Logo
Logo
×

রাজনীতি

যেভাবে দেখছে বিএনপির তৃণমূল

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৩৯ পিএম

যেভাবে দেখছে বিএনপির তৃণমূল
Swapno

 

গতকাল দেশের সকল জাতীয় গণমাধ্যমগুলির মূল খবরটি ছিলো মার্কিন যুক্তরাস্ট্র বাংলাদেশের উপর তাদের ভিসা নীতি প্রয়োগ করতে শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের কপালে কিছুটা দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেখা গেলেও বিরোধী দল বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশ উজ্জীবিত দেখা গেছে।

 

বিরোধী দল বিএনপির নেতা কর্মীরা মনে করেন মার্কিন যুক্তরাস্ট্র এবার এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নর্বাচন করার জন্য সরকারকে যে ভাবে চেপে ধরেছে তাতে তারা এবার এর শেষ দেখে ছাড়বে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ আন্তর্জাতিক মহলের কঠোর চাঁপ এবং অপরদিকে দেশের ভেতর জনগনের ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য কঠোর আন্দোলনের কারনে এবার দেশের জনগন তাদের হারানো অধিকার ফিরে পাবে ইনশাআল্লাহ। 

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বারী ভুঁইয়া বলেছেন, মর্কিন ভিসা নীতিতে সরকার যতোই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করুক না কেনো আমরা কিন্তু জানি এই সরকারের প্রধানমন্ত্রী পরিবার থেকে শুরু কলে সরকারের মন্ত্রী এমপিদের কাছে বসবাসের জন্য কতোটা প্রিয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি প্রয়োগের কারণে সরকার একেবারে দিশেহারা হয়ে পরেছে। নানা রকম কথা বলে তারা এখন অবৈধ ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে।

 

কিন্তু বাস্তবতা হলো একদিকে এ দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করার জন্য এ দেশের জনগন আন্দোলন নিয়ে মাঠে রয়েছে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক মহল এই সরকারকে কঠোর ভাবে চাপ প্রয়োগ করে চলেছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের জনগনের ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই এবার সরকারকে বিদায় নিতে হবে বলেই আমরা মনে করি। আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলন আরো বেগবান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

 

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে সরকারী দলের নেতাকর্মীরা যেভাবে হালকা করে ব্যাখ্যা করছে বিষয়টি মোটেও ততোটা হালকা নয়। কারণ যতোটুকু জানি যুক্তরাষ্ট্র যেটা ধরে তার একটা শেষ দেখে ছাড়ে। তিনি বলেন আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা নানা ভাবে পশ্চিমা বিশ্বের উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে আমাদের অর্থনীতি তাদের উপর পূরোপুরি নির্ভরশীল।

 

পশ্চিমারা আমাদের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ধ্বংস হয়ে যাবে আমাদের অর্থনীতি। তাই এবার এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার আদায় করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে সরকারকে ধরেছে তাতে এবার তারা এর শেষ দেখে ছাড়বে বলেই আমি মনে করি। যুক্তরাষ্ট্র বলছে বাংলাদেশের জনগন যা চায় আমরাও তাই চাই। আর বাংলাদেশের মানুষ চায় তাদের ভোটের অধিকার।

 

তাই সরকার যদি এ দেশকে ভালোবাসে আর দেশের মানুষকে ভালোবাসে তাহলে অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্রের এসব তৎপরতা আমলে নিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাবস্থা করবে। অন্যথায় যেভাবে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাতে এ সরকারের শেষ রক্ষা তো হবেই না বরং এ সরকারকে করুন পরিণতি বরণ করতে হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। শিগগিরই একটি গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ তাদের ভোটের অধিকার আদায় করে নেবে।

 

এদিকে এ বিষয়ে একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিগত দুটি নির্বাচনে সরকার যেভাবে জোর করে কারচুপির নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে তাতে গণতান্ত্রিক বিশ্ব শংকিত হয়ে পরেছে। যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলি বুঝতে পেরেছে এ সরকার দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইছে। তাই এবার যুক্তরাষ্ট্র বেশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।

 

দেশের মানুষ যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থানকে সমর্থন করছে। ফলে মাঠ পর্যায়ে কিছুটা হলেও এর প্রভাব পরেছে। বিএনপি সহ বিরোধী দলগুলির আন্দোলন বেগবান হয়েছে। তাই দেশী বিদেশী চাপে পরে খুব শিগগিরই এই সরকারের পতন ঘটবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ সময়ে এসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু হওয়ায় এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন আরো নিশ্চিত হলো বলে আমরা মনে করি। যদিও এই ধরনের ভিসা নীতি প্রয়োগ আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের মানমর্যাদা বিশ্বের দরবারে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে।

 

একই রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, সরকার মার্কিন ভিসা নীতিকে হয়তো হালকা ভাবে দেখছিলো অথবা তাদের দলের নেতাকর্মী এবং প্রশাসনকে চাঙ্গা রাখার জন্য সব কিছু বুঝেও না বুঝার ভান করছিলো। কিন্তু বাস্তবতা হলো মার্কন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা বিশ্ব এবার বাংলাদেশের নির্বাচনকে বেশ সিরিয়াস ভাবে নিয়েছে। তারা কোনো মতেই এ দেশে আর কোনো কারচুপির নির্বাচন দেখতে চায় না।

 

এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠ ছাড়বো না। আমি বিশ্বাস করি এই সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আর বাস্তবতা হলো যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি প্রয়োগের কারণে এই মুহুর্তে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন এবার আন্দোলন আরো চাঙ্গা হবে ইনশাআল্লাহ। এরই মাঝে একেবারেই দূর্বল হয়ে পরেছে সরকারের মনোবল। এস.এ/জেসি
 

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন