বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

ময়লা সরানো নিয়ে নাসিক-বিআইডব্লিউটিএ পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

নুরুন নাহার নিরু

প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২  

নির্মল বাতাস, নিরিবিলি পরিবেশ। মন ভালো করতে চাইলে এ পরিবেশে কিছুটা সময় কাটানো যায়। শীতলক্ষ্যা নদীর পার ঘেঁষা এই ওয়াকওয়ে। সবুজ গাছপালায় ঘেরা এই পরিবেশ। বলছিলাম নারায়ণগঞ্জের চারারগোপ এলাকার ৫নং ঘাটের কথা । বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও নানা শ্রেণির নানা পেশার মানুষ আসেন এখানকার মনোরম পরিবেশকে উপভোগ করতে । বিশেষ করে শুক্রবারসহ ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বাড়ে এ ওয়াকওয়েতে।

 

ঘনবসতিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জে ওয়াকওয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা থাকলেও প্রতিদিনই কিছু সংখ্যক মানুষ এখানে শরীর ও মন চর্চার জন্য হাটতে আসেন। তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন মাদক সেবন থেকে শুরু করে জুয়ারিদের আড্ডার আসর যেন এখানে।

 

ইভটিজিং এর কারনে নারী,শিশু ও কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা পরিবেশকে তেমন ভাবে উপভোগ করতে পারছেন না। এছাড়া ওয়াকওয়ে যেন এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। বিশেষ করে ৩নং ঘাটের মাছ বাজারের আর্বজনায় ওয়াকওয়ে ঘিরে তৈরি হয়েছে ডাম্পিং স্পট। বাড়ছে শীতলক্ষ্যা নদী দূষণ।

 

নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় মাছ বাজার ৩নং মাছঘাট। এ মাছ ঘাটের সকল আর্বজনা ঘাটের পাশর্^বতী নদীর তীরেই ফেলা হয়। ফলে যেখানে মানুষ নদীর শীতল বাতাসে প্রাণ জুড়াতে যায়। সেখানে দুর্গন্ধে ফিরে আসে।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো ওয়াকওয়ে একাধিক স্থানে রয়েছে আর্বজনার স্তপ। অনেক রকমের বর্জ্যের ছোট বড় স্তপ। বিশেষ করে মাছের বাজারের বর্জ্য। নারায়ণগঞ্জের নদী বন্দর কার্যালয় থেকে শুরু করে ৫নং ঘাট পযন্ত ওয়াকওয়ের আশ পাশ কাটা মাছের রক্ত,মাছের আশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে নদীর পাড়ের নির্মল পরিবেশকে দূষিত করছে । 

 

প্রতিদিনই মাছের এই আর্বজনা আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। পচা বর্জ্যের সঙ্গে কালো ধোয়া ধূষিত হয়ে সেখান দিয়ে যাওয়া পথচারিদের দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম। এ বর্জ্যের অংশ বিশেষ ফেলা হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।

 

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম সচিব শেখ মাসুদ কামাল যুগের চিন্তাকে জানান, এ দায়িত্ব আমাদের না, ৫নং ঘাটের ময়লা যেন এখান থেকে সরিয়ে নেয় এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশনকে অনেক বার বলেছি কিন্তু তারা কোনো কাজ করেনি।
তিনি আরো বলেন সিটি করপোরেশন ভিতরে থাকা প্রতিটা জিনিস দেখ ভাল ও পরিষ্কার করা তাদের দায়িত্ব।

 

সিটি করপোরেশনের পরিছন্ন কর্মকর্তা আলমগীর হিরণ যুগের চিন্তাকে বলেন, এ দায়িত্ব আমাদের না । এটা বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বে রয়েছে । কিন্তু মাঝে মধ্যে ওয়াকওয়েটা আমরা পরিষ্কার করে দেই।

 

ওয়াকওয়েতে হাঁটতে আসা মো: শামীম বলেন, নদীর পারটাকে সুন্দর এবং বিনোদনের মতো একটা জায়গা করে দেওয়া দরকার। এখানে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ যাতে কোনো ময়লা আর্বজনা না থাকে মানুষ যেন আসলে মনরহম একটি পরিবেশ উপভোগ করতে পারে কিছুটা হলেও যেন সস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারে। সিটি কর্রপোরেশনের কাছে আমার অনুরোধ এই জায়গাটাকে যেন সুন্দর একটি পরিবেশ হিসেবে গড়ে তোলে।

 

৫নং ঘাট এখন মাদক ব্যবসার কেন্দ্র হয়ে ওঠেছে এর পাশাপাশি পতিতায়ের কাজ চলে এখানে। মাদকের আখড়া বললেই চলে এই জায়গাটাকে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি যাতে তারা এ পরিবেশটাকে রক্ষা করে।তিনি আরো বলেন, পুলিশ যদি এই জায়গাটাকে কিছুদিন পর পর টহল দিতেন তাহলে এসব থেকে আমরা উত্তরণ পেতাম।এসএম/জেসি 
 

এই বিভাগের আরো খবর