
# বিএনপির এই নেতারা সকলেই নিজেদেরকে তৈমূরের চেয়ে মর্যাদাবান মনে করেন
নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি আসনে কোনো রকম সাড়া পায়নি তৃণমূল বিএনপি। মোটা অঙ্কের টাকার প্রলোভন দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। শুধু টাকা নয়, ছিলো মামলা থেকে অব্যাহতির প্রলোভন এবং নির্বাচনের পর বিভিন্ন পদে পদায়নের লোভ। যেমন বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলার চেয়ারম্যান বানানোর লোভও দেখানো হয়েছে বিএনপির মাঝারি পর্যায়ের নেতাদেরকে।
বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করেন এই জেলায় বিএনপির অন্তত ডজন খানিক নেতা রয়েছেন যারা নাকি নিজেদেরকে তৈমুরের চেয়েও যোগ্য মনে করেন। তাই তাদের পক্ষে কোনো মতেই তৈমুরের অধীনে গিয়ে নির্বাচন করা সম্ভভ নয়। এরা হলেন সাবেক এমপি ও প্রতি মন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাবেক এমপি আলহাজ্ব এডভোকেট আবুল কালাম, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং সাবেক এমপি আলহাজ্ব আতাউর রহমান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির এবং নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
এরা সকলের সামাজিক এবং রাজনৈতিক মর্যাদার দিক দিয়ে তৈমূর আলম খন্দকারের চেয়ে অনেক উপরে। তাই কোনো প্রলোভনেই তাদের পক্ষে তৈমূরের অধীনে বা তার নেতৃত্ব মেনে রাজনীতি করা সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকরা। কারণ সব দিক থেকেই তারা তৈমূর আলমের চেয়ে অনেক বেশি মর্যদাবান। অপরদিকে মাঝারী পর্যায়ের নেতাদের মাঝে রয়েছেন দীপু ভুইয়া, নজরুল ইসলাম আজাদ এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন। তারাও আর্থিক এবং সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে কেউই তৈমুরের নিচে নন।
এছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং নীতিনৈতিকতার প্রশ্নেও তারা সকলেই দৃঢ় মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ। যার ফলে এদের কেউই সারা দেননি। ফলে সারা দেশেতো বটেই নারায়ণগঞ্জ এডভোকেট তৈমূর নিজের জেলা হওয়া সত্ত্বেও এখানেও তিনি কোনো প্রার্থী পেলেন না। অন্তত নারায়ণগঞ্জ জেলায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কেউই তার ডাকে সাড়া দিলো না। এস.এ/জেসি