বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মাকে হত্যার পর কারাগারে বাবা, কি হবে হুমাইরার ভবিষ্যত?

লতিফ রানা

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১  

# অনেক নাটকীয়তার পর গ্রেফতার ঘাতক স্বামী রুবেল, ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি

# রাগের বশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলা কেটে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যা করে রুবেল

# টাকা চাই না আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই: আখিঁর মা



অবশেষে পিবিআইয়ের জালে ধরা দিল বন্দরের আলোচিত আঁখি হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী আখির সাবেক স্বামী ঘাতক রুবেল। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সেখানে সে ৮/১০দিন আগে নিজের নাম পরিবর্তন করে নিরাপত্তার রক্ষীর চাকুরীতে যোগ দেয়।
 
 
এর আগে সে এক বছরেরও বেশী সময় ধরে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে অবস্থান করছিল। রুবেল নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার মুগারচর এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলাম (৫০)এর ছেলে। ঘটনার সময় তাদের সংসারে হুমাইরা নামের তিন বছরের এক শিশু কন্যা ছিল। হুমায়রার বয়স এখন চার বছর। গতবছরের ২৫ আগস্ট আখিকে তার সাবেক স্বামী রুবেল মিমাংসার কথা বলে সোনারগাঁ থানার বাড়ি মজলিস এলাকার আজগর আলী প্রধানের মেয়ে নিপা আক্তার (৪৫)’র বাসায় নিয়ে দুই পায়ের রগ ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।
 
 
এই ঘটনায় ঐদিনই নিপাকে ও রুবেলের পিতা মফিজুল ইসলামকে আটক করে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। পরে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। ঘটনার পর থেকেই রুবেল আত্মগোপনে চলে যায়। ঘটনার বিবরণে তখন নিপা পুলিশকে জানায় তারা দুইজন মিমাংসার কথা বলবে তাই নিপা তাদেরকে রুমে রেখে তিনি ছাদে কাপড় রৌদ্রে ছড়াতে যান। কিছুক্ষণ পর ফিরে দরজার সামনে আসলে রুবেল তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দ্রুত বের হয়ে যায়। রুমের ভিতর প্রবেশ করে নিপা দেখতে আখির নিথর দেহ বিছানার উপর পড়ে আছে। তার দুই পায়ের রগ ও গলা কাটা। সাথে সাথেই তিনি দৌড়ে মোগরাপাড়া বাজারে গিয়ে রুবেলের পিতা মাছ ব্যবসায়ী মফিজুল ইসলামকে ঘটনাটি জানান এবং পুলিশে খবর দেন।
 

 
আঁখির বাপের বাড়ি বন্দর থানার নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম নজরুল ইসলাম। এর ৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাকে রুবেল তাকে বিভিন্ন সময়ে শারিরীক নির্যাতন করে বলে হত্যাকা-ের তিনমাস আগে সামাজিকভাবে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পর আখি আক্তার স্থানীয় এসিআই ফ্লাওয়ার মিলে শ্রমিকের কাজে যোগদান করেন। ২৫ আগস্ট বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করতে গেলে তাকে মিমাংসার কথা বলে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় রুবেল। এর আগে রুবেলের পরিবার থেকে মামলার বাদী আঁখির ছোট ভাই খোরশেদ আলমকে হুমকী ধামকি প্রদান করে বলে বন্দর থানায় সাধারণ ডায়েরী  (জিডি) করেন খোরশেদ। আখির হত্যার বিচার চেয়ে তার মা ও ভাই বিভিন্ন জায়গার দেনদরবার করেন। তার মায়ের দাবি, রুবেলের সাথে তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ ছিল। এমনকি তার পরিবার তার কাছে বিভিন্ন সময় টাকা পয়সা পাঠাতো।
 
 
এই প্রতিবেদককে তিনি জানান, গত মঙ্গলবার তার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে তিনি প্রথম শুনতে পান যে রুবেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তখন তিনি নিশ্চিত ছিলেন না। পরে তিনি পিবিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, চট্টগ্রাম থেকে মারুফ নামেরন একজনকে আটক করা হয়েছে তবে তারা সন্দেহ করছেন সেই রুবেল হতে পারে, তখন তিনি সেখানে গিয়ে রুবেলকে চিনতে পারেন। পিবিআই জানায় রুবেল তার নাম পরিবর্তন করে সেখানে ছব্দ নাম ব্যবহার করেছেন। সেখান থেকে পিবিআই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসেন। এখন তার একটাই দাবি, তিনি তার মেয়ে হত্যার বিচার চান, তার সর্বোচ্চ শাস্তি চান তিনি।

 
পিবিআই নারায়ণগঞ্জ এর এসআই বাদিউজ্জামান জানান, প্রায় আটমাস আগে বন্দরের আঁখি হত্যার মামলাটির দায়িত্ব পিবিআইকে  দেয়ার পর থেকেই আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তবে আসামী খুব চতুরতার সাথে তার অবস্থান পরিবর্তন করে যার ফলে আমরা তাকে এতদিন ধরতে পারছিলাম না। কিন্তু আমরা আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রাখছিলাম যার ফলাফল এখন আমরা পেয়েছি। এতদিন সে বরিশাল, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিল এবং খুব কাছাকাছি সময়ের মধ্যে জায়গা পরিবর্তন করছিল। সর্বশেষ আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চট্টগ্রাম অভিযান চালাই এবং আমাদের পরিশ্রম সার্থক হয়।
 
 
 
যেভাবে হত্যা করা হয় আঁখিকে:  গতবছরের ২৫ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে আখির মোবাইলে ফোন করে তার সাবেক স্বামী রুবেল (তিন মাস আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়)। আখিকে বলা হয় তাদের মধ্যে মিমাংসার জন্য কথা বলা দরকার তাই তাকে রুবেলের কাছে যেতে হবে। কিন্তু সে যেতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তার শারীরিক সমস্যার কারণে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে যাবে বলে রুবেলকে জানিয়ে দেয়। এর মধ্যে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সে বন্দর থানার নাসিক ২৪নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকার বাসা থেকে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে বের হয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে আসার পর হঠাৎই একটি অটো ইজিবাইক থেকে নেমে আসে রুবেল এবং তাকে গাড়িতে উঠতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায়, পরে তাকে জোরপূর্বক ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানার সেবা ক্লিনিকের পেছনে বাড়িমজলিস এলাকার আজগর আলী প্রধানের মেয়ে নিপা আক্তার (৪৫)’র বাসায়। নিপা রুবেলের আত্মীয় হয়। সেখানেই আখির দুই পায়ের রগ ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে আনুমানিক সাড়ে এগারটার দিকে সোনারগাঁ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম তার মোবাইলে সেভ করা থাকা বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকায় তার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে ফোন করে হত্যার বিষয়টি জানালে তিনি আখিদের বাসায় খবরটি পৌছিয়ে দেন। তখন আখির মা ও ছোট ভাই সোনারগাঁ গিয়ে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।

 
এ বিষয়ে আখির মা জানান, বিয়ের পর থেকেই রুবেল আখিকে নির্যাতন করত। তার এই অমানুষিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ঘটনার তিন মাস আগে সামাজিকভাবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। সেখান থেকে বিচ্ছেদ হওয়ার পর আখি স্থানীয় এসিআই ফ্লাওয়ার মিলে শ্রমিকের কাজ নেয়। ঘটনার দিন আখি চিকিৎসা করাতে বন্দর উপজেলা হাসপাতালে যায়, সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে সোনারগাও এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় তার সাবেক স্বামী রুবেল। সেখানে আখিকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। তিনি বলেন এরপর আমাদেরকে এই মামলা তুলে নিতে একাধিকবার হুমকি প্রদান করা হয়। আমরা আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল বলে আমাদের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করতে বলা হয়। কিন্তু আমরা টাকা চাই না আমার মেয়ের বিচার চাই।
 
 

কি হবে হুমাইরার ভবিষ্যৎ :  গতবছর ২৫ আগস্ট যখন আখিকে তার প্রাক্তন স্বামী রুবেল পায়ের রগ ও গলা কেটে হত্যা করে তখন তাদের একমাত্র মেয়ে হুমাইরার বয়স মাত্র তিন বছর। এখন তার বয়স চার। এই বয়সে তার পিতা-মাতার আদরে ও যতেœ থাকার কথা। অথচ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের চাকায় ঘুরছে তার বর্তমান। মাতৃহীন হওয়া এই শিশুটি এখনো বুঝতে পারে না তার বাবা মায়ের সম্পর্ক। মায়ের আদর খাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া শিশুটি তার বাবার ভবিষ্যৎ কি তাও সে বুঝে না। তবু যখন এক বছরেরও বেশী সময় পরে তার মায়ের ঘাতক হিসেবে পালিয়ে বেড়ানো পিতাকে পিবিআই এর অফিসে দেখতে পায় তখনো সে অভিমানে হোক কিংবা ক্ষোভে প্রথমে তার বাবার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় শিশুটি। এই দৃশ্যটি যেন শিশুটির প্রতিবাদ। হয়তো সে বলতে চাইছে তুমি কেন এভাবে আমার মাকে মেরেছ, কিংবা বলতে চাইছে এতদিন তুমি আমাকে ছেড়ে কোথায় ছিলে, তোমার সাথে আমি কথা বলবো না।

 
চার বছরের এই শিশুটি বর্তমানে তার নানির সাথে আছে। নানির পরিবারের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা স্বচ্ছল নয়। যদিও নানির দাবি সে মেয়েটিকে নিজের কাছে রেখে লালন পালন করবে। আবার ভবিষ্যতে যদি তার দাদা-দাদির পরিবার তাকে নিয়ে যেতে চায় তাহলে আইনীভাবে কি হবে তা আইনই ভাল বলতে পারবে, তবে তার ভবিষ্যৎ যে এখন কুলকিনারাহীন, অন্ধকার ও কন্টকপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হুমাইরাও এখন বলতে পারবে না তার কি করা উচিৎ, তার পিতার কি শাস্তি হওয়া উচিৎ। রুবেলের সর্বোচ্চ শাস্তির বিষয়ে এলাকাবাসিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ হতে একাধিকবার মানবন্ধন করে দাবি জানানো হয়েছে। মামলার বাদি আখির ছোট ভাই খোরশেদ আলম জানান, তাদের সাথে মিমাংসা করার জন্য আমাদের একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আমরা মিমাংসা চাই না, যারা আমার বোনকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তার শাস্তি চাই। আসামীকে রিমান্ডে নিয়ে এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে তাদের বের করে প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 
এবিষয়ে বন্দর নাগরিক কমিটি (বনাক) এর সাধারণ সম্পাদক এরশাদুল কবির সোহেল জানান, এ ঘটনাটি খুবই মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক। যখন আখিকে হত্যা করা হয় তখন তাদের একমাত্র মেয়ে হোমাইরার বয়স তিন বছর (বর্তমান বয়স ৪)। জন্মদাতা পিতা এট ছোট একটি বাচ্চার কথাও একটিবারের জন্য ভাবেনি, তার ভষ্যিতের কথা ভাবেনি। তাকে মাতৃহীন করেছে। যেই স্ত্রী’র সাথে রুবেল ৬টি বছর সংসার করেছে সেই স্ত্রীকে এমন জঘন্যভাবে হত্যা করতে পারে। এ ধরণের কাজ কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সে সাধারণ মানুষের কাতারে পড়ে না। তার সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া দরকার। তবে শিশুটির ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন।


এদিকে বৃহস্পতিবার আঁখি হত্যা মামলার আসামি রুবেল তার প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তথ্যের বরাতে পিবিআই বলছে, প্রাক্তন স্ত্রীকে অপর এক ছেলের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে রাগের বশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে রুবেল। পিবিআই জানায়, আঁখি হত্যা মামলায় থানা পুলিশ দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে। গত বছরের ২৫ নভেম্বর পুলিশের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়। পরে পিবিআই’র পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেন উপপরিদর্শক মো. বদিউজ্জামান ভূঞাকে। চলতি বছরের ৩১ আগস্ট তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে হত্যার শিকার আঁখি আক্তারের প্রাক্তন স্বামী রুবেলকে চট্টগ্রাম শহরের খুলশীর বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতাল গেইটের সামনে থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। গ্রেফতার রুবেল সোনারগাঁ উপজেলার মুগারচর এলাকার মফিজুল ইসলামের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সে তার প্রাক্তন স্ত্রী আঁখিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। বৃহস্পতিবার সে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে।
 

রুবেল পিবিআইকে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, তার স্ত্রী আঁখি পরকীয় জড়িত ছিলেন। এই কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে আঁখি ক্ষমা চেয়ে পুনরায় সংসার করার ইচ্ছা পোষণ করেছিল বলে দাবি করেছেন রুবেল। গত বছরের ২৫ আগস্ট বেলা ১২টায় সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া চৌরাস্তার মোড়ে তাদের সাক্ষাতের কথা ছিল। রুবেলের ভাষ্যমতে, ওইদিন তিনি জানতে পারেন তার প্রাক্তন স্ত্রী আঁখি এক ছেলের সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করছে। এমন খবর পেয়ে সে সোনারগাঁয়ের বাড়িমজলিশ এলাকায় ভুক্তভোগী আঁখির পূর্বপরিচিত ছলিমুল্লার ভাড়া বাসায় যায়। সেখানে অন্য এক ছেলের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় আঁখিকে। তবে তার সাথে থাকা ছেলেটি দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে চিনতে পারেনি বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে আসামি রুবেল। এই ঘটনার পর রাগের বশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলা কেটে প্রাক্তন স্ত্রীকে হত্যা করে রুবেল।

 
 

 

এই বিভাগের আরো খবর