শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

মেম্বারকে গুলি করা রানার রিমান্ড শুনানি রোববার

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২  

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বার নিলুফা বেগমকে গুলিবিদ্ধ করা মামলার আসামী রানাকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে সদর থানার তদন্ত ওসি সাইদুজ্জামানের নেতৃত্বে গোগনগর সৈয়দপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে রানাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক নুর মোহসিন শুনানি শেষে আগামী ১৪ তারিখ রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেন। একই সাথে ওই দিন তার জামিন শুনানির কথা রয়েছে। কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালত সূত্রে জানাযায়, রানার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার মাঝে এপ্রিল মাসে ৩২৬ ধারায় মামলা রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায়। যার মামলা নম্বর ০১/৪। আর এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

 

এলাকাবাসী জানান, এই বছরের ১৫ মার্চ গোগনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরান সৈয়দপুর এলাকায় জমিসংক্রান্ত কারণে গোগনগর ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুর হোসেন ও নিলুফা মেম্বারে উপর হামলা করেন রানার সন্ত্রাস বাহিনী। আর তখনই রানা নিলুফা মেম্বারের উপর গুলি ছুড়েন। তখন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিলুফা মেম্বার আহত হয়ে হাসপাতালে যান। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ নিলুফাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তখন ঘটনার পর ধারালো অস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় একপক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। গুলিবিদ্ধ নিলুফা বেগম গোগনগর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩ নম্বর ওর্য়াডের (৭, ৮, ৯) মেম্বার। 


খোঁজ নিয়ে জানাাযায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুরান সৈয়দপুর এলাকায় বিচ্ছু বাহিনীর দুই গ্রুপের মধ্যে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান, মেম্বার রুবেল ও রানা বাহিনীর মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। (২০জুন) রাত ১০টার দিকে প্রথমে চর সৈয়দপুর এলাকায় সংঘর্ষ হয় যা রাত ২ টা পর্যন্ত চলে। এই ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়। পরে এই মারামারির ঘটনায় মেম্বার রুবেলের লোকজন রানার বাড়ি পুরাতন সৈয়দপুর গিয়ে দুইটি মটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সাথে বাড়ি ঘড়ে ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় নারায়নগঞ্জ সদর থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। ২১ জুন রানা বাহিনীর বিপক্ষে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে লুৎফর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ২৩। অপর দিকে একই দিনে রুবেল বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে হাসি বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেন। যার মামলা নম্বর ২৪। তবে এই মামলায় তখন দুই গ্রুপের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ প্রশাসন। তাই সচেতন মহল মনে করছেন তাদের বিরুদ্ধে তখন কঠোর ব্যবস্থা না নেয়ায় আজকে দৌলত মেম্বার হত্যার ঘটনা ঘটে। তার খেসরাত দিতে হচ্ছে ভুক্তভোগী দুই পরিবারকে। কেউ বাবা হারিয়েছে, আবার কেউ সন্তান হারিয়েছে। তারপরেও এই ঘটনার শেষ কবে হবে তা গোগনগরের সচেতন মহল জানেন না। তবে এখনো পর্যন্ত রানার অস্ত্রের বিষয়ে রহস্য উৎঘাটন হয় নাই। এই এলাকাবাসি প্রশ্ন তুলেন রানার কোথায় থেকে অস্ত্র পেল। তার অস্ত্রের লাইসেন্স আছে কি না। তার অস্ত্রে বিষয়ে তদন্তের দাবী তুলেন ভুক্তভোগী তাকে যেন রিমান্ড নেয়া হয়।


নারায়ণগঞ্জ সদর থানার তদন্ত ওসি সাইদুজজ্জামান বলেন, রানা অভিযুক্ত মামলার আসামী তাই তাকে বুধবার বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে গোগনগর ইউনিয়ন সৈয়দপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকের রিমান্ড আবেদন করে তার অস্ত্রের বিষয়ে রহস্য উৎঘাটন করা হবে।এমই/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর