বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

মহাসড়ক দখল করে কাইল্লা মাসুদের চাঁদাবাজি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২২  

 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখ সাইনবোর্ড মোড়ে সড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি স্ট্যান্ড। আর এই অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ডটি গড়ে তুলেছে মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ নামে এক চাঁদাবাজ। হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে এই স্ট্যান্ডের মাধ্যমে চলাচলকারী সিএনজি থেকে প্রতি মাসে তোলা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর এই অবৈধ স্ট্যান্ডের কারণে মহাসড়কে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে অহরহ।


জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম পয়েন্ট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড মোড়টি নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখ। সাইনবোর্ড থেকে লিংক রোড হয়ে সাধারণ মানুষ নারায়ণগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জে যাতায়ত করে থাকে। আর এই নারায়ণগঞ্জের প্রবেশমুখ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুল পয়েন্ট দখল করে অবৈধ ভাবে স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ নামে চাঁদাবাজ। এই রাস্তা দখল করার কারণে সাধারণ মানুষ যাতায়াত করতে সমস্যা সৃষ্টি হয়। নারায়ণগঞ্জগামী যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরী হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও যেন না দেখার ভান করছে। 


সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক ভাবে রাস্তা পারাপার করার জন্য (সড়ক ও জনপথ বিভাগ) ফুট ওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছে যার ফলে সাইনবোর্ড মোড়ে দূর্ঘটনা কম হয়ে থাকে। আর সেই ফুট ওভার ব্রিজের উঠা- নামার রাস্তার অংশ দখল করে সিএনজি ও লেগুনা স্ট্যান্ড গড়ে তুলেছে চাঁদাবাজ মাসুদ। আর এই দখলদারিত্ব কারণ হলো চাঁদাবাজ মাসুদের লাখ লাখ টাকার চাঁদাবাজি। সরেজমিনে সাইনবোর্ড মোড়ে গিয়ে সিএনজি চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,  প্রতিদিন সিএনজি গাড়ী প্রতি লাইনম্যান বাবদ ৩০ টাকা, গাড়ি ভর্তি বাবদ ৩০০০/৫০০০ টাকা, মাসিক স্টিকার বাবদ ৫০০ টাকা করে নিয়ে থাকে চাঁদাবাজ মাসুদ। কোন গাড়ির চালক চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার উপরে অমানবিক অত্যাচার করে নানা ভাবে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে চাঁদাবাজ মাসুদ। এই চাঁদাবাজ মাসুদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক চাঁদাবাজি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা থাকলেও পুলিশের সামনে থেকে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে চাঁদাবাজ মাসুদ। 


চাঁদাবাজীর বিষয়টি পাস কাটিয়ে মাসুদ ওরফে কাইল্লা মাসুদ জানান, আগে এই স্ট্যান্ড থেকে টাকা পয়সা উঠতো। এখন টাকা পয়সা উঠানো হয় না। ভাই আইসেন, চা খেয়ে যাইয়েন। এ বিষয়ে সাইনবোর্ড হাইওয়ে পুলিশ বক্সের টি আই মো: মাসুম খাঁন বলেন, সাইনবোর্ড মোড়ে যাতে কোন যানযট সৃষ্টি না হয় সে দিকে আমি সহ আমাদের হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা  সবসময় তৎপর রয়েছে। আমরা প্রতিদিন সাইনবোর্ড মোড় থেকে সিএনজি গাড়ীতে মামলা দিয়ে থাকি। যারা আমাদের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।এমই/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর