শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মিনি পার্কে মিলেমিশে ভাগবাটোয়ারা

মেহেদী হাসান

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১  


ঘিঞ্জি জায়গায় নগরবাসীকে প্রশান্তি দেয়ার জন্য মিনি পার্ক করেছিলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। কিন্তু ভাসমান দখলদার আর চাঁদাবাজদের ভাগভাটোয়ারায় সেই প্রশান্তি এখন যন্ত্রণা। সূত্র জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ শহরের ২ নং রেল গেট সংলগ্ন (সাবেক রহমত উল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য পার্কের সামনে অবস্থিত ভ্রামমাণ দোকানিদের কাছ  থেকে প্রতি মাসে অর্ধলক্ষাধিক চাঁদার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অসাধু চক্র।

 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এই পার্কে সামনে বসা ১২ টি ভ্রাম্যমাণ দোকানিদের কাছ থেকে দোকান প্রতি দৈনিক ১০০  থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হচ্ছে। তবে এটি চলে শিফট অনুসারে। সূত্র জানায়, আলী আহম্মদ চুনকা সড়কের আল্লাহর দান রেস্টুরেন্টের এক কর্মচারী মমিন, পালপাড়া এলাকার সাজু নামের একজন, আল্লাহর দান রেস্টুরেন্টের মালিক আনোয়ার, নূর জামানসহ নাসিকের অসাধু কয়েকজন কর্মচারী। সকাল থেকে দুই শিফটে দোকান ভেদে এই রমরমা ব্যবসা এবং চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি।  

 


বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে ২নং রেলগেট এলাকায় চলাচলরত পথচারীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী রহমত উল্লাহ মুসলিম ইনস্টিটিউট ভেঙে সেই জমিতে একটি মিনি পার্ক নির্মাণ করেন নারায়ণগঞ্জ বাসীর জন্য মুক্তপরিবেশে বসে সময় কাটানো জন্য। কিন্তু সেই মিনি পার্কের  সৌন্দর্য্যকে নষ্ট করে এই সব ভ্রাম্যমাণ দোকানীরা সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান বসিয়ে জনসাধারণের চলাচলের বিঘ্ন ঘটিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাদের ব্যবসা চালায়। পার্কের  ভেতরে ফুচকা, চটপটি দোকান বসানোর কারণে পার্কের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এমনকি সেখানে একটা পকেটমার চক্রও সরব আছে বলে জানিয়েছে সূত্র।

 

পথচারীরা আরও জানান, এই ব্যবসায়ীদের কারণেই রাতের বেলা পার্কের ভেতরে অসামাজিক কার্যকলাপ, মাদকসেবন থেকে শুরু করে মাদক বিক্রিও এখানে শুরু করেছে একটি চক্র। যে কোন মুহূর্তে পার্কের ভেতরে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। রাতের বেলা পুলিশ টহল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে জোরদার থাকলেও এই পার্কে ও তার আশেরপাশের এলাকায়  পুলিশের টহল তেমন একটা  দেখা যায় না।  সূত্র জানিয়েছে, পার্কের সামনে  দুই পাশে দোকান বসার কারনে পথ চারীদের হাঁটা চলাচল করতে খুবই সমস্যা হয়। এই রাস্তাটি দিয়ে মেয়র প্রতিদিন চলাচল করলেও এই বিষয়ে তিনি অবগত নন।

 

এই বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য পার্কে সামনে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা জানান, আমরা টাকা দিয়ে এখানে দোকান বসায়। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যবসা করা জন্য আমাদের কাছ থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হয়। আবার কেউ কেউ মাসেও টাকা দেই। কারা টাকা নেয় জানতে চাইলে দোকানিরা জানান যাদেরকে দেই তাদের কাছে গিয়া জিগাসা করেন তারাই ভাল বলতে পারবে। আমরা যদি টাকা না দেই তাহলে আমাদের বসতে দেবে না।
 

এই বিভাগের আরো খবর