্তের সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হয়। নতুন করে লকডাউন শুরু হওয়ায় দাম বেড়েছে তিনগুন। এমন পরিস্থিতিতে গত ১১ এপ্রিল রোববার থেকে পুরো রমজান মাস জুড়ে ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেয় জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অফিস।  নারায়ণগঞ্জে কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় নগরীর চাষাঢ়া জিয়া হলের সামনে ভ্রাম্যমাণ এই বাজারের কার্যক্রম শুরু হয়।

 


বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ৮৪ টাকায়। একই ভাবে গরুর মাংশের কেজি ৫৫০, দুধের লিটার ৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। অথচ সাধারণ নিত্যপন্যের বাজারে ডিমের ডজন ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে মাংশ ৫৮০ এবং দুধ খোলা বাজারে ৬৫ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

 


ফতুল্লা থেকে আগত ক্রেতা আহমদ আলী বলেন, প্রায় ৩০ টাকা খরচ করে চাষাঢ়া এসেছি। কিন্তু এখানে দুধ, ডিমের দাম তো আহামরি কম না। এসব পন্যে যদি অন্তত ১০ থেকে ১২ টাকা কমানো হতো তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। এতদূর থেকে এসে দামের পরিমাণ দেখে খুব একটা খুশী হতে পারলাম না।

 


গত রোববার শহরের ভ্রাম্যমাণ এই বাজার উদ্বোধনকালে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার বলেন, মহামারি করোনার এই দুর্যোগের সময়ে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজন দুধ, ডিমের মতো পুষ্টিকর খাদ্য। সরকারের নির্দেশে আজ থেকে কৃষক ও খামারিদের সহযোগিতায় ন্যায্যমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কৃষক ও খামারিদের থেকে সরাসরি ভালো মানের দুধ, ডিম, মাংস সংগ্রহ করে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে লাভবান হবে সাধারণ ভোক্তারা, ন্যায্য মূল্য পাবে খামারিরা।

 


তিনি আরও বলেন, রমজান এলে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে থাকে। তা রোধ করার লক্ষ্যে সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই বাজারে যেসব পন্য বিক্রি করা হবে তা সাধারণ বাজারের মূল্য থেকে খুব কম দামে বিক্রি করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্তের কাছে মাংশের চাইতে দুধ ও ডিমের চাহিদা বেশী থাকে। চলমান করোনা পরিস্থিতি ও রমজান উপলক্ষ্যে এসব পন্যের দাম আরেকটু কমানো সম্ভব হলে উপকৃত হতো ভোক্তারা। অন্যথায় দূর দূরান্ত থেকে এসে রোদে পুড়ে এই পন্য কেনায় খুব একটা লাভবান হতে পারবেননা ক্রেতারা।
 

এই বিভাগের আরো খবর