শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যৌথ গণশুনানিতে সাক্ষ্য দিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২১  

শীতলক্ষ্যায় কয়লাঘাট এলাকার কোস্টার জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহি লঞ্চডুবিতে ৩৪ জনের প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত তদন্তকমিটির গণশুনানিতে ৫৪ জন তাদের বক্তব্য প্রদান করেছেন।  লঞ্চডুবিতে মৃত যাত্রীদের স্বজন, বেঁচে যাওয়া যাত্রী এবং দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া সাক্ষ্য রেকর্ড করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে গণশুনানির আয়োজন করে। আয়োজিত গণশুনানিতে নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয় গঠিত কমিটির কাছে ২৬ জন ও জেলা প্রশাসনের কাছে ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। গণশুনানী শেষে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আব্দুস সাত্তার শেখ জানান, ‘দুর্ঘটনার মূলকারণ উদঘাটনে ২৬ জনের বক্তব্য গণশুনানিতে নেয়া হয়েছে। একারণগুলোর পেছনে আর কি কি বিষয় জড়িত ছিল। এটা আমাদের তদন্তের গাইডলাইন। গণশুনানিতে এসব প্রশ্নের বিষয়গুলো আমরা তাদের কাছ থেকে জানান চেষ্টা করেছি। লঞ্চডুবির ঘটনাটি আমি তদন্ত করছি। ৬ এপ্রিল তদন্ত কমিটিতে আমাদের নিয়োগ দেয়ার সময় ৭দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রথম দিন থেকেই আমরা সরেজমিন এই এলাকায় কাজ শুরু করেছি, তদন্ত কমিটির সদস্যদের সাথে কাজের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি ৭দিনের মধ্যেই আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পারবো।’ এছাড়া তিনি বলেন, ‘গণশুনানির পাশাপাশি বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে দুর্ঘটনার কারন অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তদন্তে বেরিয়ে আসা দোষি ব্যক্তিদের অবশ্যই আইনের মুখোমুখি হতে হবে।’ জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি জানান, তারা নিহতের স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় এলাকাবাসী মিলিয়ে ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। সামগ্রীক বিষয় বিবেচনায় রেখে তদন্ত কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে প্রতিবেদন দাখিলের কথা জানান তিনি। গণশুনানিতে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ পুলিশের নারায়ণগঞ্জ জোনের সুপার মীনা মাহামুদ, বিআইডব্লিটিএ’র উপপরিচালক মোবারক হোসেন, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যার কয়লা ঘাট এলাকায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু সংলগ্ন এলাকায় মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহি জাহাজ ‘এম এল সাবিত আল হাসান’কে পেছন থেকে এসকেএল থ্রি নামে একটি কার্গো জাহাজ ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহী লঞ্চটি মুহুর্ত্বেই ডুবে যায়। সর্বশেষ এঘটনায় ৩৪ জনের প্রাণহানী ঘটে।  জেলা প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ মোট চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ৬ এপ্রিল রাতে এই দুর্ঘটনার ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। 

এই বিভাগের আরো খবর