শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মনির রেস্টুরেন্টের সামনে অবৈধ অটোস্ট্যান্ড

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২৩  


# ব্যবস্থা গ্রহণ করবো : টিআই (এডমিন)


শহরের অন্যতম ব্যস্ত স্থান ২নং রেলগেইট এলাকা যেখানে প্রতিদিন চলাচল করে হাজার হাজার ছোট বড় যানবাহন। কিন্তু শহরে অবৈধ পরিবহন প্রবেশ করার নিষেধ থাকার পরেও কিছু অসাধু কর্মকতা সাথে মিলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে চালিয়ে যাচ্ছে এসব পরিবহন।

 

 

শহরের ২নং রেলগেইট গুরুত্বপূর্ণ স্থান বলে এখানে প্রতিদিন ১২ জন কমিউনিটি পুলিশ ও একজন টিআই একজন সার্জন এবং দুই কনস্টেবল ডিউটি করে, যাদের নিয়ন্ত্রণে পুরো ২নং রেলগেইট এলাকা। চার রাস্তার মোড় হওয়াতে ৩/৪ টি অবৈধ অটো স্ট্যান্ড রয়েছে। ২নং রেলগেইট মনির রেস্টুরেন্ট এর সামনে নতুন করে অটো স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে কমিউনিটি পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা।

 


মনির রেস্টুরেন্ট এর সামনে অবৈধ অটো ও সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে গাড়ি প্রতি ট্রাফিক পুলিশ এর সদস্য নেন ৩০/৪০ টাকা ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা নেন ১০/২০ টাকা পর্যন্ত। রবিবার সকালে এমন চিত্র দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন নিয়োগ প্রাপ্ত একজন কমিউনিটি পুলিশ অটো থেকে টাকা নেওয়ার সময় তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনারা তাদের কাছ থেকে এ টাকা কেনো নিচ্ছেন সে তখন বলে ভাই ভুল করেছি আর করবো না।

 

 

তারা বলে সিটি করর্পোরেশন এর থকে মাত্র ৬ হাজার টাকা বেতন পাই সে টাকা দিয়ে তো পরিবার নিয়ে চলতে পারি না। তাই একটু অটো গাড়িওলাদের সুবিধা করে দিয়ে আমরা ১০/২০ টাকা নেই। তবে আমরা তো কম নেই আমাদের থেকে বেশি নেই ট্রাফিক পুলিশ এর সদস্যরা।  

 


কিন্তু অপরদিকে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ শহরে ট্রাফিক পুলিশের চারটি র‌্যাকার টিম রয়েছে। যাদের কাজ শহরে যাতে কোনভাবে অবৈধ পরিবহন প্রবেশ করতে না পারে। তার জন্য তারা প্রতিদিন চাষাড়া ও ২নং রেলগেইট এলাকা থেকে অটো রিক্সা ও মিশুক অটো আটক করছে তা আবার টাকা বিনিময়ে ছেড়ে দিচ্ছে। ২নং রেলগেইট এলাকায় একজন টিআই এর চোখের সামনে চলছে অবৈধ অটো স্ট্যান্ড যাতে জড়িত আছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও।

 


নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের টিআই (এডমিন) শেখ আব্দুল করিম বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না এখানো তবে আমি কালকে সেখানে যাবো গিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। শহরে কোন অবৈধ গাড়ি চলতে পারবে না।  এন.হুসেইন রনী /জেসি