শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যানজটে পরিবহন সংকটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২২  



৬ নভেম্বর রোববার থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীরা যানজটের কারণে সৃষ্ট পরিবহন সংকটের কারণে প্রতিদিনই চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।

 

 

গতকাল ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে দুপুরে পরীক্ষার্থীদের যানবাহনের জন্য বিভিন্ন স্টপেজ গুলোতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের সামনেও দেখা গেছে একই চিত্র।

 

 

দীর্ঘ সময় ধরে পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থেকে ব্যর্থ হয়ে দ্বিগুণ টাকা দিয়ে প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য দেখা গেছে। কথা হয় একজন পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে।

 

 

তিনি জানান, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রায় এক ঘণ্টার মতো দাঁড়িয়ে আছি। কোন কিছুই পাচ্ছি না। অন্য সময় হাজার হাজার গাড়ি। গাড়ির জন্য রাস্তা পার হওয়া ভীষণ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়।

 

 

কিন্তু এখন কোন গাড়িই নেই রাস্তায়। দীর্ঘ সময় পর পর যে একটা করে গাড়ি আসছে তাতে হুমকি খেয়ে ঝাপ দিয়ে উঠছেন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আমরা ওঠার কোন সুযোগই পাচ্ছি না।

 

 

আলিগঞ্জ থেকে আসা নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি শিক্ষার্থী মাসুদা আক্তার জানান, আজকে আমাদের পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর এক টায় কিন্তু এখন বাজে দশ মিনিট কম দুইটা।

 

 

বাসায় যাবো কিন্তু কোন ধরনের যানবাহন পাচ্ছি না। দুই একটা আসলেও ছেলেরা হুমরি খেয়ে তাকে উঠছে। মেয়ে মানুষ তো সেটা করতে পারে না। তাই দাঁড়িয়ে আছি।

 

 

ফতুলা থেকে আসা সরকারি তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমন জানান, পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিদিনই সকালে এবং পরীক্ষা শেষে যানবাহনের জন্য বেগ পেতে হয়।

 

 

শেষে ব্যর্থ হয়ে আমাদের দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিক্সায় করে বাসায় যেতে হয়। পরীক্ষা শেষে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দেখা গেছে একই চিত্র।

 

 

কোন ধরনের পরিবহন না পেয়ে ব্যর্থ হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিক্সায় এবং মিশুকে করে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবককে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় সরকারি তোলারাম কলেজের একজন শিক্ষকের সঙ্গে।

 

 

তিনি জানান, “পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে যানবাহন সংকট প্রায় এ লক্ষ্য করা যায়। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে যানজটের কারণেও হয়ে থাকে। তবে কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে পরিবহনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিত।

 

 

এতে তাদের মস্তিষ্ক চাপমুক্ত থাকবে এবং পরীক্ষা অবশ্যই আরো ভালো হবে। সময় নিয়ে কোন টেনশন থাকবে না। যথাসময়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে আসতে বাধাও দূর হবে। কর্তৃপক্ষের এ ধরনের উদ্যোগ নিতে উদাসীনতার কথাও তিনি জানান।” এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর